দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ
প্রিয় বন্ধুরা আমরা এই দেশে ছোট বড় সহ অনেকেই দাঁতের সমস্যা নিয়ে ভয়াবহ জটিলতায় পড়ে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন দাঁতের ব্যথা ঔষধ ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে ছাড়ানো যায়।
যদি আপনি একটু সচেতন একটু নিয়মাবলী গুলো মেনে চলেন। দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ সম্পর্কে আজকে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।
.
ভূমিকা
দাঁতের ব্যথায় আমরা অনেক রকম ভাবে অনেক সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকি হোক সেটা দাঁতে পোকা, দাঁত ক্ষয় যাওয়া, দাঁতের গোড়ায় ব্যথা, মাড়ি ব্যাথা বা দাঁতের যে কোন ব্যথায় হোক না কেন। দাঁতের ব্যথা থেকে দাঁতের যে কোন সমস্যা হলে আমরা কোন কিছু ভালোভাবে খেতে পারি না আজকে আমি আপনাদের জানাবো দাঁতের পোকা দূর করার উপায়, বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয়, দাঁতের পোকা বের করার গাছ, দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ, দাঁতের গর্ত করার ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো।
দাঁতের পোকা দূর করার উপায়
দেশে, বিদেশে, ছোট, বড়, গ্রামে বা শহরে কম বেশি সবারই দাঁতের সমস্যা থেকে থাকে। কিন্তু দাঁতের পোকা লাগলে দাঁত ক্ষয় করে ফেলে। দাঁতে তেমন কোন পোকা থাকে না এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ডেন্টাল ক্যারিজ রোগের জন্য এই সমস্যা হয়ে থাকে।
সাধারনত আমাদের খাবার থেকে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে যেমন চকলেট, কেন্ডি, চুই গাম, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার কারণে দাঁতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া দেখা দায় যার কারণে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। আপনারা যদি দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পোস্ট টি মন যোগ সহকারে শেষ পযন্ত পড়ুন। আপনার দাঁতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালা করে তাহলে আপনি গরম পানি লবণ দিয়ে কুলি করুন।
বা দাঁতের ভিতরে লবণ দিয়ে ধরে রাখুন। সকালে নাস্তা আগে দাঁত মাজুন এবং রাতেও খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করে ঘুমান। তবে অবশ্যই ভালো হবে দাঁত ব্রাশ করবে।
বাচ্চাদের দাঁতের পোকা হলে করণীয়
বাচ্চাদের সমস্যা হলে আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। কিন্তু সন্তানদের প্রতি যত্ন না নেওয়ার কারণেই এই গুলো হয়ে থাকে। সন্তানকে ভালো এবং সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই ছোট থেকেই তার যত্ন নিতে হবে হোক সেটা দাঁতের চুলে বা অন্য কিছু। একটা শিশু জন্মের পর ছয় থেকে সাত মাস লাগে তার দাঁত উঠতে। কিন্তু সেই দাঁতগুলোর ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ার কারণে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে দাঁতে পোকা ধরা, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া দাঁতের মাড়ি ব্যথা ইত্যাদি।
আমরা একটা শিশুকে ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরনের চকলেট, আইসক্রিম, মিষ্টি খাবার দিয়ে বড় করে তুলি যার কারনে ঐই অভ্যাসটায় হয়ে যায় তাই সে বড় হলেও আইসক্রিম চকলেট বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। মনে রাখবেন ছোট থেকে আপনার সন্তানকে যা শিখাবেন তাই করবে সে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন একটা শিশু জন্মের পর যখন ছয় থেকে সাত মাস যাওয়ার পর দাঁত উঠে তখন ওই দাগটা একটা নরম দিয়ে পরিষ্কার করে দিন।
যাতে দাঁতে কোন শ্যাওলা জাতীয় বা কোন ব্যাকটেরিয়া রোগ বাসা বাঁধতে না পারে। তাই আপনারা যদি একটু সচেতন হন তাহলে আপনার শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। ছোট থেকে ও তার দাঁতের যত্ন নি এবং সে বড় হলে তাকেও নিতে শিখান। দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ খেয়ে যদি যদি দাঁতের পোকা না যায় তাহলে অবশ্যই বড় বিশেষজ্ঞ দাঁতের ডাক্তার দেখান। দাঁত ব্যথার যন্ত্রণা কমানোর জন্য লজ্জা বতি কাছের ডাল দিয়ে পানি গরম করে কুলি করান এতে একটু পরিমাণ ব্যথাটা কমবে।
দাঁতের পোকা বের করার গাছ
আমরা যেখানেই যাই না কেন দাঁতের সমস্যা নিয়ে। আমরা শান্তিতে না পারি খেতে না পারি ঘুমোতে না পারি ভালোভাবে কারো সাথে কথা বলতে। দাঁত ভালো থাকতো আমরা দাঁতের মূল্যায়ন করি না। দাঁতের ঠিক মত যত্ন নেই না যার কারণে আমাদের সমস্যা হয়ে থাকে।
তবে অনেকেই দাঁতের পোকা বের করার জন্য বিভিন্ন কবিরাজি ঔষধ বা গ্রামের এলাকা গুলো থেকে পোকা বের করে নিয়ে আসে বলে শুনা যায় । আসলে সত্যি বলতে দাঁতে কোন পোকা হয় না আমাদের যদি দাঁতে পোকা হতো তাহলে নিশ্চয় দাঁত থেকে পোকা গুলো বের হয়ে আসতো। আর আস্তে আস্তে দাঁতে ভিতরে পোকা গুলো অনেক বেশি হতো।
একবার ভেবে দেখুন তো আপনার যদি দাঁতে পোকা হতো তাহলে আপনার দাঁতে একটি হলেও কি বের হতো না পোকা গুলো। যদি আমরা একটু সচেতন হই তাহলে আমাদের দাঁতের সমস্যা হবে না। আমাদের দাঁতের যত্ন না নেওয়ার কারণে যে সমস্যা হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, দাঁতে জ্বালা করা, দাঁতের মাড়িগুলো ব্যথা করা, দাঁত ক্ষয় যায় ক্যালসিয়ামের কারনে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে দাঁত হয়ে যায়।
দাত জালা করে ঠিক মত ব্রাশ না করার কারণে। দাঁতের মাড়িগুলো ব্যথা করে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন অভাবের কারণে। তবে আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণেও দাঁত জ্বালা আপনি গরম পানি লবণ মিশিয়ে গড় গড়া করতে পারেন। এর জন্য কোন আজে বাজে কবিরাজের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। আপনি দাঁতের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন।
দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ
দাঁতের ব্যথা ঘরোয়া উপায়েও যেভাবে সারাতে পারেন সেটা হচ্ছে গরম পানি করে গড়গড়া করা, পানির সাথে লবণ মিশে গড়গড়া করা, লবঙ্গ গোলমরিচ বেটে যেই দাঁতের সমস্যা সেখানে লাগাতে হবে। আলু কেটে যেই দাঁতের ব্যথা সেখানে হাত দিয়ে চেপে ধরে হবে। চুলার পোড়ামাটি এবং লবণ দিয়ে যে দাঁতের সমস্যা সেখানে চেপে ধরে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
এগুলো আপনার দাত ব্যাথা কমাতে সহায়তা করবে। আর দাঁতের সমস্যা হলে ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে আপনার দাঁতের সমস্যা আরও বাড়বে। রসুন থিতা করে দাঁতের ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারে এতে করে দাঁতে থাকা সকল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করবে। একটু পরিমাণ লবণ অল্প পরিমাণ সরিষার তেল বা লেবুর রস সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে দাঁতের ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারে এতে করে ব্যাথা কমাতে সহায়তা করবে।
যতদিন না পর্যন্ত ভালোভাবে ব্যাথা কমছে ততদিন লাগাতে পারেন এইভাবে এই নিয়ম অনুযায়ী। তবে অতিরিক্ত সমস্যা হলে অবশ্যই দাঁতের বিশেষজ্ঞ গাহিনী ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তবে যখন বুঝতে পারবেন যে আপনার দাঁতের সমস্যা হয়েছে তখনি ডাক্তার দেখানো উচিত।
দাঁতের গর্ত হলে কি করবেন
আমাদের মূল্যবান একটি সম্পদ দাঁত। এই দাঁত যদি না থাকতো তাহলে আপনি কোন কিছুই খেতে পারতেন না চিবিয়ে। আমরা উপরেও জেনে এসেছি দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ সম্পর্কে এতে আমারা বুঝতে পেরেছি দাঁতের ভিতরে নানা সমস্যার কারণে ও গর্ত হতে পারে। যেমন পুষ্টির ঘাটতি, ক্ষধামন্দার সমস্যা, দাঁতের মধ্যে খাবার থাকা, ফ্লোরাইড ও এর অপর্যাপ্ততা ইত্যাদি।
দাঁতের গর্ত হলে তাড়াতাড়ি দাঁতের শূন্যতা পূরর্ণ করে নিতে হবে নয়তো ডেন্টাল কারিজ থেকে আরও গভীর হতে পারে। ডেন্টাল কারিজ দেখতে কালো গর্তের এর মতই দেখা যায়। তাই শিশু থেকে বড় রা ও বুঝতে পারে না যে তাদের দাঁতের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। দাঁতের গর্ত যাতে না হয় তার জন্য আপনারা যা করবেন প্রতিদিন নিয়মিত দুই বেলা ব্রাশ করবেন সকালে এবং রাতে।
চিনি যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকবেন। চিনি যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাবেন না। খাবার খাওয়ার পর ভালোভাবে কলি করে ফেলে দিন। দাঁতের সমস্যা হলে অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তার উচিত তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আপনাকে ঔষধ দিবেন। ডাক্তারের পরামর্শ নিলে অল্প দিনে আপনার দাঁত সেরে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
শেষ মন্তব্য
আমি চেষ্টা করেছি দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত এই পোস্টির মধ্যে সঠিক তথ্যটি তুলে ধরার। দাঁত নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক সমস্যায় ভুগে থাকি। দাঁতের সমস্যা হলে আমরা অনেক কষ্ট করে থাকি। আপনার যদি দাঁত সম্পর্কে এই পোস্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। আর নিত্য নতুন পোস্ট পড়তে আমার পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ এই পোষ্টটি সময় দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url