আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য
প্রিয় পাঠক' আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনারা জানেন তাহলে আপনিও চাইবেন নিয়মিত আম খেতে। আম একটি রসালো ফল। আমি রয়েছে অনেক পুষ্টি এবং ভিটামিন।
আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য আপনাদের বলব। আম আমরা সবাই খাই হতে পারে কেউ কম বা কেউ বেশি। তবে আম কম খাওয়া এবং বেশি খাওয়ার মধ্য পার্থক্য কি সেটা আপনাদের বলব।
.
ভূমিকা:
আমরা আম প্রায় সবাই খেয়ে থাকি। আম একটি পছন্দো নিয় ফল। মূলত আম সম্পর্কের আজকের এই আর্টিকেল। পাকা আমে ভিটামিন ভিটামিন এ বেশি থাকে। আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য আমাদের সবারই জানা প্রায়। কিন্তু আবার অনেকেও জানিনা।
যারা জানের না মূলত বিশেষ করে তাদের জন্য আমার এই পোস্ট টি। আজকে এই পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন কলা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য, কলা গাছের বিভিন্ন অংশের নাম, আম খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি।
আম গাছের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আম গাছ সাধারণত আম নামে সবার কাছে পরিচিত। বিশ্বের মধ্যে শত শত জায়গায় আম চাষ বা আমবাগান করে থাকেন। আমাদের বিশ্বের মধ্যেও এখন আমের চাহিদা অনেক। বিভিন্ন জাতেরই আম হয়ে থাকে যেমন ফজলি, আমরুপালি, ক্ষেরসা, গোপাল ভোগ, বারোমাসি ইত্যাদি সহ অনেক। এখন বারোমাসি আমের গাছ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়
যার কারণে অনেকেই ১২ মাসও চাষ করে থাকেন আম। আম সাধারণত বাগানে চাষ করে এক থেকে দেড় বিঘা জমিতে কেউ বা আবার পাঁচ কাটাতে কেউ বা দশ কাটাতে যার যেমন ইচ্ছে তেমন ভাবেই বাগান করে থাকে। কেউ বছরের বাগানে আম চাষ করে আবার কেউ বা বারোমাসি বাগে আম চাষ করে থাকি। তবে বারো মাস চাষ করতে গেলে অবশ্যই গাছগুলো বারোমাসি নিয়ে থাকেন যার কারণে বারোটা মাসি আম ধরে গাছে।
বছর অন্তর এক বছরের মাথায় সাধারণত আম ধরে থাকে সব গাছে যার কারনে বছরে একবারই আমের চাহিদা বেশি থাকে মানুষজনের। এশিয়ায় ৪০০ থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম আম আসে। এরপর ভারতে প্রথম চাষ শুরু করে আমের বলেই মনে করা হয়। আপনারা চাইলে নার্সারি থেকে ও বারোমাসি আমের গাছ সংগ্রহ করে বাগানে অথবা বাড়ির আশেপাশেও লাগাতে পারেন।
আম একটি রসালো ফল। আমে রয়েছে অনেক ভিটামিন। (mangifera indica) এটা হচ্ছে আমের বৈজ্ঞানিক নাম। আমের আকৃতি ছোট-বড় মাঝারি অনেক ছায়িজেরি হয়ে থাকে। আম গাছে আম ধরার আগে ফুল ফুটে। সেই ফুলটাকে আমরা আমের মূল বলে থাকি। আম গাছের কাঠ ও অনেক কাজেই ব্যবহৃত হয় যেমন ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে চুলার খড়ি হিসেবেও ব্যাবহারিত হয়।
জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু হয় আম খাওয়ার ভরকুল চাহিদা মানুষজনের। আম যেমন বিভিন্ন জাতের হয় ঠিক তেমনি বিভিন্ন আকৃতির সঙ্গে বিভিন্ন রকমের গন্ধ অনেক রকমের স্বাদ এক একটা আমের খেতরে এক এক রকম হয়ে থাকে। কাঁচা আম অনেক টক হয় তবে সেই আম পাকলে অনেক মিষ্টি এবং রসালো হয়ে থাকে। কাচামিটা আম গুলো কাচাই অনেক মিষ্টি হয়ে থাকে।
তবে আপনি বাড়ির আশেপাশের জন্য আমের গাছ লাগাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বাছাই করে মিষ্টি জাতীয় কিছু আমের গাছ লাগাতে হবে এতে করে অল্পতেই খেয়ে অনেক তৃপ্তি পাবেন। আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যদি আপনি জানেন তাহলে আপনিও চাইবেন আম গাছের বাগান করতে।
তিনটি দেশের জাতীয় ফল আম ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভারত। আম গাছ ফলের জন্যাই বেশি পরিচিতি মানুষের কাছে যদিও মানুষের আসবাবপত্র তৈরি করার জন্যই কাঠ প্রয়োজন হয়ে থাকে বিভিন্ন গাছে। মানুষ আম গাছের কাঠ কুমি ব্যবহার করে থাকে।কেননা আম চাষ করে অনেক ব্যাবসাহিরা লাভবান হয়ে থাকেন।
আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও বিশেষণ
আম গাছে সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও বৈশিষ্ট্য বা বিশেষণ সম্পর্কে যদি আপনি না জানেন তাহলে এ পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি যদি আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য জানেন তাহলে আপনিও চাইবেন আমের বাগান করতে বা বাড়ির আশেপাশে আম গাছ লাগাতে। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক কি সেই আমের ১০ টি বাক্যগুলো।
- আম গাছ কাঠের চেয়ে ফলের জন্যেই বেশি সুপরিচিত মানুষজনের কাছে।
- ভারতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ঝুড়িতে করে আম নিয়ে যাওয়া হয় এটাতে তারা একরকম ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকে।
- আমরা জানি আমের আটি থেকেই আমের গাছ হয় কিন্তু এখন আমের কলম করেও আমের গাছ হয়। এক কথায় এক গাছে দুই রকম আম চাষ করতে পারেন কলম করে।
- আম গাছের কাঠ দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করা হয়।
- আম গাছের বিভিন্ন জাত হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এক এক গাছের আম এক এক রকমের আকৃতি ও সুস্বাদু হয়ে থাকে।
- আম একটি রসালো ফল।
- আম যেকোন আবহাওয়ার সাথেই মানিয়ে নিতে পারে।
- আমের বাগান করে দ্রুত লাভবান হওয়া যায়।
- বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে ভরকুল আম নামে।
- কাঠ কেটে বা ডাল কেটে খরী হিসেবেও চুলায় ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই।
এই সময়টা আমের সিজিন তাই আপনারা চেষ্টা করবেন এই সময় বেশি বেশি করে আম খাওয়ার। কারণ আমে রয়েছে অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টি। আম খেলে হার্ড এবং কিডনি সুস্থ থাকে। আমের বেশিরভাগ অংশতেই ভিটামিন এ থাকে যার কারণে চোখের জ্যোতি বা চোখে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সয়হতা করে। রাতকানা রোগীদের ক্ষেত্রে আম খুবই প্রয়োজনীয় একটি ফল।
গ্রীষ্মের মধ্যে আকর্ষণীয় ফল হচ্ছে আম। আম খেলে শরীরের অনেক রোগ ভালো হয়। আম একটি পানি যাতীয় ফল যা তৃপ্তি এবং তৃষ্ণা মেটাতে সহায়তা করে থাকে এই গরমে। বাংলাদেশের মধ্যে রাজশাহী চাপাইগঞ্জেই চুয়াডাঙ্গাতে বেশি আমের চাষ হয় থাকে। ডাক্তারদের মতে আম খাওয়া শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেতে একেবারেই উচিত নয়।
কারণ আমে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণ সুগার বা চিনি যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একেবারে খাওয়া ঠিক না। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস রোগী এবং যাদের চিনি বা মিষ্টি খেলে শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে তারা ব্যতীত সবাই আম খেতে পারেন। কাঁচা আমের থেকে পাকা আম খাওয়াই শরীরের জন্য বেশি উপযোগী।
আমে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যারোটিন, ভিটামিন এ রয়েছে। তবে অন্য আম গুলোর তুলনার থেকে ফজলি আম খাওয়া আরো স্বাস্থ্যবান শরীরের জন্য। কারন ফজলি আমে এই তিনটি ভিটামিনই থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে আম খুবই প্রয়োজনী একটি ফল। গর্ভকালীন সময় যদি আম খান তাহলে আপনার পেটে থাকা শিশুকে ভিটামিন এ এবং হার শক্ত করতে সহয়তা করবে।
আম গাছের ফুলের বর্ণনা
আম কাছে ফুল আসেলেও ফুল ধরে না যার কারনে বেশি আম ধরে না। সব ফুল ঝরে পড়ে যায়। আমের ফুল বা আমের মুকুল যে যেই নামেই ডাকুক না কেন। আমের পুরো গাছে ফুল আসে। কিছুদিন পর সব ফুল ঝরে পড়ে যায় বা কোন ফুল থাকে। তবে আজকাল এই যুগে যত পোকা নেমেছে তার কারণে আমের ফুল গুলো পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আম মুসলিম এবং হিন্দু দুই ধর্মেরই আম ব্যবহার হয়ে থাকে। মুসলিমরা খাওয়ার জন্য নেই আর হিন্দুরা বিশেষত পুজো আচ্ছার জন্য নিয়ে থাকে। আম ঔষধি কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধু আম নই আমের মুকুল ও আয়ুর্বেধি ঔষধি তৈরিতে ব্যবহার করে থাকে। আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও আমরা যেসব জেনে এসেছি সেগুলোতে আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সাধারণত আমের শুরুই হয় আমের মুকুল থেকে। আমের মুকুল গাছের ডালে ডালে ধরে থাকে। তবে আপনারা চাইলে আমের গাছের মুকুল আসলে কিছুদিন পর পোকা মারার এক্সপ্রে করতে পারেন এতে করে আম বেশি ধরবে আশা করা যায়। তবে আপনি যদি আমের বাগান করে আম বিক্রি করতে চান তাহলে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে পরামর্শ নিয়ে শুরু করতে হবে।
আম গাছ কি জাতীয় উদ্ভিদ
অনেকেরই একটা প্রশ্ন বারবার মনে হয় বিশেষ করে এই আমের সময়। আমরা জানি আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল কিন্তু আমাদের জাতীয় উদ্ভিদ কি এটা আমরা অনেকেই জানি না হতাশায় পড়ে যাই বা কেউ জিজ্ঞাসা করলেও উত্তর দিতে পারি না। আমাদের বিশ্বের জাতীয় ফল কাঁঠালের থেকে আমের চাহিদা অনেক গুণ বেশি। আম গাছ বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ ২০১০ সালে ১৫ নভেম্বর আম গাছকে জাতীয় বৃক্ষ বলে ঘোষণা করা হয়। আম গাছ জাতীয় ফল না হলেও জাতীয় উদ্ভিদ।
ছোট থেকেই অনেক গাছেই আম ধরে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কলম করা গাছগুলোতেই আম বেশি ধরে থাকে ছোট গাছে। উপরের কিওয়ার্ডে আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনাদের বলে এসেছি। আপনারা নিশ্চয়ই পড়ে এটা বুঝতে পেরেছেন আম এবং গাছ কতটা প্রয়োজনীয় আমাদের জন্য।
তবে আম গাছ শুধু আমাদের আসব পত্রের জন্যই চাহিদা মেটায় না অক্সিজেন দেয় গাছ আমাদের ছায়া দায় গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে থাকি। তাই আমাদের আশে পাশে বেশি বেশি করে গাছ লাগানো উচিত সে ফলমূলের গাছ হোক বা অন্য গাছ।
শেষ মন্তব্যে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক আমি চেষ্টা করেছি আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক বক্তব্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। আশা করছি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে আর ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আমার ওয়েবসাইটে নিত্যনতুন পোস্ট করতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করে রাখুন। আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে এরপর কি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেটি কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন। ধন্যবাদ আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ কারে পড়ারা জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url