নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়

নাকে পলিপাস হওয়ার আগে আমাদের যে সমস্যাগুলো দেখে বুঝে নিতে হবে নাকে পলিপাস রোগটি হতে চলেছে। নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় এই নিয়ে আজকে বিস্তারিত । 


নাকের পলিপাস হওয়ার আগে অবশ্যই কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায় যা দেখে আমরা চিহ্নিত করতে পারব পলিপাসের এই সমস্যা।
.

ভূমিকা:

আমাদের বাংলাদেশের অনেকেই নাকের সমস্যায় থাকে। বিশেষ করে নাকের পলিপাসের সমস্যায় অনেকেই ভুগেন। নাকের পলিপাস নিয়ে হতাশায় আছেন। নাকের পলিপাস হলেও বুঝতে পারতেছেন না যে নাকে পলিপাসের সমস্যা হয়েছে কিনা। বুঝতে না পারলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। 

এই পোস্টটি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনিও জেনে যাবেন নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় , কি সমস্যা দেখেই বা বুঝে নিবেন নাকে পলিপাস হয়েছে, এই পোস্টটি পড়লে আরো জানতে পারবেন নাকের মাংস বৃদ্ধি হলে কি কি সমস্যা হয়, নাকের পলিপাস হলে ও করণীয় কি, নাকের পলিপাসের ঘরোয়া চিকিৎসা, ইত্যাদি।

নাকে পলি পাস হলে কি কি সমস্যা হয়

বাংলাদেশের প্রায় নাকের পলিপাসে সমস্যায় অনেকেই আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটা ছোট বড় থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক দের ও হতে পারে। নাকের ভিতর কিছু ব্যাকটেরিয়া থেকেই শুরু হয় নাকের পলিপাসের মতো এই সমস্যাটি। তবে পলিপাস হলেও অনেকেই বুঝতে পারে না যে নাকে পলিপাস হয়েছে। পলিপাস হওয়া মাত্রই যদি একটু সতর্ক হন বুঝতে পারেন তাহলে এ সমস্যাটি হয়তো হবে না। 

তবে বুঝবেন কিভাবে নাকের পলিপাসের সমস্যা হয়েছে। সর্দি, কাশি, নাক বন্ধ হওয়া, মাথা ব্যথা, মুখ দিয়ে স্বাস নেওয়া, রাতে নাক ডাকা, মাথা ঘোরা কোন ক্ষেত্রে ইত্যাদি সমস্যায় দেখে বুঝে নিতে হবে আপনার পলিপাস হয়েছে ডাক্তার এবং রোগীদের মতে এটাকে পলিপ বলা হয়। পলিপ তিন ধরনের হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন : আম সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও আম গাছের বৈশিষ্ট্য

 (১) পলিপাস ফাংগাল (২) পলিপাস সাধারণ মিউকাস (৩) পলিপাস নেওপ্লাস্টিক। ইনফেকশনের কারণে যে পলিপাস হয়ে থাকে তাকেই ফাংগাল বলা হয়। সবচেয়ে বেশি এলার্জি জড়িত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে যে পলিপাস তাকেই সাধারণ মিউকাস বলা হয়। টিউমার এবং ক্যান্সার জনিত রোগের কারণে যে পলিপাস হয়ে থাকে তাকে নিওপ্লাস্টিক বলা হয়।

কি সমস্যা দেখে বুঝে নিবেন নাকে পলিপ হয়েছে

নাকে পলি শীতকালেই বেশিরভাগ দেখা যায়। এটি সাধারণ সমস্যা থেকে হয়ে উঠতে পারে গুরুত্ব সমস্যা। তাই অল্পতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ বা নাকের ড্রপ ব্যবহার করা উচিত। 

শীতকালে এই সমস্যাটি বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে শীতকালে বৃষ্টি বাদল হয় না ধূলবালি উড়ে যার কারণে ধুলাবালি গুলো নাকের ভিতর প্রবেশ করে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে হাঁচি হয়ে থাকে সেই হাঁচি থেকেই পলিপ সমস্যাটিও হতে পারে দেখা দিতে পারে। অনেক সময় মাংসপিশু বাড়ার কারনেও রোগীদের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়ে থাকে। 

পলিপ সমস্যাটি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেলে ক্যানসারেরও সম্ভাবনা থেকে থাকে রোগীদের ক্ষেত্রে। তবে এটি কেটে বাদ দিলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা আর থাকে না। নাকে পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় এটা নিশ্চয়ই উপরে পড়ে জেনে গিয়েছেন। নাকের পলিপ সমস্যা এড়াতে আপনাকে কিছু নিয়ম কারণ মেনে চলতে হবে ঘরে বা বাহিরে। 

তবে নাকে পলিপ নানা সমস্যার কারণেই হতে পারে যেমন এলার্জি নিউমোনিয়া সর্দি ঘনঘন ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি। আবার নাক থেকে রক্তক্ষরণনো হয়ে থাকে কখনো কখনো তবে একটা সবার ক্ষেত্রে না। নারী এবং পুরুষ সবাই আক্রান্ত হতে পারে এই পলিপের মত সমস্যাটিতে। তবে এটি বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক লোকদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়ে থাকে। 

পলিপাসের মতো এই সমস্যাটি হলে যে কোন ডাক্তার দেখানো যাবে না নাকের পলি পাসের ডাক্তারি দেখানো উচিত বা নাকের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আমি যেহেতু নাকের পলিপ সমস্যার কথা নিয়ে আলোচনা করছি সে ক্ষেত্রে চলন জেনে নেওয়া যাক কি সমস্যা দেখে বুঝে নেবেন নাকে পলিপ হয়েছে।

নাক দিয়ে অতিরিক্ত পানি পড়া: ফ্রিজের কিছু ঠান্ডা জাতীয় কোন খাবার খেলে অনেকেরই গায়ে জ্বর আসে। হঠাৎ করে সর্দি লাগে। যার কারনে নাক দিয়ে অতিরিক্ত পানি গরলেও মনে করে থাকেন যে ঠান্ডা কিছু খাওয়ার কারণেই হয়তো হয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয় আপনার যদি অস্বাভাবিক ভাবে নাক দিয়ে পানি গড়তে থাকে তাহলে ভেবে নিবেন আপনার পলিপ সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ঘুমের অভাব: পলিপের মতো এই সমস্যাটি দেখা দিলে তা পুরোপুরি নাক বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে থাকেন এর জন্যে ঘুম ঠিকভাবে হয় না বিশেষ করে বয়স্ক লোকদের হয়ে থাকে।

অস্বাভাবিক ভাবে নাক বন্ধ হওয়া: শুধু মাত্র সর্দি কারণেই যে নাক বন্ধ হয়ে যায় তা কিন্তু এমন নয়। নাকের ভিতর পলিপ সমস্যাটি হলে নাকের বিভিন্ন অংশকে আচ্ছন্ন বিচ্ছন্ন করে দেই যার কারণে নাক বন্ধ হয়ে যায় স্বাস নিতে অসুবিধা হয়ে থাকে। নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় অনেকে জেনেও ডাক্তারের কাছে যেতে চায়না যে কারণে অনেক সময় আরো বড় জটিলতায় পড়তে হয়।

অতিরিক্ত মাথা ব্যথা: নাকে পলিপাস সাইনাসের প্রদাহ সৃষ্টি করে যার কারনে অতিরিক্ত তীব্র মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে ঘুম না হওয়ার কারণে ও হয়ে থাকে।

নাকে মাংস বৃদ্ধি হলে কি কি সমস্যা হয়

নাকের মাংস বৃদ্ধি হলে আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। ভেবে নিই এই বুঝি আমাদের কত বড় অসুখ হয়েছে। অধিকাংশ লোকই ভেবে নেই এর হয়তো তেমন চিকিৎসা নেই। কিন্তু চিকিৎসা নেই বলতে গেলে ঠিকই। আপনার সবথেকে বড় চিকিৎসা হবে আপনার সচেতনতা। আপনি একটু সচেতন হলেই সমস্যা দেখে বুঝতে পারলেই রোগটি তাড়াতাড়ি সেরে যেতে পারে। 

মাথার থেকে আমাদের নাকের ভেতরে মাংস বৃদ্ধি হয়ে থাকে। নাকের ভিতর কিছুটা মাংস জাতীয় কিছু দেখতে পেলে বুঝে নিতে হবে মাংস বৃদ্ধি হয়েছে। হাত দেওয়ার সাথে সাথেই যদি নাক থেকে রক্ত পড়ে তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন নাকের ভিতর মাংস বৃদ্ধি হয়েছে। মাংস বৃদ্ধির সমস্যাটি বুঝতে পেলেই যা করবেন সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ সেবন করুন। 

তাতেও যদি না হয় তাহলে আপনি সেটি অপারেশনে করে নিতে পারেন। তবে অল্পতেই চিকিৎসা নিলে ওষুধেই ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনারা ওপরে পড়ে এসেছেন নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় তাই চেষ্টা করবেন এই সমস্যাটা দিকে ও একটু নজর দিতে। 

নাকের পলিপাস থেকেও কিন্তু নাকের মাংস বৃদ্ধি এ সমস্যাটি হয়ে থাকে। তাই আপনারা সব সময় শরীরের যত্ন নিবেন। নাকের ভিতরে মাংস বৃদ্ধি হলে শ্বাস নিতে একটু কষ্ট হয়, ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হয়, বেশিরভাগ সময়ি শরীর ক্লান্ত লাগে, কোন কাজে অল্পতেই হাঁপিয়ে পড়া ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখে বুঝে নিবেন।

নাকের পলিপাস হলে করণীয় কি

নাকের পলিপাস হলে আপনারা অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারাও যদি একটু সচেতন হন তাহলে এই সমস্যাটি হয়তো আর হবে না। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই সমস্যা গুলো যেগুলো মেনে চলতে হবে আমাদের। ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার থেকে দূরে থাকুন। ফ্রীজ থেকে কোন জিনিস বের করলেও তা গরম খান। 

বিশেষ করে শীতের সময় ফ্রীজের কোনো ঠান্ডা জিনিস খাবেন না এতে আরো বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। বাহিরে অফিসে বা কোথাও ঘুরতে গেলে শীতের কাপড় পড়ে অবশ্যই বের হবেন। এতে করে ঠান্ডা লাগবে না। আর গরমের সময় হলে অবশ্যই নাকে মাক্স ব্যবহার করবেন। এত করে নাকে কোন ধুলাবালি প্রবেশ করতে পারবে না এক কথায় ধুলাবালি ধোয়া এড়িয়ে চলুন রাস্তাঘাটে বা বাসায়। 


বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বাড়িতে অনেক ধুলাবালি পড়ে গেলে সে ধুলাবাড়ি গুলো আপনার নাকে প্রবেশ করতে পারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পড়ুন এতে করে রোগ বালাইয়ের আশঙ্কা কম থাকবে। পলিপাসের সমস্যা বুঝতে পারলে অবশ্যই সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ছোট ছোট রোগ থেকেই হতে পারে বড় ধরনের রোগ। 

তাই নিজের সচেতন হন এবং অন্যকে সচেতন করুন। নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় এটা আপনারা নিশ্চয় উপরেও পড়ে এসেছেন। আর এতে বুঝতে পেরেছেন যে কি কি সমস্যা দেখে বুঝে নিতে হবে আপনার নাকের পলিপাস হয়েছে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

নাকের পলিপাসের ঘরোয়া চিকিৎসা

নাকের পলিপাস সম্পর্কে জানেনা এমন হয়ত কেউ নেই। কারণ এই রোগটি আমাদের বিশ্বে একসময় এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল যে এটা নিয়ে সবাই আতঙ্কে থাকতো। কিন্তু এখন বিভিন্ন চিকিৎসা ঔষধ নেমে অতটাও কেউ আর চিন্তাভাবনা করে না পলিপাসের মতো এই সমস্যাটি নিয়ে। তবে যখন এই সমস্যাটি হয় তখন অনেকেই মনে করে যদি আগে বুঝতে পারতাম তাহলে হয়তো হতো না। 

তবে নাকের পলিপাসের ঘরোয়া চিকিৎসা করেও আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারেন। নাকের ভিতর পলিপাস হলে সেটা বুঝতে পারলে সাথে সাথে ওটাও ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। আপনি ঘরোয়া চিকিৎসায় ও সুস্থ হতে পারেন। তবে চলন জেনে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারে। 

আদা রসুন এবং লং বা গোল মরিচ দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া তবে চাইলে লেবু ও মেসাতে পারেন চায়ের সাথে। পানির সাথে সামান্য পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে সারা দিনে এ দুই থেকে তিনবার খাওয়া। পানি গরম করে গরম পানি একটা পাত্রে ঢেলে নিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া। গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে করা। তবে চেষ্টা করবেন সবসময়ই নাক পরিষ্কার রাখা। 

সকালে খিচুডি রান্না করলে বা ভাতের সাথে পেঁয়াজ বা রসুন খাওয়ার। খাঁটি সরিষার তেলের সাথে রসুন গরম করে বুকে বা মাথায় দেওয়া। খাঁটি সরিষার তেল দিনে দুবার খাওয়া এক চা চামচ পরিমাণ। টক জাতীয় কিছু খাওয়া যেমন তেঁতুলের আচার বড়ই জলপাই যেকোনো টক জাতীয় আচার ইত্যাদি। বেশি পরিমাণ পানি পান করা যেন শরীরের আদ্রতা থাকে। আনারস খাওয়া। 

সব সময় জোরে জোরে স্বাস নেওয়ার চেষ্টা করা। তবে নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় এটা আপনারা উপরে পড়ে আসলেও এটা হয়তো জানেন না ঘরোয়া উপায়ে নাকের পলিপাস সরানো যায়। এই টি পরে নিশ্চয়ই নিয়ম কারণ সহ সবকিছুই বুঝতে পেরেছেন। কি করলে নাকের পলিপাস সমস্যা দ্রুত সারাতে পারবেন।

শেষ মন্তব্যের কিছু কথা

প্রিয় বন্ধুরা' আপনারা উপরে পড়ে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আমি কি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লিখেছি। নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় এইসব সঠিক তথ্যটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আমি যথার্থভাবে চেষ্টা করেছি। 

আপনাদের যদি আমার আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন পোস্ট পড়তে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করে রাখুন। এতে করে নিয়মিত পোস্টের তথ্য পেয়ে যাবেন। 

আপনার কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন থেকে থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন বা এরপর কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন এটা বলতে পারেন কমেন্ট বক্সে। প্রতিদিন পোস্ট পরে আমার পাশে থাকবেন আশা করি। ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার পোস্ট শেষ পযন্ত পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url