দ্রুত ওজন কমাতে নিম পাতা খাবেন যেভাবে
প্রিয় পাঠক' আপনার কি ওজন বেশির কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে আর দুশ্চিন্তা নয় আজকে আমি আপনাদের জানাবো দ্রুত ওজন কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় এবং নিম পাতার কার্যকরী ঔষধ।
দ্রুত ওজন কমাতে নিম পাতা খাবেন যেভাবে। এই নিয়ে আজকে এই আর্টিকেল। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
.
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
চুলকানি দূর করার সবথেকে অন্যতমান গাছ হলো নিম গাছ। যার ডাল সহ পাতা দুইটাই কার্যকারী ঔষধ ডাক্তার সহ বিজ্ঞানীদের কাছে। হারবাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওষুধীর কাজেও ব্যবহৃত হয় নিমপাতা সহ নিমপাতা ডাল। নিম পাতার অনেক গুণাগুণ রয়েছে তা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। তাই আপনারা যারা চুলকানিতে ভুগছেন ঘরোয়া উপায়ে চুলকানি তাড়াতে চান।
তাদের জন্য আজকে আমার এই পোস্ট টি দ্রুত ওজন কমাতে নিম পাতা খাবেন যেভাবে এবং চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে অনেক ওয়েবসাইটে খুঁজেও হয়তো সঠিক তথ্যটি পাচ্ছেন না তাহলে এটি মনোযোগ সহ কারে পড়ন শেষ পর্যন্ত। তাহলে আপনিও জেনে যাবেন চুলকানিতে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন। চোখে চুলকানি হলে পানিতে নিমপাতা ১০ মিনিট সিদ্ধ বা জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। নেওয়া হয়ে গেলে সেই পানি ঠান্ডা করে চোখে ঝাপটা দিন।
এইভাবে পাঁচ থেকে সাত দিন নিয়মিত চোখে ঝাপটা দিন। এতে করে চোখের চুলকানি থাকবে না। আবার যাদের গায়ে চুলকানি বা এলার্জি থাকে তাদের জন্য যা করতে হবে ওই একই নিয়মে নিমপাতা 5 থেকে ১০ মিনিট সিদ্ধ করে নিয়ে উসু গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এভাবে ৫ থেকে ৭ দিন গোসল করতে হবে একই নিয়মে বা যাদের চুলকানির জন্য বেশি জ্বালাপোড়া হয় তারা নিমপাতা বেটেও পুরো শরীরে লাগাতে পারেন। এতে করে দ্রুত চুলকানি কমে যাবে।
তবে নিমপাতা বেটে গায়ে লাগানোর পর আপনাকে এক থেকে দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। এক থেকে দেড় ঘন্টা পর ফ্রেশ পানি দিয়ে গোসল করবেন। তবে কোন শ্যাম্পু বা সাবান না ব্যবহার করাই ভালো। অন্তত চুলকানি ভালো না হওয়া পর্যন্ত বা ৫ থেকে ৭ দিন সাবান শ্যাম্পু থেকে বিরত থাকুন। নিম পাতা ব্যবহার করে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে চুলকানি ভালো করতে পারেন নিম পাতা ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি এতে আরোও আপনার শরীরের যত জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া থাকে সেগুলো মারা যায়।
চুলের যত্নে নিম পাতা ব্যবহার
নিম পাতার যতগুলা গুণ রয়েছে তা হয়তো আপনাদের বলেও শেষ হবে না কারণ নিমপাতাতে যতটা উপকারী ঔষধ বা গুণ আছে তা হয়তো অন্য কোন গাছে সেই গুন নেই নিম গাছের মতো। নিমের পাতা থেকে শুরু করে গাছের ডালের অংশ দিয়ে ঔষধ বা মহা ঔষধ হারবাল কাজে ব্যবহৃত হয়। যা বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে থাকে।
চুলের যত্ন নিতেও নিমপাতা অনেকটাই কার্যকরী একটি ঔষধ যা ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়া যায় খুব সহজেই। চুলের ভিতরে থাকা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে নিমপাতা। কিছুটা নিমপাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে। এরপর সারারাত ফুটনো পানিতেই ভিজিয়ে রাখুন নিমপাতা। গোসলের আগে নিম পাতার পানি দিয়ে মাথাটা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে পাচ থেকে সাত দিন নিয়মিত ব্যবহার করন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিম পাতার হেয়ার প্যাক যেভাবে বানাবেন ঘরোয়া উপায়ে। এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন দ্রুত ওজন কমাতে নিম পাতা খাবেন যেভাবে এবং আরো জানতে পারবেন নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার হেয়ার প্যাক বা হেয়ার অয়েল নিম পাতা প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ধোয়া হয়ে গেলে একটা পাটায় বা কোথায় একটা বেটে নিন। মাথায় চুলে লাগিয়ে নিন এতে করে চুলের ভিতরে থাকা খুশকি গুলো মরে যাবে বা কমে যাবে। নিম পাতার হেয়ার অয়েল যেভাবে তৈরি করবেন।
আরও পড়ুন : লেবু খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও তার বিশেষণ
নিম পাতা হেয়ার অয়েল তৈরি করতে হলে আগে আপনাকে নিমপাতা রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ভালো করে গুড়ো করে নিতে হবে। সেই গুরো করা পাউডার একটা পাত্রে নিয়ে যেকোনো একটা অয়েল তেল বা আপনারা মাথায় যে তেল দেন না কেনো সেই তেল তিন থেকে চার চা টেবিল চামচ গুরো করা পাউডারের সাথে মিশাতে হবে।
এরপর ভালো করে চুলে লাগিয়ে নিন। সর্বনিম্ন এক থেকে দেড় ঘন্টা রাখুন। এক থেকে দেড় ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। তবে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার দিবেন। এটা করে আপনার চুলের জ্বরটা ভাব হবে না।
মুখে নিম পাতার ব্যবহার
আমরা ইতিমধ্যে পড়ে এসেছি নিম পাতার অনেক গুণাবলী। এর মধ্যে ছিল চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার, চুলে নিম পাতার ব্যবহার এখন জানবো মুখে নিম পাতা ব্যবহার এরপর বিস্তারিত আরও জানবো দ্রুত ওজন কমাতে নিমপাতা খাবেন যেভাবে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক মুখে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন। ত্বকের বিভিন্ন রোগ থেকে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া সরাতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী। শুধুমাত্র চুলেই নয় মুখেও নিম পাতা অনেকটাই উপকারী ঔষধ।
মুখে নিমপাতা ব্যবহারের জন্য আপনাকে কিছুটা নিমপাতা বেটে নিতে হবে এরপর পুরো মুখে মাখিয়ে নিন ভালো করে। চাইলে এর সাথে অ্যালোভেরার জেল ও দিতে পারেন। সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন এই নিম পাতা ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এইভাবে ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি নেই। বরং আপনার ত্বকের আর করতে জীবাণুমুক্ত রাখে। ত্বক উজ্জল দেখায়।
দ্রুত ওজন কমাতে নিম পাতা খাবেন যেভাবে
নীম শরীরে জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি গাছ। তবে নিম শুধু শরীরের জন্যে নয় ত্বক, চুল এবং শরীরের ভিতরে প্রতিটি ব্যাকটেরিয়ার নিধন করতে সহায়তা করে। কিডনি ও লিভারকে সুরক্ষিত রাখে। আয়ুর্বেদী রোগ সরাতে ও নিম পাতার ব্যবহার অনেকেই করে থাকে। নিম পাতা ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সাহায্য করে।
তবে ওজন কমাতে কিভাবে তৈরি করবেন নিম পাতার পানি বা ঔষধ তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। নিম পাতার পানি তৈরি করতে এক থেকে দুই গ্লাস পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন ফুটিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে কয়েকটি নিমপাতা ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে দিয়ে দিন এরপর ফুটতে শুরু করলে আদা গুল মরিচ দিয়ে দিন। তারপর একটা গ্লাসে ছেঁকে নিন ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার নিম পাতার পানি যা ওজনকে সহজেই বসে আনে।
তবে লেবু বা মধু মেশাতে পারেন স্বাদ অনুযায়ী। নিয়মিত একটানা ১০ বা ১৫ দিন খেয়ে দেখতে পারেন দেখবেন অনাসেই ওজন কমতে শুরু করেছে। তবে প্রতিদিন সকালেই খালি পেটে পান করতে পারেন নিম পাতার পানি। পানি পান করার পর এক থেকে দেড় ঘন্টা কোন কিছু খাবেন না। তবে আরেকটি যেই ভুল করবেন না কখনোই একদিন পানি তৈরি করে হয়তো দুইদিন খাবেন না প্রতিদিনের পানি প্রতিদিন সকালে তৈরি করে খেয়ে নেবেন।
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি কিন্তু নিম পাতা অপকারিতা সম্পর্কে কিন্তু আমরা জানিনা। নিম পাতা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এটা আমরা সবাই জেনে এসেছি কিন্তু যে ভুলগুলোর কারণে হতে পারে নিমপাতা বিপরীত বিপরীত অপকারিতা। তবে চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক নিমপাতা উপকারিতা
- হজম শক্তি বাড়াতে নিমপাতা বিশেষ ভূমিকা রাখে
- ক্লান্তি দূর করতে নিম পাতা সাহায্য করে
- কাশি ভালো করতে সাহায্য করে থাকে
- যেকোনো ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করে
- এলার্জি বা চুলকানি সরাতে সাহায্য করে
- ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে
- নিম পাতা ত্বকে দিলে ত্বক উজ্জল দেখায় এবং ব্যাকটেরিয়া সরাতে সহায়তা করে
- নিম পাতার পানি খেলে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে
নিম পাতার অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় আপনি কখনোই নিম পাতা বা নিম গাছের কোন কিছুই খাবেন না। কারণ শরীরের শুক্রাণু কোষ প্রখ্যাত করে ভ্রনকে নষ্ট করে দিতে পারে
- শিশুদের নিম গাছের পাতা বা নিম গাছের কোন কিছুই খাবেন না
- যাদের অল্পতেই ক্লান্তি বা দুর্বল হওয়ার অভ্যাস আছে তাদের জন্য নিমের কোন অপক্ররণি সেবন করা উচিত না কারণ এতে আরো অসুস্থ বাড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা থাকে
নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
কোথাই আছে নিমের পাতা থেকে শুরু করে নিমের ডাল, ফল, ফুল ও কার্যকরী ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে কথাটি যেহেতু নিম পাতাকে নিয়ে তবে চলন নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা উপরে নিম পাতা সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে এসেছি যেমন দ্রুত নিম পাতা খাবেন যেভাবে , চুলের যত্নে, চুলকানিতে, মুখে এবং নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল ও আন্টিফাঙ্গাল যা শক্তিশালী করে তোলে একে অপরকে। নিম পাতা একটি কার্যকরী ওষুধ। যা অনেক কাজ এই রোগ নিরাময় করতে সাহায্য বা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করে থাকে। এই নিম পাতার রস খেলে শরীরকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নিম পাতার রস বানাতে হলে আগে আপনাকে কিছুটা নিমপাতা সংগ্রহ করতে হবে। কিছুটা নিম পাতা ধুয়ে তারপর ব্লেন্ড করে নিতে হবে চাইলে এটি পাটায়প পিসতে পারেন। এরপর একটা ঝাকনির সাহায্যে নিম পাতাটি ভালো করে রস বের করে নিন। বের করে নেওয়া হয়ে গেলে কিছুটা মধু এবং লেবু মিশিয়ে নিন। তারপর ব্যাস তৈরি হয়ে গেল নিম পাতার রস।
তবে যারা প্রথম খাবেন তাদের একটু সমস্যা হতে পারে প্রথমত বার খেতে। নিয়মিত কয়েকদিন খেলে আপনার আর সমস্যা হবে না আশা করছি। এই নিয়মে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস খান খালি পেটে তাহলে ছোট-বড় যেকোনো রোগকে অনাসেই বসে আনতে পারবে বা শরীরের যত ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেগুলো নিধন করতে সহায়তা করে।
চর্মত রোগের নিম পাতার ব্যবহার
আমরা উপরে পড়ে এসেছি যে নিম পাতা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী ঔষধ। যা ঔষধি কাজ থেকে শুরু করে দ্রুত ওজন কমাতে নিম পাতা খাবেন যেভাবে, চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার, চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার, মুখে নিম পাতার ব্যবহার এসব সম্পর্কে আমরা জেনেছি। আমরা এটাও জেনে এসেছি ছোট-বড় সকল রোগ নিরাময়ই করতে নিম পাতা কতটাই কার্যকরী ঔষধ।
সব রোগের মধ্যে মারাত্মক রোগ হচ্ছে চর্মরোগ। বর্ষাকালির চর্মরোগ বেশি দেখা যায়। চর্মরোগ পরিবারের মধ্যে একজনার হলে তা অন্যজনারেও হয়ে থাকে। এটি একটি ছত্রাক জাতীয় রোগ যা একে অন্যের থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগটি। ৫ থেকে ১০ গ্রাম নিম গাছের ছাল নিম গাছের বীজ ও নিম পাতা একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে নিন।
এরপর ক্ষতস্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। চেষ্টা করবেন এটি বেশি সময় নিয়ে গায়ে রাখার সর্বনিম্ন না হলেও ২ থেকে ৪ ঘন্টা ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখার। তবে এটা এলার্জি বা চুলকানিতেও ব্যাবহার করতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে চর্মরোগ নিরাময় করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে নিম পাতা সহ নিমপাতার গাছ, ডাল, ফল, ফুল ইত্যাদি।
অনেকেই আবার জিজ্ঞাসা করে থাকেন কোনটা নিম পাতা কোনটা ব্যবহার করব বলতে বোঝানো হয়েছে নিমপাতার গাছ তো দুইটা রয়েছে একটা দেশি নিম একটা ঘোড়া নিম। আপনারা সব সময় দেশে নিম ব্যাবহার করবেন। দেশি নিমের গাছগুলো বেশিরভাগ গ্রাম অঞ্চলেই বেশি দেখা যায়।
ব্রনের জন্য নিম পাতা ব্যবহার
আমাদের ত্বকে এক থেকে দুইটা ব্রণ বের হলে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় হতাশ হয়ে পড়ি। এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে এক দুইটা থেকে পুরো ত্বকেই ছড়িয়ে পরে ব্রন। কিন্তু আমরা এটা ভেবে দেখি না যে আমাদের হাতের কাছে থাকা কিছু ঘরোয়া উপায়ে অনাসেই সরিয়ে ফেলতে পারি ব্রণ।
ত্বকের জন্য উপকারী একটি ঔষধ হচ্ছে অ্যালোভেরা। যা ত্বককে সুন্দর এবং স্ট্রং রাখতে সাহায্য করে। তবে অ্যালোভেরার সাথে যদি আপনি মিম পাতা ব্যবহার করেন তাহলে এটি আরো দ্বিগুণ কাজ করে। তবে আপনার ত্বকে যদি ব্রণ বের হয়ে থাকে। তাহলে অনাসেই ত্বক থেকে যেভাবে ব্রণ বা দাগছাপ মুক্ত করবেন। ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে হলে আগে আপনাকে কিছুটা নিমপাতা শুখিয়ে গুড়া করে নিতে হবে।
এরপর একটি অ্যালোভেরার পাতা কেটে সে পাতার ভিতরে থাকা জেল নিয়ে নিতে হবে একটা পাত্রে। আগে থেকে নিম পাতা গুরোটা এবার জেলের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে কিছুক্ষণ। এরপর আপনার পুরো মুখে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। তবে এটি মুখে দিয়ে চেষ্টা করবেন এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় মুখে রাখার।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
আপনার মুখে অতিরিক্ত তৈলাক্ত। কোনভাবেই বা কোন ফেসপ্যাকেই কাজ হচ্ছে না। তাহলে এটি আপনার জন্য। আপনার তৈলাক্ত ত্বক অনাসেই সুন্দর এবং সফট করে তুলতে পারবেন। আপনার মুখে অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে শসা এবং নিমের ফেসপ্যাক ব্যাবহার করতে পারেন। শীতের সময় সাধারণত তৈলাক্ত ত্বক বা খসখসা ত্বক বেশি হয়ে থাকে।
তৈলাক্ত ত্বকে নিমপাতা যেভাবে ব্যবহার করবেন। কিছুটা নিমপাতা ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করার পর ওখান থেকে রস বের করে নিন একটা ছাকনির সাহায্যে। একটা পাত্রে একটা ডিম, একটু চালের গুড়ো, একটু হলুদের গুঁড়ো, একটু লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে নিমের রসের সাথে পেস্ট করে নিন। পেস্ট করা হয়ে গেলে সেই মিশ্রণটি আপনার তৈলাক্ত ত্বকে লাগিয়ে নিন।
২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগানোর পর অপেক্ষা করুন। এইভাবে আপনি নিয়মিত প্রতিদিন ব্যাবহার করে থাকুন। ৭ থেকে ১৪ দিন একটানা ব্যবহার করতে থাকুন। এতে করে আশা করছি ভালো একটা ফলাফল পাবেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক' আশা করছি এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে এসেছেন। আর পরে এটা নিশ্চয়ই বুঝেছেন নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন কোন রোগে ক্ষেত্রে। আমি চেষ্টা করেছি কিছু কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনাদের কিছু সঠিক বক্তব্য তুলে ধরার।
আমি এই পোস্টির মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমাতে নিম পাতা খাবেন যেভাবে থেকে শুরু করে চর্ম, ব্রণ, নিম পাতার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, কাদের খাওয়া উচিত আর কাদের খাওয়া অনুচিত ইত্যাদি এই সব সম্পর্কে বলার। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পরে আপনার ভালো লেগেছে।
আর ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং নিত্যনতুন পোস্ট পড়তে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে নিচে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন ধন্যবাদ সবাইকে এই পোস্টটি সময়ের দিয়ে পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url