মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে
মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে আমরা হয়ত সবাই জানি কিন্ত এটা জানি না সব মাছ রান্নার নিয়ম কিন্তু এক নয়।এক এক মাছের একেক রকম সাধ। তেমনি একেক মাছের জন্য এক মসলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আজকে আমি আপনাকে জানবো মাছ ও মাংসের বিভিন্ন রকমের মাছের রেসিপি।
.
ভূমিকা
মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে ১ কেজি গরুর মাংসের রেসিপি, গরুর মাংস রান্নার সহজ পদ্ধতি, ছোট মাছ রান্নার রেসিপি, কিভাবে মাছ রান্না করলে স্বাদ বেশি লাগে, ঘরে থাকা মসলা দিয়ে কিভাবে মাংস ও মাছ রান্না কি ভাবে করবেন সহজেই এই নিয়ে আজকে আমার পোস্ট টি। আশা করি মনোযোগ সহ কারে এই পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনার ভালো লাগবে।
১ কেজি গরুর মাংস রান্নার রেসিপি
মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে এই সবের আগে সব রান্নার জন্য যা যা প্রয়োজন হতে পারে যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, তেল, মসলা। এই গুলো না থাকলে বাজার বা দোকান থেকে নিয়ে এসে বসবেন। গরুর মাংস রান্না করতে আমাদের যা যা প্রয়োজনীয় হবে হলুদ গুঁড়া, আদা বাটা, এলার্চ, জয়ফল, জয়এী বাটা, টক দই, তেজপাতা, তেল, লবণ, রসুন, পেঁয়াজ, নেবু, জিরা গুড়া, ইত্যাদি।
প্রস্তুত কালিণ:প্রথম গরুর মাংসটা ভালোভাবে ধুয়ে একটা পাত্রতে নিব, এরপর লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়া লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে আধা ঘন্টার জন্য রেখে দিব। এর মাঝে আমরা পেঁয়াজ কুচি করে নিব রসুন জয় ফল,জয়এী ও আদা বেটে নিব। সাদা এলার্চ ৫ টা নিব কালো ফল ৩ - ৪ টা নিব,তেজ পাতা ২-৩ টা নিব।গুল মরিচ ২-৩ টা নিব।
আরও পড়ুন : কিওয়ার্ড কি এবং কিওয়ার্ড কত প্রকার
রান্না কালিণ:প্রথমে আমরা চুলাটা অন করে একটা পাত্র বসিয়ে নিব। তারপর তেল দিব তেলটা গরম হয়ে গেলে আগে থেকে পেঁয়জ কুচি করাটা পাএে দিয়ে দিব। পেয়াজ কুচি টা লাল হলে আগে থেকে বেটে রাখা জয়ফল, রসুন, জয়ত্রী, আদা বাটা সব মসলা এক টেবিল চামুস করে দিয়ে দিব, সাদা এলার্চ, কালো ফল, তেজপাত, স্বাদমতো লবণ, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, গুল মরিচ ও পানি দিয়ে মসলাটা কষিয়ে নিব।
কোষানো হয়ে গেলে আধা ঘন্টা আগে রাখা মাংসটা দিয়ে দিব। মাংসটা মসলা দিয়ে ভালো ভাবে কষানো হলে পরিমাণ মত পানি দিয়ে আদা ঘন্টা রান্না করে নিব। মাংসটা হওয়ার ৫ মিনিট আগে টক দই দিব। তার পর ৫ পর রান্না টা নামিয়ে জিরা ভেজে নিয়ে গুরো করে মাংসের উপর ছিটিয়ে দিব। তার ব্যাচ রান্না টা পরিবেশন করব।
১ কেজি গরুর মাংস রান্নার সহজ পদ্ধতি
আমরা অনেকেই আছি হয়তো এমন সময় হয় যে গরুর মাংস খেতে খুব মন চায় কিন্তু মসলা তেমন না থাকার জন্য গরুর মাংস ঘরে থাকলেও রান্না করতে পারি না সহজেই। আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে গরুর মাংস ঘরে থাকা মসলা দিয়ে সহজেই রান্না করে খেতে পারেন। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে জানা যাক কি সেই সহজ পদ্ধতি।
প্রস্তুত কালীণ ও রান্না কালীণ:প্রথমে আমরা একটা পাত্ররে পানি গরম করে নেব। তারপর সে গরম পানিটা দিয়ে ভালোভাবে গরুর মাংস টা ধুয়ে নিব। গরুর মাংস টা ধোয়া হলে একটা পাত্রে কিছুটা পেঁয়াজ কুচি, হলুদের গুঁড়া, স্বাদমতো লবণ, রসুন বাটা 1 চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, মরিচের গুড়ো ৫ - ৬ চা চামচ, তবে ঝাল অনুযায়ী মরিচের গুঁড়ো টা দিবেন।
লবঙ্গ ১-২, গোলমরিচ ৩-৪ টা, রাধুনী মসলা এক প্যাকেট, পরিমাণ মতো তেল এই সব কিছু দিয়ে মাংসটা ভালো ভাবে রান্না করে নিব ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য রান্নাটা নামানোর পর চাইলে জিরা গুড়া দিতে পারবেন। তবে দিলে ও হবে না দিলে ও হবে।
ছোট মাছ রান্নার রেসিপি
মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে যেই বিষয় গুলো না জানলেই নয়। রান্নার আগে আপনাকে স্থির ভাবে বসে রান্না করতে হবে অনেকই আছে রান্না করতে ওঠে এখানে সেখানে যায়। আপনার রান্না করতে যা প্রয়োজন সেই সব কাছে নিয়ে বসার পরে রান্না করতে বসতে হবে। ছোট মাছ আমরা অনেকেই পছন্দ করি আবার করি না। কিন্তু আপনি কি জানেন পেঁয়াজ দিয়ে যদি ছোট মাছ রান্না করেন কতটা সাধ লাগে।তবে চলুন জেনে নেই কিভাবে ছোট মাছ রান্না করলে সব থেকে বেশি স্বাদ লাগবে।
প্রস্তুত কালীণ: ছোট মাছ রান্না করতে আমাদের অনেকটা পেঁয়াজের প্রয়োজন হবে।পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ, লবণ, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা বাটা ইত্যাদি।
রান্না কালীণ:আমরা এক বাটি পেঁয়াজ কুচি করে নিব,পরিমাণমতো কাচা মরিচ কেটে নিব যে যেমন ঝাল পছন্দ করেন ঠিক সে অনুযায়ী কেটে নেবেন, এরপর একটা পাত্রে ছোট মাছ ভালোভাবে ধুয়ে নিব, তারপর বাটি পেঁয়াজ কুচি, মরিচ, আদা বাটা,রসুন বাটা, স্বাদ মত লবণ, হলুদের গুঁড়া ও পরিমাণ মতো তেল দিব।
ভালোভাবে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিব, এরপর পরিমাণ মতো পানি দিব,১০-১৫ মিনিট রান্না করে নিব,তবে লক্ষ্য রাখবেন পানি যেন থাকে। তারপর পরিবেশন করতে পারেন। এরকম সহজেই যেকনো ছোট মাছ সহজে রান্না করে নিতে পারবেন।
কোন মাছে ভিটামিন বেশি থাকে
আপনার নিশ্চয়ই পড়ে এসেছেন যে মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে, কিভাবে সহজেই রান্না করতে পারবেন এই সব। এখন আপনারা জানবেন কোন মাছে ভিটামিন বেশি টুনা মাছে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ও ভিটামিন ডি বেশি থাকে। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সিলেনিয়াম আন্টি ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি মাছ গুলো বেশি উপকারী এর মধ্যে রয়েছে কই, রই, পাতলা, ইলিশ, চিতল, তেলাপিয়া ইত্যাদি।যাদের চোখের সমস্যা থাকে তাদের জন্য ছোট মাছ খুবই প্রয়োজনীয় কারণ ছোট মাছ চোখের জ্যোতি পারে ছোট বাচ্চাদের মেধা শক্তি ও মস্তিষ্ক ভালো থাকো। ছোট মাছ বলতে বুঝানো হয়েছে পুটি, ময়া, চাঁদা, দেরকা,চুপরা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন : আদা খাওয়ার অপকারিতা ও উপকারিতা
আমরা সবাই জানি আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ, কিন্তু ইলিশ মাছ খেলে উপকার যা হবে তার থেকে দ্বিগুণ উপকার হবে এই ছোট মাছ গুলো খেলে। মাছ আমারা সবাই খেয়ে থাকি কেউ বা বড় মাছ খেতে পছন্দ করি আর কেউ বা ছোট মাছ খেতে পছন্দ করি। সপ্তাহে আমরা শাকসবজির পাশাপাশি মাছ মাংস খাব এটা আমাদের শরীরের পুষ্টি ও রোগ বালাইয়ের সংখ্যা কুম হবে।
আমরা জানি ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আমাদের শরীর স্বাস্থ্য যদি ভালো থাকে এতে রোগবালাই ও কম হয়ে থাকে। মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে এই পোস্ট টি পড়ে যদি জেনে জান তাহলে আপনার বন্ধুদের ও বলতে পারেন।
লেখ মন্তব্য
এই ভাবে মাছ ও মাংস রান্না করে খেলে আশা করব অনেক ভালো লাগবে। অবশ্যই আমার নিয়ম অনুযায়ী রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে মাছ ও মাংসের রেসিপি সঠিক তথ্য অনুযায়ী তুলে ধরার এবং মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে। আপনার পোস্ট টি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং আমার পাশে থাকবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url