ঝাল মুড়ির মসলা কিভাবে বানায় সবাই

ঝাল মুড়ি বাংলাদেশের কম বেশি সবাই খেয়ে থাকে এবং এর চাহিদা অনেক বেশি। ঝাল মুড়ি পছন্দ করে না এমন হয়তো কমি রয়েছে। ঝাল মুড়িতে যেন এক অন্য রকম সাত থেকে থাকে। 


কিন্তু এই ঝাল মুড়ির মসলা যদি আমরা নিজেরা বাড়িতে বানিয়ে খাই তাহলে কেমন হবে। আজকে জানবো ঝাল মুড়ির মসলা কিভাবে বানায় সবাই ও নিজেরা ও ঘরে বসে থেকে তাদের মত করে কি ভাবে মসলা বানাবো।
.

ভূমিকা

বাংলাদেশেই যে ঝাল মুড়ি চলে বিষয়টা এমন না। বাংলাদেশ এবং ভারত এই দুই দেশের ঝাল মুড়ি ছোট-বড় থেকে শুরু করে সবাই খেয়ে থাকে। বিশেষ করে স্কুল গেটের সামনে ঝাল মুড়ি ওয়ালা মামাদের দেখা যেয়ে থাকে। ঝাল মুড়ি সবারই পরিচিত একটি খাবার। আমরা যখন বাইরে কোথা ও ঘুরতে যাই তখন ঝাল মুড়ি ওয়ালাদের দেখলে না খেয়ে যেন থাকতেই পারে না। 

তবে মুড়ি অনেক রকম ভাবেই অনেকে মাখিয়ে থাকে কেউ ১২ রকম বারোটা আইটেম নিয়ে কেউ ৩ থেকে ৪ টা আইটেম নিয়ে কেউ শুধু মুড়ি এরকম। তবে ঝাল মুড়ির সব থেকে সুস্বাদু হয় যদি আপনি নিজে বাড়িতে ঝাল মুড়ি মাখিয়ে সবাই মিলে খান। ঝাল মুড়ির বিষয়ে আজকের কিওয়ার্ডে থাকছে ঝাল মুড়ির মসলা কিভাবে বানাই সবাই, ঝাল মুড়ি বানাতে কি কি লাগে আমাদের, চটপটির মসলা রেসিপি ও কিভাবে বানায়, ফুচকা রেসিপি ও কিভাবে বানাবেন ইত্যাদি

ঝাল মুড়ির মসলা কিভাবে বানায় সবাই

ঝাল মুড়ি আমরা শখ করেই খেয়ে থাকি। তবে বষা কালিন সময় বাড়িতেই মুড়ি মেখে খেয়ে থাকে অনেকেই। আবার অনেকের ক্ষেতরে দেখা গিয়েছে যে গ্যাস্টিকের সমস্যার কারণে বাহিরে ঝাল মুড়ি খেতে চায় না। তবে যারা বাহিরে ঝাল মুড়ি খায়না তারা যদি নিজেরাই ঘরে বসে মসলা বানিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খান বা সেই মসল টা ২ থেকে ৩ মাস ঘরে সংরক্ষণ করে রাখেন তাহলে বিষয় টা কেমন লাগবে আপনাদের কাছে। তখন হয়ত আপনাদের আর গ্যাস্টিকের সমস্যায় পড়তে হবে না। 

কারণ আপনারা ত নিজেরাই ঘরে তৈরি করতিছেন সব কিছু ফ্রেশ তেল বা উপকরণ দিয়ে। স্কুল গেটে বসে থাকা সেই ঝাল মুড়ি ওয়ালা মামাদের মত মসলা বানাতে আমার দেওয়া তালিকা গুলো নিচে অনুসরণ করুন। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঝাল মুড়ি মসলা বানাত প্রথমে কি উপকরণ লাগে।
  • পেঁয়াজ
  • রসুন
  • আদা
  • লবন
  • সরিষা/ সয়াবিন তেল
  • শুকনো মরিচ
  • হলুদ
  • জয় ফল
  • ধনিয়া
  • এলার্চ
  • কালো ফল
  • দারচিনি
  • তেজপাতা
  • লবঙ্গ
  • গোল মরিচ
  • জিরা
  • টেস্টি স্লট
  • গরুর মাংসে মসলা
পরিমান
  • পেয়াজ ১২৫ গ্রাম
  • রসুন ১ পোয়া
  • আদা ৬৫ গ্রাম
  • টেস্টি ১ প্যাকেট ১০টাকার একটা
  • ম্যাজিক ২ মসলা ২ টা
  • গরুর মাংসের মসলা ২৫ টাকার একটা
  • লবণ ৪ চা চামচ
  • হলুদ ২ চা চামচ
  • গোল মরিচ ৫ টা
  • শুকনো মরিচ ৮ টা
  • জিড়া ১৫ গ্রাম
  • জয় ফল ১ টা
  • এলার্চ ৪ টা
  • কালো ফল ৩ টা
  • লবঙ্গ ২ টা
  • ধনিয়া ৩ চা চামচ
  • তেজ পাতা ২ থেকে ৩ টা
  • সরিষার / সয়াবিন তেল ২৫০ গ্রাম
এগুলো সব উপকরণ বাজার থেকে নিয়ে এসে তবেই মসলা বানাতে বসবেন। এ-র পর আদা, রসুন, পেয়াজ, মরিচ, এলার্চ, কালো ফল, জয় ফল, জিড়া, ধনিয়া, রসুন, লবঙ্গ এগুলো পাটায় বেটে অথবা ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এ-র পর একটা পাত্র চুলাই বসিয়ে সব মসলা বাটা গুলো দিয়ে দিন এ-র পর মাংসের মসলা, লবন, হলুদ, টেস্টি, তেজপাতা দিয়ে সব উপকরণ এক সাথে তেল ছারা আগে কষিয়ে পানি মেরে নিন মসলার। তবে আপনারা বোতলের ফ্রেশ তেল ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন। 

এতে করে গ্যাস্টিকের সমস্যা হবে না। কষানো হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিন এ-র পর আবার কিছু ক্ষন কষিয়ে নামিয়ে নিন চুলা থেকে। তারপর ম্যাজিক মসলা দিয়ে দিন ব্যাচ তৈরি হয়ে গেল আপনার মুড়ির মসলা। তবে মুড়ির মসলা বাড়িতে বানিয়েছেন দেখেই যে সব সময় খাবেন তা করলে হবে না কারণ সব কিছুরি একটা নিয়ম আছে। আপনারা দিনে একবারি মুড়ি মাখি খাবেন। 

আরও পড়ুন : গুগল সার্চ কনসোল কি এবং এর কাজ কি 

এই মসলটা আপনারা ফ্রীজে নরমালে রাখে দিতে পারবেন। এই গরমে ১ সপ্তাহ পর পর বের করে গরম করবেন আর শিতের সময় হলে ১৫ দিন পর পর আশা করছি সব কিছু নিয়ম অনুযায়ী করলে মসলা দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খেলে খুব টেস্টি বা স্বাধ লাগবে।

ঝাল মুড়ি বানাতে কি কি লাগে আমাদের

আমরা উপরে জেনে এসেছি ঝাল মুড়ি মসলা কিভাবে বানায় সবাই। তাই আশা করছি আমার দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী মসলা টা বানিয়ে নিয়েছেন এখন জানবো ঝাল মুড়ি বানাতে কি কি লাগে৷ আমরা গ্যাস্টিকের এর ভয়ে অনেকেই বাহিরে ঝাল মুড়ি কুমি খেয়ে থাকি। বিশেষ করে বড়রা। কারণ ছোটদের অতটা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় না যতটা পরিমাণ বড়দের হয়ে থাকে। 

বড়রা গ্যাস্টিকের চিন্তা করে থাকে। কারণ ঝাল মুড়ি বানাতে যে মসলা টা করে নিয়ে আসে ঝাল মুড়িওয়ালারা ঐই মসলার তেলটা ফ্রেশ তেল হয় না। পাম বা পাপেল দিয়ে বানিয়ে থাকে আবার অনেকে সরিষার তেল দিয়ে বানিয়ে থাকে। ঝাল মুড়ি মাখাতে যে যে উপকরণ প্রয়োজন হয়
  • পেঁয়াজ কুচি
  • আদা কুচি
  • কাচা মরিচ কুঁচি
  • বিটলবণ বা সাধারণ লবণ
  • মসলা ও তেল
  • চানাচুর
  • মুড়ি
  • বোট
  • মটর
  • ইচ্ছা সূমহ
  • শসা
  • ডিম
  • গাজর
  • মুরগির কলিজা
  • কোয়েল পাখির মাংস
  • গরু মাংসের ঝোলা
  • টমেটো
  • চুইঝাল
  • আলু ভর্তা
  • ডাল ভর্তা
প্রথমে আমরা একটা পাত্রে কিছুটা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিব, এরপর কাঁচামরি, আদা ও স্বাদ মত লবণ, মুড়ি, চানাচুর, বোট মটর, মসলার তেল এগুলো দিয়ে ভালো ভাবে একটা খুন্তির সাহায্যে মাখিয়ে নিব। তবে আপনাদের বাসায় যদি গরুর মাংস বা কোন মুরগি মাংস রান্না করা থাকে তাহলে আপনারা সে মাংসের ঝোল দিয়েও মুড়ি মাখিয়ে খেতে পারেন। 

ওখানে তাহলে কোন মুড়ির মসলা দিতে হবে না আবার। এরপর আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী তাইলে এর সাথে টমেটো চুই ঝাল আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা দিয়েতে পারেন সালাত হিসাবে। এটা দিলেও হবে না দিলেও হবে। কিন্তু এগুলোর ভিতর যখন একটা অ্যাড করলে আরো স্বাধ দ্বিগুণ হয় মুড়ি মাখার।

চটপটির মসলার রেসিপি ও কিভাবে বানাবেন

ঝালমুড়ির পাশাপাশি আমরা চটপটি ও পছন্দ করি না এমন হয়তো কেউ নেই। আমরা বাহিরে কোথাও ঘুরতে গেলে চটপটি দেখলে না খেয়ে থাকতে পারিনা। চটপটি খাওয়ার মজাই যেন আলাদা এবং বন্ধুদের কাছে ও ট্রিট নিয়ে থাকি যে আজকে হয়তো চটপটি খাওয়াতে হবে বা ফুচকা খাওয়াতে হবে সবাই কে।

কিন্তু আপনি যদি আপনার বন্ধুকে বাড়িতেই দাওয়াত দেন চটপটি খাওয়ার জন্য তাহলে কেমন হবে। এতে আপনার বন্ধুরা সবাই খুশি হবে। ঝাল মুড়ির মসলা কিভাবে বানায় সবাই এটা তো আমরা জানলাম কিন্তু আপনি কি চটপটিও বানাতে পারেন। না পারলে আমার দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে রান্না করুন। চটপটি রান্না করতে আমাদের যা যা প্রয়োজন হবে
  • আদা
  • রসুন
  • পেয়াজ
  • মটর
  • ম্যাজিক মসলা
  • গরুর মাংসের মসলা
  • তেল
  • জিড়া
  • মরিচ
  • তেজপাতা
  • লবন
  • হলুদ
আদা রসুন, মরিচ এবং জিরা ভালো ভাবে বেটে নিতে হবে। এর আগে আপনাকে মোটর এক থেকে ২ ঘন্টার জন্য পানিতে রেখে দিতে হবে। ১ থেকে ২ ঘন্টা পর আপনি চটপটি বানাতে পারবেন। এর মধ্যে সব উপকরণ গুলো তৈরি করে নিয়ে থাকবেন। এরপর একটা পাত্র নিতে হবে। একটা পাত্রে কিছুটা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালোভাবে লালচে না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে। 

এরপর আগে থাকে মসলা গুলো দিয়ে দিতে হবে এবং ৩ টা তেজ পাতা, মাংসের মসলা, লবণ, হলুদ, পরিমাণ মতো তেল দিয়ে ভালো ভাবে মসলা গুলো কসিয়ে নিতে হবে। এরপর চাইলে যেকোন মাংস অথবা চিংড়ি মাছ দিতে পারেন। এর সাথে চাইলে টেষ্টি স্লট ও দিতে পারনে। 

কষানো হয়ে গেলে আগে থেকে ভিজে রাখা মটর গুলো দিতে হবে। এরপর মোটর গুলো ভালো ভাবে কষিয়ে নিয়ে কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। সিদ্ধ করা হয়ে গেলে গাও মাখা রসের মত করে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর রেডি আপনার চটপটি।

পরিবেশ করবেন যেভাবে
আপনি চটপটি পরিবেশন করবেন যেভাবে প্রথমে চটপটির বাটি গুলোতে চটপটি নিয়ে নিন। এরপর কিছুটা পিয়াজ কুচি, কিছুটা কাঁচামরিচ কুচি এবং শসা কুচি উপরে দিয়ে দিন। এরপর চাইলে সস এবং ডিম দিয়ে আপনার বন্ধুদের মাঝে পরিবেশন করতে পারেন। আমার দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী বানালে খেতে ভালো লাগবে।

ফুচকার রেসিপি ও কিভাবে বানাবেন

আমরা ইতিমধ্যে কয়েক টি কিওয়ার্ড নিয়ে আলোচনা করে এসেছি যেমন ঝাল মুড়ি মসলা কিভাবে বানায় সবাই চটপটি রেসিপি,এখন জানবো ফুচকা' ফুচকা প্রতিটা মেয়েরই যেন প্রাণ মনে হয়। কারণ এই বিশ্বে ফুচকা পাগল নেই এমন হয়তো কুম সংখা মানুষি রয়েছে। ফুচকা পছন্দ করে না এমন বলতে গেলে হয়তো ভুলি হবে। ফুচকা আমাদের পছন্দনীয় একটি খাবার। আমরা ইস্কুল পার্ট থেকে শুরু করে যেখানেই ঘুরতে ফিরতে যাই না কেনো কোন ফুচকা ওয়ালা মামাকে দেখলে যেন জিবেতে জল চলে আসে ফুচকা খাওয়ার জন্য। 

আমরা উপরে জেনে এসেছি আমাদের পছন্দনীয় কিছু খাবার ঝাল মুড়ি ও চটপটি। আরো জেনে এসেছি ঝাল মুড়ির মসলা কিভাবে বানাই সবাই চটপটি বানানো ইত্যাদি। এখন জানবো ঘরোয়া উপায়ে বা ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে কিভাবে আপনি অনার্সেই ফুচকা তৈরি করে খেতে পারবেন ঘরে বসে থেকে। ফুচকা তৈরি করতে হলে আপনাকে একটা পাত্রী কিছু পরিমাণ পানি গরম করে নিতে হবে চুলায়। এরপর পানিটা গরম হয়ে গেলে ময়দার আটা দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। 

সিদ্ধ করা আটা টি ভালো ভাবে ছানিয়ে নিতে হবে। এর পর রুটির মত করে একটা কোথাও বেলে নিতে হবে। তারপর ফুচকার মত কিছু দিয়ে রুটি টা ছোট ছোট করে গোল আকারে কেটে নিতে হবে। একটা পাত্রে আবার গরম পানি করতে দিব এবং সেই গরম পানিতে কেটে নেওয়া ছোট ছোট ফুচকা গুলো ভাব দিয়ে রোদে শুকাতে হবে। এক থেকে দুই দিন শুকানোর পর এই ফুচকা গুলো তেলে ভেজে নিতে হবে ব্যাস তৈরি হয়ে গেল ফুচকা। 

এবার ফুচকার সাথে খাওয়ার জন্য যে উপকরণ গুলো তৈরি করবেন। প্রথমে একটা পাত্রের ডাল অথবা আলু সিদ্ধ করে নিতে হবে। সিদ্ধ করার পর একটা প্লেটে নিয়ে কিছু টা পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, স্বাদমতো লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে ভর্তা বানিয়ে নিব। ভর্তা গুলো ফুচকার ভিতর দেওয়া পর কিছুটা শসা কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি এবং ডিম উপরে দিয়ে দিব। এর সাথে চাইলে তেঁতুলের টক ও ব্যবহার করতে পারেন।

লেখকর শেষ মন্তব্য

আমি চেষ্টা করেছি ঝাল মুড়ির মসলা কিভাবে বানায় সবাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। এর সাথে আমি আরো ও বলে বলে এসেছি চটপটি ও ফুচকার রেসিপি সম্পর্কে। আশা করছি আমার দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী আপনারা বাড়িতে বানালেও খুব টেস্টি এবং মজাদার হবে খাবার গুলো। আপনি চাইলে ফুচকা, চটপটি, মসলা সম্পর্কে আপনার বন্ধুদের বিস্তারিত বলতে পারেন বা এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের মাঝে। 

আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইট ভিজিট রাখবেন এবং আমার ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন পোস্ট পড়তে পারেন নিয়মিত। আমি সব সময় চেষ্টা করি সুন্দর এবং সঠিক কিছু বক্তব্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। ধন্যবাদ সবাইকে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আশা করছি এভাবেই আমার পাশে থাকবে আপনারা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url