এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করবেন

আমরা বাংলা লেখালেখি করার জন্য যে ওয়েবসাইট তৈরি করি সাধারণত এর ভিতরে আমাদের এসইও  করতে হয় পোস্ট গুলোতে। 
পোস্ট সূুচিপ্ত্রআজকে আমি আপনাদের জানাবো এসইও কি এসিও কিভাবে করবেন। কেন পোস্টের ভিতর এসিও করতে হয় এসব সম্পর্কে বিস্তারিত। যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে এসইও সম্পর্কে আপনার মনে থাকার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করছি
.

এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করবেন

এসইও এই কথাটি অনেকের কাছে কঠিন মনে হয়। কিন্তু যদি আপনি এর অর্থ জানেন তাহলে অনেকটাই সহজ মনে হবে আপনার কাছে যে এসইও করাটা কতটা সহজ কাজ। ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আমরা যে পোস্ট গুলো লিখি মূলত সেই পোস্ট গুলোকেই এসইও করা হয়। এসইও কি? এসইওর পূর্ণরূপ হচ্ছে এস তে সার্চ ই তে ইঞ্জিন ও তে অপটিমাইজেশন অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। 

সার্চ ইঞ্জিন বলতে এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে ইন্টারনেটে সকল তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন গুগল, ইয়াহু, বিন। তবে আমাদের সব থেকে জনপ্রিয় যেই ওয়েবসাইট সেটি হচ্ছে গুগল। মনে করেন আপনার একটি আপনার একটি মোদির দোকান আছে বা আপনার একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট আছে তো আপনি যদি ইন্টারনেটে আপনার দোকান সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা করতে চান বা আপনার ওয়েবসাইটের সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা করতে চান ইন্টারনেটে মূলত সেটাই হচ্ছে এসইও। 

আপনি যদি চান আমার দোকানের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বাংলাদেশের কম বেশি সবাই জানুক বা সবার কাছে পৌঁছে যাক সবার ঘরে ঘরে সাধারণ এটার জন্যই এসইও করতে হয়। গুগল হচ্ছে একটি সার্চ ইঞ্জিন। গুগলকে আমাদের বলতে হয় যে আমার এই পোস্টে টি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের দেখা ও মূলত এটাই হচ্ছে অপটিমাইজেশন। আশা করছি এসইও কি বুঝতে পেরেছেন। 

ইনডেক্স কি এবং এর কাজ কি 

আমরা ওয়েবসাইটে অনেকেই পোস্ট লেখি এবং সে পোস্ট গুলো গুগলে পাবলিশ ও করে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন যে গুগলে পোস্ট পাবলিশ করার পর সেটি গুগলের দেখাচ্ছে কি না বা ইনডেক্স হচ্ছে কি না। যদি না জানেন তাহলে এই কিওয়ার্ড টি মনো যোগ দিয়ে পড়ুন। এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করবেন এটা আপনারা পড়ে ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছেন। তাই এসইও সম্পর্কে আর বিস্তারিত বলছি না। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইনডেক্স কি। 

আরও পড়ুনঃ গুগল সার্চ কনসোল কি এবং এর কাজ কি

আপনার পোস্ট বা আপনার ওয়েবসাইট যদি শুগলে দেখায় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার পোস্ট বা ওয়েবসাইট ইনডেক্স হয়েছে। তবে বুঝবেন কিভাবে? প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটে যে পোস্ট গুলো লিখে পাবলিশ করেছিলেন সেই কিওয়ার্ড টি লিখে গুগলে সার্চ দিন। যদি একটি গুগলে এ দেখায় তাহলে বুঝতে নিবেন আপনার পোস্ট ইনডেক্স হয়েছে। আর যদি আপনার পোস্ট ওখানে না দেখায় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার পোস্ট গুলো ইনডেক্স হয়নি। 

তবে অনেক সময় ইনডেক্সে সমস্যা হয়ে থাকে অথবা আপনার পোষ্ট ছাড়ার পর এক মাস ও সময় লাগতে পারে ইনডেক্সিন হতে। তবে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ বা একদিনের মধ্যেই ইনডেক্স হয়ে যায়। তবুও যদি ইনডেক্স না হয় তাহলে আপনি যা করবেন আপনার যে পোস্ট টি ইনডেক্স হয়নি সে পোস্টের লিংকটা কপি করে নিন এবং শুগল সার্চ কনসোলে গিয়ে ইউ আর এল লেখা অপশনে ক্লিক করুন এবং আপনার কপি লিংক টি দিয়ে দিন। 

লিংকটার সাথে আরো যা শেষে যুক্ত করে সার্চ করবেন সেটি হলো ?m=1 এরপর স্যার দিন। তারপর ইনডেক্স ইন নামে অপশন থেকে ক্লিক করে ইনডেক্স রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিন ব্যাচ। এরপর আপনার কাজ শেষ। 

গুগলে পোস্ট র‍্যাংক করাবেন কিভাবে ও র‍্যাংক কি

র‍্যাংক মানে হচ্ছে আমরা ওয়েবসাইটে যে পোস্ট গুলো লেখি সেই পোস্ট গুলো গুগলে কত নাম্বার লাইনে থাকে বা কত নাম্বার সিরিয়ালে র‍্যাংক করে। এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করবেন এর আগে আপনাকে ভালো একটি কিওয়ার্ড যাচাই-বাছাই করে পোস্ট লিখতে হবে। মূলত একটি পোস্টের ভেতর কিওয়ার্ড বেশি প্রয়োজনীয়। 

আপনি যদি চান গুগলে ১ থেকে ৫ এর মধ্যে আপনার পোস্টটি র‍্যাংক করাবেন তাহলে এর জন্য আগে আপনাকে একটি ভালো কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে যা মানুষ জন গুগলে সার্চ দিয়ে পড়ে। আপনাকে গুগলে বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে সার্চ দিয়ে বুঝতে হবে যে মানুষ কি জানতে যাচ্ছে বা মানুষ এখন পোস্ট করতে বেশি আগ্রহ। সেই পোস্ট টি সম্পর্কে লিখতে হবে এবং সুন্দর একটি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। মানুষ জন পোস্ট পড়ার আগে কিওয়ার্ড দেখে যে এটি কি সম্পর্কে পোস্ট লিখা। 
তার পরেই মানুষ জনের মনে আগ্রহ বা কৌতূহল হয় সেই পোস্ট টি পড়ার জন্য বা জানার জন্য। তাই অবশ্যই আপনার কিওয়ার্ড টি মানুষ জনের মনে যাতে কৌতুহল হয় বা জানার ইচ্ছা প্রকাশ সেই দিকে লক্ষ্য রাখে পোস্ট লিখতে হবে। আপনি যদি গুগলে এ ভালো একটা পজিশনের র‍্যাংক করাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো কিওয়ার্ড যাচাই বাছাই করে সেই সম্পর্কে লিখতে হবে। 

এসইও কি কি ভাবে করা যায় 

এসি ও দুই ভাবে করা যায়। একটি হচ্ছে পেইড এসিও যেটা টাকা পয়সা খরচ করে করতে হয় আরেকটি অর্গানিক এসিও যেটা আমরা নিজেরাই বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করে ফ্রীতে করতে পারি। 

পেইড এসইও কি: 
আপনার পোস্ট গুলো যদি গুগলে র‍্যাংক না করে তাহলে সেই পোস্ট গুলো গুগলে র‍্যাংক করানোর কিছু অর্থ খরচ করলে বা গুগল বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেই ওয়েবসাইটের পোস্ট গুলো র‍্যাংক করিয়ে থাকে। 

অর্গানিক এসইও কি:
আমি শুরুতেই বলে এসেছি এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করবেন। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভালো একটি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করার পর সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট লিখেন তাহলে সে পোস্ট গুলো যদি আবার ভালো ভাবে এসিও করেন এবং কিছু টেকনিক অবলম্বন করে গুগলে পাবলিশ করেন তাহলেই সেটি অর্গানিক এসইও। অর্গানিক এসইওকে দুই ভাবে র‍্যাংক করানো যায় গুগলে একটি হচ্ছে অফ পেজ এসইও আরেক টি হচ্ছে অন পেজ এসইও।
  1. অন পেজ এসইও হচ্ছে আমারা ওয়েবসাইটে যে সকল কাজ করব সেটিং, এডিট মডিফাইড বা গুগলে র‍্যাংক করানোর জন্য সেটিও হচ্ছে অন পেজ এসিওর কাজ। 
  2. অফ পেজ এসইও হচ্ছে আমাদের ওয়েবসাইটে বাইরে যে যদি কোন সেটিং এডিট মডিফাই করি বা ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করানোর জন্য করে নেই তাহলেই সেটি অফ পেজ এসিও। 
  • অর্গানিক এসইওর লোকেশন ভাবে আবার দুই রকম হয়ে থাকে একটি লোকাল এসই আরেক টি গুলবাল এসইও।
  • লোকাল এসইও হচ্ছে আমরা যে সকল জায়গায় ব্যাবসা পরিচার পরিচালনা করতে চাই বা পণ্য, সার্ভিস ছরিয়ে দিতে চাই। ওই জায়গায় বসে লোকজনদের সেবা দিয়ে  একট্যাক্টিভ করতে চাই সাধারণত সেটাই হচ্ছে লোকাল এসইও। 
  • গুলোবাল এসইও হচ্ছে আমাদের ওয়েবসাইট যদি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই তাহলে সেটাই হচ্ছে সাধারণত গুলবাল এসইওর কাজ। 

টেকনিক্যাল এসইও কি এবং এর উদাহরণ 

টেকনিক্যাল এসইও হচ্ছে আমাদের ওয়েবসাইটে যে সকল পোস্ট বা ওয়েবসাইটের সার্ভিস সেবা দিয়ে বাহির থেকে সুন্দর ভাবে র‍্যাংক করানো যায়। যেনো কোন রকম কোন টেকনিক্যাল ক্রটি না থাকে। এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করবেন এ সম্পর্কে জানলে ও আবার  গুলোবাল এসইও, টেকনিক্যাল এসইও, অন পেজ এসইও, অফ পেজ এসইও এগুলোকে ৩ টা ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
  1. হোয়াইট হার্ট এসইও
  2. ব্লাক হার্ট এসইও
  3. গ্রে হার্ট এসইও
হোয়াইট হার্ট এসইও হচ্ছে এসইও করার জন্য কোন একটা সার্চ ইঞ্জিনের যে সকল নিয়ম কারণ থাকে সেই সকল নিয়ম কারণ মেনে যদি আমরা এসইও করি সেটাকে হোয়াইট হার্ট এসইও বলা হয়।
  • ব্লাক হার্ট এসইও সেই এসইও যেটার ম্যধমে কোন একটা সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ অ্যলগরি যতগুলো রয়েছে সেই নিয়ম কারণ না মেনে উল্টা পাল্টা ভং চং ভাবে কাজ করে দ্রুত র‍্যাংক নিয়ে আসার জন্য যে এসি ওগুলো করা হয় সেটাকে বলা হয় ব্ল্যাক হার্ট এসইও। তবে এগুলো এসইও করার জন্য অবশ্যই আমাদের সতর্ক অবলম্বন করতে হবে। কারণ এটি যদি গুগল বুঝতে পারে তাহলে যেকোনো সময় আমাদের ওয়েবসাইটটি ব্র্যান্ড হয়ে যেতে পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • গ্রে হার্ট এসইও হচ্ছে সেই জিনিস যে এসইও টা করার সময় ৫% হোয়াইট হার্ট এসইও আবার ৫% ব্লাক হার্ট এসইও করা হয়। কিছু নিয়ম কারণ মানা হয় আবার কিছু নিয়ম কারণ মারা হয় না সেটাই গ্রে হার্ট এসইও।

লেখকের শেষ মন্তব্য 

প্রিয় পাঠকেরা' এসইও কি এবং এসিও কিভাবে করবেন আশা করছি বুঝতে পেরেছেন এই পুরো পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ে। তবুও যদি আপনাদের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন। আশা করছি এই পুরো পোস্ট টি পরে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনাদের মনে থাকা এসইও নিয়ে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। 

আমার এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথে ও শেয়ার করে তাদের ও এসইও সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিতে পারেন। আমার ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন পোস্ট পড়তে ভিজিট করে রাখুন। স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন পোস্ট আপডেট করা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য সময় দিয়ে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url