মুখের ভিতর ঘা দূর করা ১৫ টি উপায়
চোখের বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার মুখের ভিতর ঘা এ যেন এক আতঙ্কের নাম। মুখের
ভিতর ঘা দূর করার ১৫ টি উপায় সম্পকে জানলে আপনি অনার্সেই তাড়া তাড়ি
মুখের ঘা ভালো করতে পারবেন। মুখের ভিতর ঘা সাধারণত ছোট বড় থেকে শুরু করে
প্রাপ্তবয়স্কদের পর্যন্ত হয়ে থাকে। মুখের ভিতর ঘা হলে আমরা চিন্তিত হয়ে
পড়ি।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আর এটি চিন্তারই বিষয় কারণ মুখের ভিতর ঘা হলে আমরা খাবার থেকে শুরু করে কোন
কিছুই খেতে
পারি না শান্তি মত। মুখের ভিতর ঘা কিভাবে ভালো করবেন তারা তারি? এই সম্পর্কে
জানতে হলে আপনাকে এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে
হবে।
.
কোন ভিটামিনের অভাবে কারণে মুখের ভিতর ঘা হয়
মুখের ভিতর ঘা এ্যালপথাস আলসার কারণ। বাংলাদেশে কুম বেশি সবারই মুখের ঘা হয়ে
থাকে। সে শিশু বাচ্চা হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক। মুখের ভিতর ঘা যাদের হয়ে থাকে তারাই
একমাত্র জানে এই অসুখ টা কত টা কষ্ট কর বা জটিলতার। মুখের ভিতর যাদের ঘা হয়ে
থাকে তারা না পারে ভালো ভাবে খেতে না পারে শান্তিতে ঘুমাতে। ছোট বাচ্চা
থেকে শুরু করে ছেলেদের মেয়েদের বা যদি কারো হয়ে থাকে তাহলে চিন্তিত হয়ে পড়ি
আমরা।
কি করব, কি করলে বা তাড়াতাড়ি মুখের ঘা ভালো হবে এরকম ভাব চিন্তা হয়ে থাকে।
কিন্তু তখন আমাদের মাথায় কোন কিছু উপায় সম্পর্কে আসে না। তাই আপনাদের মাঝে নিয়ে
এসেছি মুখের ভেতর ঘা দূর করার ১৫ টি উপায়। মুখের ভিতর ঘা অনেক রকম ভাবে হয়ে
থাকে। যেমন মুখের ভিতর মাংসপেশিতে ঘা, জিহ্বার উপরে ঘা, জিহ্বার নিচে ঘা
ইত্যাদি।
তবে আবার জিহ্বাতে অনেক রকম ভাবে ঘা হয়ে থাকে যেমন লালচে মতো ঘা হয়, খুদি খুদির
মত ঘা বের হয়, জিহ্বাতে সাদার মতো ঘা বের হয় ইত্যাদি। মুখের ভিতর এই ঘা গুলো বের
হলে অনেক জ্বালা করে থাকে এবং কোন খাবার খেতে লাগলে মনে হয় মুখের ভিতর কোন কিছু
ফোটার মতো লাগে। তাই এই ঘা হওয়ার আগে থেকে সর্তক থাকতে হবে বা যদি বুঝতে ও পারেন
তাহলে সাথে সাথে এর চিকিৎসা নিতে হবে।
মুখের ভিতর ঘা ভিটামিন বি ১২ জিক্সের অভাবে কারণে হয়ে থাকে। মুখে ভিতর অতিরিক্ত
ঘস হলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তারা আপনার মুখটা দেখে ভিটামিন
জাতীয় ক্যাপসুল খেতে দিতে পারে।
মুখের ভেতর ঘা ঘন ঘন কি কারণে হয়ে থাকে
মুখের ভেতর ঠোঁটের কাছে নরম যে আবরণ থাকে তাকে মিউকাস মেমব্রেন বলে। এই মেমব্রেন
যদি ক্ষয় হয়ে যায় তাহলে মুখের ভেতর ক্ষত বা আলসারের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তারপর
ধীরে ধীরে সেখান থেকেই সৃষ্টি হয় মুখের ভিতরে ঘা। তবে এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়।
এটি যে কারোরই হতে পারে যেকোনো সময়। যে কোন ভিটামিনের অভাবের কারণে বা অতিরিক্ত
কোন খাবার খাওয়ার কারণেও হতে পারে।
যেমন অতিরিক্ত পরিমাণ তেঁতুল, বোড় বা টক জাতীয় জিনিস খেলে ও মুখের ভিতর ঘা
হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ঘায়ের ক্ষেত্রে অনেক ব্যথা ও করে থাকে মুখের ভিতর।
মুখের ভিতর ঘা হলে যদি সাথে সাথে চিকিৎসা বা ডাক্তারের পরামর্শ না নেওয়া হয়
তাহলে আস্তপ আস্তে এটি ক্যান্সারের ও রূপান্তরিত করতে পারে। তাই শরীরের কোন রোগি
ছোট, বড় নয় সব অসুখ বা রোগ অনেক বড়।
মুখের ভিতর ঘা মানসিক চাপ থেকে ও হতে পারে আবার দাঁত ভাঙ্গা বা হরমোনাল
পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ও হতে পারে। তবে এই ঘা গুলো সময় এমনিতেই ভালো হয়ে যায়
আবার কোন কোন সময় ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন হয়ে থাকে। মুখের ভিতর ঘা জিব্হাতে
কামর লাগার কারণে, এলার্জি হওয়ার কারণে অথবা দাঁতের যে কোন ট্রিটমেন্ট করার সময়
আঘাত পেলে সেই আঘাত থেকেও হতে পারে এই ঘা গুলো। আবার ঘুম কম হলে, মানসিক চাপ এবং
এসিড যুক্ত খাবারের কারণে ও হয়ে থাকে।
যেমন কমলা, স্ট্রবেরি, আপেল ইত্যাদি কারণে ও মুখের ভিতর ব্যাপক ঘা হতে পারে। তবে
মুখের ঘা দূর করতে চাইলে মুখের ভিতর ঘা দূর করা ১৫ টি উপায় সম্পর্কে জানতে হবে
তাহলে আপনি তারা তারি ঘা দূর করতে সক্ষম হবেন।
মুখের ভিতর ঘা হলে করণীয় কি
মুখের ভিতর ঘা হলে আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। কারণ আমরা না পারি
শান্তিতে কোন খাবার খেতে না পারি পানি পান করতে বা না পারি মুখের ভিতর কোন কিছু
নড়াচড়া করতে, আবার কথা বলতে। মুখের ভিতর ঘা হলে এমনও দেখা যায় যে অতিরিক্ত
পরিমাণ মাথা ব্যাথা করে থাকে আবার ভালো ভাবে ঘুম হয় না। মুখের ভিতর ঘা দূর করা
১৫ টি উপায়ে মধ্যে সব থেকে সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘা ভালো করার উপায় হচ্ছে সোডা।
আরও পড়ুন :দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ
সোডা দিয়ে ও আপনি তাড়া তাড়ি আপনার মুখের ভিতর ঘা দূর করতে সক্ষম হবেন। তবে
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এটি ব্যবহার করবেন। প্রথমে একটা এক গ্লাসে ফ্রেশ
পানি এক কাপের মতো নিয়ে নিন। এরপর সোডা এক চা চামচ পানির সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে
পানি একটা চামুচের সাহ্যায নেড়ে চেড়ে ক্ষত স্থানে বা ঘায়ের ওখানে বারবার কুলি
করতে হবে। মুখের ভেতরের কমাতে ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে ঘায়ের ওখানে মধু লাগান এতে
করে ক্ষত স্থানটি ঠান্ডা থাকবে এবং আরাম বোধ করবেন।
মুখের ভিতর ঘা দূর করা ১৫ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সাধারণত মুখের ভিতর আলসার বা ক্ষত ব্যাথা যুক্ত কারণে হয়ে থাকে। এই ঘা গুলো
সাধারণত মুখের মাড়ি, ঠোঁটের ভিতরে, দাঁতের নিচে মাংস বেশি অংশ গুলো,
দাঁতের ভেতরের ক্ষত হওয়ার কারণে ও হয়ে থাকে। ঘা দূর করতে ১৫ টি উপায়
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক চলুন
- অতিরিক্ত পরিমাণ প্রতিদিন রাত জাগলে সেই অভ্যাসটি বাদ দিয়ে দিনের বেলায় জেগে থাকুন অর্থাৎ রাতের বেলায় কাজ বাদ দিয়ে দিনের বেলায় করুণ। রাত জাগার কারণে মুখের ভেতর যে আলসার গুলো সাধারণত হয়ে থাকে সেগুলো আরো বেশি পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- সবুজ শাক সবজি ফলমূল এগুলো বেশি পরিমাণ খেতে হবে এতে করে শরীরের পুষ্টির ঘারতি জনিত যে সমস্যা গুলো থেকে থাকে সেগুলো পূরণ করে।
- হালকা কুসুম গরম পানিতে লবণ এবং লবঙ্গ দিয়ে কুলি করতে পারেন ঘন ঘন। এত করে যাদের ব্যথা হয়ে থাকে ঘা গুলো হলে তাদের ব্যাথাটা কিছু টা হলে ও কুমবে।
- অতিরিক্ত পরিমাণ মুখের ভিতর ঘা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এতে করে ডাক্তারেরা আপনার মুখের ঘা দেখে ঔষধ দিবেন।
- ভিটামিন বি এবং আয়রন জাতীয় ঔষধ খেতে হবে অথবা পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হবে কচু শাক, গাজর, টমেটো ইত্যাদি।
- খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণ মসলা অথবা অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে যন্ত্রণা কুম হবে এবং অত সহজে ঘা হবে না।
- ঝাঁঝ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে যেমন জুস, কোক, স্প্রাইট ইত্যাদি।
- মাছ, মাংস, ডিম, ছোট মাছ ইত্যাদি খেতে হবে এতে করে শরীরের যেকোনো ঘাটতি জনিত সমস্যা গুলো পূরণ করতে সহায়তা করে। যার কারণে মুখের ভিতর ঘা হওয়া আশঙ্কা কুম থাকে। এগুলোতে ভিটামিন বি ১২, আয়রন, ফলিক এসিড থেকে থাকে।
- বেকিং সোডা। এক গ্লাস পানিতে যদি এক চা চামচ ব্রেকিং সোডা মিশিয়ে কুলি করেন তাহলে এতেও মুখের ঘা এর অপশন হবে।
- আমরা যে চা খেয়ে থাকি সেই সাথে যে চাপাতি টি মেশানো হয়ে থাকে সেই চা পাতা দিয়েও আপনি খুব সহজেই তাড়াতাড়ি ঘা সারাতে পারবেন। চা পাতা ভালো ভাবে বেটে ঠান্ডা করে নিয়ে ঘা এর স্থানে চেপে ধরে রাখলে আলসার দ্রুত কমে আসে। দিনে ৩ থেকে ৪ ব্যবহার করা উচিত এটি।
- বরফের একটা টুকরো পরিষ্কার কাপড়ে জড়িয়ে ঘা স্থানে বা ক্ষততে দুই থেকে তিন মিনিট চেপে ধরে রাখলে ব্যথা কমে যায় এবং তাড়াতাড়ি মুখের ঘা ভালো করতে সহায়তা করে থাকে।
- মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া এক চামচ মুখে নিয়ে যদি ২০ সেকেন্ডের মত কুলি করে ফেলে দেন তাহলে দ্রুত আলসার জাতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- হলুদ এবং মধু একসাথে বাটিতে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন এতে করে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।
- নারিকেলের তেলের সাথে কিছুটা পরিমাণ মধু অথবা দুধ ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন।
- খাবারের সাথে কাঁচা টমেটো খাওয়ার যদি অভ্যাস থাকে তাহলে দেরি না করে খেয়ে ফেলুন প্রতিদিন খাবারের সাথে এতে করে খুব তাড়াতাড়ি মুখের ঘা সেরে যাবে।
মুখে ঘা হওয়ার কারণ কি এবং এর প্রতিকারই কি
হঠাৎ করেই মুখে দেখা যেতে পারে যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থায় ছোট ছোট ঘা গুলো।
প্রচন্ড জ্বালা যন্ত্রণা থেকে শুরু করে মাথা ব্যাথা ও হয়ে থাকে। যারা অতিরিক্ত
রাত জাগে বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করে বিশেষত তাদেরই এটি ঘন ঘন দেখা যায়। আবার
যারা মুখের যত্ন নেন না বা মুখে যত্ন নেওয়ার থেকে এড়িয়ে চলেন তাদের ও এটি ঘন
ঘন দেখা দিতে পারে।
অনেক কারণেই হয়ে থাকে যেমন অতিরিক্ত গরম খাবার খাওয়ার কারণে,ক্যালকুলাস বা
মুখের প্রদাহ ইত্যাদি। অতিরিক্ত গরম খাবার খাওয়ার কারণে মুখে ঠোঠে অথবা ভেতরে
ফোস্কা জাতীয় সমস্যা দেখা যে থাকে। যদিও আমরা উপরে জেনে এসেছি মুখের ভিতর ঘা দূর
করা ১৫ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। আর উপরের কিওয়ার্ড টি পড়ে এটা জেনেছি যে
কিভাবে ঘা এর প্রতিকার করতে হবে। ছোট ডিম্বাকিত বা গোলাকার কিছু ঘা মুখে দেখা
যেতে পারে।
এর চারিপাশটা সাধারণত লাল এবং চারপাশ ঘিরে ছোট ছোট ঘামাচির মত দানা গুলো
দেখা যেয়ে থাকে এবং এই ঘা গুলো হওয়ার কারণে খুব যন্ত্রণা এবং ব্যাথা দায়ক হয়ে
থাকে। মুখের ভিতর এই ঘা গুলো একটি ও হতে পারে আবার শতাব্দীও হতে পারে। মূলত এই ঘা
গুলো জিহ্বা উপরে, তালুতে, গলায়, গালে, জিব্বার নিচে যেকোনো জায়গাতেই দেখার
যেয়ে থাকে।
এই ঘা গুলো যখন ঘন ঘন হয়ে থাকে তখন অনেকেই মনে করে ফুসকা পড়েছে হয়তো। আর সেই
ফুসকা ফেটে যেয়ে ব্যাথা দায়ক হয় হয়তো। কিন্তু এই ঘা গুলো হলে অতটাও ভয় পাওয়ার
প্রয়োজন নেই কারণ এই ঘা গুলো এমনিতেই এক থেকে সাত দিনের মধ্যে ভালো হযমাণ হলে
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে মুখের ভিতরে খাওয়া দূর করা ১৫ টি উপায়
সম্পর্কে জেনে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে মুখের ভিতর ঘা হলে তার প্রতিকার করবেন। আশা
করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের লেগেছে। আর ভালো লেগে থাকলে আমার ওয়েবসাইটে নিত্য
নতুন পোস্ট করতে পারেন প্রতিদিন।
কারন আমার ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন প্রত্যেক দিন পোস্ট আপডেট করা হয়ে থাকে। আপনার
কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন অথবা এরপর
কি সম্পর্কে পোস্টে পড়তে চাচ্ছেন সেটি বলতে পারেন। ধন্যবাদ এ পোস্ট টি মনোযোগ
সহকারে শেষ পর্যন্ত সময় দিয়ে পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url