এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো ও কি কি

প্রিয় পাঠক' আপনার কি এলার্জির সমস্যা নিয়ে চিন্তিত।তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি আর্টিকেল নিয়ে লিখছি যা এলার্জি দূর করতে পারবেন অনাসেই। 

যাদের এলার্জি রয়েছে বিশেষত তাদের এই বিষয়টি জানা উচিত। এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো ও কি কি এসব কিছুর উপর সচেতন হওয়া। 

.

ভূমিকা 

আমরা খাবার সবাই খেয়ে থাকি। খাবার খাওয়ার কারণেই হতে পারে অনেক বড় বড় রোগ ব্যাধি। যদি আমরা খাবারের উপর একটু সচেতন না হই। দুধ, ডিম, মাছ, ডাল, শাক, সবজি চিনা বাদাম ইত্যাদি হতে পারে এলার্জির কারণ। এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন 

এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো ও কি কি,  কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই ও খাওয়া উচিত, কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে, কোন কোন মাছে এলার্জি আছে, কোন কোন শাকে এলার্জি আছে, কোন কোন মাংসে এলার্জি আছে, কোন ফলে এলার্জি আছে, এলার্জি হলে আমাদের করণীয়, ইত্যাদি। মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো ও কি কি 

আমাদের বাংলাদেশের প্রায় মানুষেরই এই অসুখটি কমবেশি থেকে থাকে। সেটি হচ্ছে এলার্জি। এলার্জি প্রতিটি মানুষেরই প্রায় কমবেশি থেকে থাকে। এলার্জি থেকে হাঁচি শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারো কাছে এলার্জি সামন্য মনে হল ও আবার অনেকের কাছেই জীবনকে বাতিস না করে তোলে। এলার্জির যন্ত্রণায় মনে হয় জীবনটা যেন মরুভূমি। 

এলার্জির সমস্যা দূর করতে আপনাকে কিছু খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে বেগুন, ডাল, গরুর দুধ, মাংস, মাছ ইত্যাদি। এলার্জি অনেক প্রকার হয়ে থাকে। যেমন চোখে এলার্জি, গায়ে চাকা চাকার মতো হয়ে বের হয় এরকম একটি এলার্জি, মাথা চুলকানা, হাতের তালু চুলকানা,পুরো গা জুড়ে ঘামাচির মত বের হয় এটা এক ধরনের এলার্জি, পিঠে লালচে ভাব হয় এটা এক ধরনের এলার্জি, 

হাতে পায়ে গরমের কারণে কাপড়ের ঘৃষ্ণায় লালচে হয় এটা এক ধরনের এলার্জি, হাত পা চোখ মুখ ফুলে ওঠা এক ধরনের এলার্জি ইত্যাদি। যেগুলো খাবারে আপনার এলার্জি হয়ে থাকে বা এলার্জি রয়েছে সেগুলো খাবার গুলে এড়িয়ে চলা ভালো। এতে আপনার শরীর ও স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে। প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে ছোট বাচ্চাদেরই এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে বা ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সের ছেলে মেয়েদেরই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বেশি। 

কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই ও খাওয়া উচিত 

বিশ্বের মধ্যে প্রায় বেশি শতাংশ লোকদেরই এলার্জির সমস্যা। মূলত এটি খাবারের কারণেই হয়ে থাকে। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে যাদের বেশিরভাগ সব খাবারে এলার্জি থাকে তারা কি খাবেন। এ নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তবে চিন্তার কারণ নেই। আমি আপনাকে আজ এমন একটি কিওয়ার্ড সম্পর্কে জানাবো এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো ও কি কি সব খাবারই যদি এলার্জি হয়ে থাকে কোন খাবার গুলোতে এলার্জি নেই বরং এলার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাতে সাহায্য করবে। 

আরও পড়ুন : ঘরে বসে থেকে স্টুডেন্টদের অনলাইনে ইনকামের উপায়

সে খাবার গুলো হচ্ছে আপেল, কমলালেবু বা লেবু, আঙ্গুর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পিঁয়াজ, কলা, শসা, আদার চা, গ্রীণ টি, ক্যাস্টর অয়েল, টক দই, হলুদ, আনারস, তেতুল ইত্যাদি। এ খাবার গুলোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিভাইরাল, পুষ্টি, আন্টি ইনফ্লামেটরি ইত্যাদি যা এলার্জি প্রতিরোধ করে এলার্জি ভালো করতে সহায়তা করে। তবে এই খাবার গুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখবেন যে বেগুন, ডাল, কচু, কিছু জাতীয় মাছ ুএগুলো থেকে বিরত থাকতে। 

কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 

আমাদের গায়ে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থাকলেও কোন খাবার গুলোতে কোন সবজিতে কোন শাকে এগুলো  আমরা কোন কিছু না জেনেই খেয়ে থাকি। খাবার খাওয়ার আগে বা রান্না করার সময় আমাদের এ বিষয়টার উপর অবশ্যই নজর রাখতে হবে যে কোন সবজি গুলোতে বা কোন খাবার খাদ্য তে এলার্জি রয়েছে। 

সে খাবার খাদ্যগুলো একটু যাচাই বাচাই করেই আমাদের রান্না করতে হবে। কোন সেই সবজিগুলো যেগুলোতে এলার্জি রয়েছে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। 
  • মিষ্টি কুমড়া 
  • সামুদ্রিক মাছ
  • চিনা বাদাম 
  • পুঁইশাক 
  • ডাল 
  • বেগুন
  • সিম
  • পেঁপে 
  • কচু
  • পালং
  • গাজর
  • গরুর দুধ
  • টমেটো

কোন কোন মাছে এলার্জি আছে চলুন জেনে নেওয়া যায় 

আমাদের এলার্জি সমস্যা এক এক খাবার এক রকমের কারণে হয়ে থাকে। যেমন কারো পুঁইশাক খেলে এলার্জি হয়, আবার কারো হয় না। আবার অনেকের সব খাবার খাদ্য গুলোতেই এলার্জি থেকে থাকে। এই জন্যে একে বারে হতাশ হওয়ারও কোনো কারণ নেই আপনাকে আগে এটা নিশ্চিত হবে হতে হবে কোন খাবার গুলো থেকে আপনার এলার্জির সমস্যা হচ্ছে। 

সব খাবারগুলো থেকে না শুধু বেগুন থেকে না মাছ থেকে না ডিম থেকে দুধ থেকে না শাকসবজি থেকে বিষয়ের উপর আগে আপনাকে সচেতন হতে হবে এবং এ বিষয় গুলো জানতে হবে। আপনার যদি শাক সবজি থেকে এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে তারপর এ বিষয়টি জানতে হবে কোন শাক খেলে আপনার এলার্জি হচ্ছে পুঁইশাক খেয়ে মিষ্টি কুমড়া শাক খেয়ে না অন্য কোন শাক খেয়ে। 


সবজির ক্ষেত্রে জানতে হবে মিষ্টি কুমড়া না মিষ্টি আলু না খাবার থেকে এরকম ভাবে সব বিষয়ের উপরে আপনাকে সচেতন হতে হবে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন সেই মাছগুলো গুলো যে গুলো খেলে এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে।
  • পুটি মাছ
  • টুনা মাছ 
  • চিংড়ি মাছ 
  • ইলিশ মাছ 
  • সামুদ্রিক মাছ 
  • ক্যাটফিস
  • স্যামন
  • কড মাছ
  • শেলফিস 

কোন কোন শাকে এলার্জি আছে বিস্তারিত জেনে নিন 

আমরা খাবার খাদ্যের মধ্যে শাক প্রাই খেয়ে থাকি। আর ডাক্তারেরা ও আমাদের বেশি বেশি করে শাকসবজি খেতে বলে থাকে। কারণ শাক সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি এবং ভিটামিন যা শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে সহয়তা করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে। এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো ও কি কি আপনারা এটা জানলেও হয়তো এটা জানেন না কোন কোন শাক খেলে আমাদের এলার্জি হতে পারে। 

এলার্জি সমস্যা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা বলতে গেলে ও ভুল বলা হবে। কারণ কোন অসুখি সামান্য হয়ে থাকে না সে আপনার গায়ে জ্বর, চুলকানি অথবা মাথা ব্যাথা হয়ে থাক না কেনো। শরীরের যেকোনো সমস্যায় অনেক বড় সমস্যা। আচ্ছা যারা বলে এলার্জি সাধারণ একটি শারীরিক সমস্যা এ কথাটা কি আজও সত্য। 

আচ্ছা আপনারা একবার ভেবে দেখেন তো আপনাদের গায়ে যদি এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে কি আপনারা ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারেন বা ঠিকভাবে কোন খাবার খাদ্য খেতে পারেন নিশ্চয়ই পারেন না। কারণ এলার্জির সমস্যা হয়েই থাকে খাবার খাদ্য থেকে। তাহলে এটি কিভাবে সামান্য সমস্যা হল। তবে চলন জেনে নেওয়া যাক যে শাক গুলো খেলে ও হতে পারে এলার্জির সমস্যা। 
  • পুঁইশাক 
  • পালং শাক
  • কচু শাক 
  • মিষ্টি কুমড়ার শাক

কোন কোন মাংসে এলার্জি রয়েছে জেনে নিন

আমরা শাক সবজি থেকে শুরু করে মাছ মাংস খেতে ভালবাসি না এমন হয়তো কেউ নেই মাছ মাংস টা একটু সবাই খেতে পছন্দ করি বেশি। মাছে যেমন রয়েছে এলার্জি ঠিক তেমন মাংসের ও রয়েছে এলার্জি। তবে কোন কোন মাংস গুলো আপনারা জানেন কি। না জেনে থাকলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। হাঁসের মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এলার্জি যা খাওয়া মাত্রই আপনার গা-হাত-পা থেকে চুলকানি শুরু করে হাত পা ফুলে উঠতে পারে। 

হাঁসের মাংস খেতে যেমন সুস্বাদু, ঠিক তেমনি হাঁসের মাংসে রয়েছে অনেক অসুখ ব্যাধি ও। হাঁসের মাংস খেলে শুধু এলার্জিরই সমস্যা হয় না যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং আজমার সমস্যা রয়েছে তাদেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে হাঁসের মাংস খেলে তাই আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে। গরুর মাংসে ও এলার্জি রয়েছে। 

তবে গরুর মাংস খেলে অনেকের এলার্জি হয় আবার অনেকের হয় না তাই এই বিষয়ের উপর আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে গরুর মাংস খেলে কি আপনার এলার্জি হচ্ছে কি না যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে আর হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ অনুযায়ী আনা এলার্জির ওষুধ খাবেন। 

হঠাৎ করে ডিস্প্রিনসারিন থেকে কোন এলার্জির ওষুধ এনে খাবেন না কারণ আমি শুরুতেই বলে এসেছি অনেক রকমেরই হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই তাকে দেখিয়ে তারপর এলার্জির ওষুধ খাবেন। 

কোন ফলে এলার্জি আছে না জেনে থাকলে জেনে নিন 

ফলমূল আমাদের বিশ্বের অন্যতম একটি খাবার বা খাদ্য। ফলমূল সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু কিছু ফলমূলেও রয়েছে এলার্জি যদি আপনি ফলমূল গুলোর না জেনেই খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে যে কোন সময় এলার্জির সম্মুখীন হতে হবে। অনেকে এলার্জির কথা ভেবে মাছ, মাংস, ফলমূল খেয়ে থাকছে। 


কিন্তু আপনারা এটা জানেন না যে ফল মূলে ও এলার্জির বেশ পরিমাণ ভূমিকা রয়েছে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে খাদ্যভাস থেকেই শুধু এলার্জি হয় না এলার্জি ঝতু মাস, বছরের পরিবর্তনের কারণেও হতে পারে। আমরা উপরে যেমন এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো ও কি কি পড়ে এসেছেন ঠিক তেমনি এখন জানব কোন ফলমূলে ও এলার্জি রয়েছে। আপেল, টমেটো, গাজর, শসা ইত্যাদি। 

এলার্জি হলে আমাদের করণীয় কি 

এলার্জি হলে আমরা অনেকেই হতাস হয়ে পড়ি। কিন্তু আমাদের হতাশ না হয়ে এলার্জি হলে শরীরে প্রতি যত্ন নিতে হবে। এলার্জির মতো সমস্যা কিভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। এলার্জি হলে আমাদের যা করতে হবে। টক জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন কমলা লেবু আনারস স্ট্রবেরি জাম্বুরা টক দই ইত্যাদি বেশি পরিমাণ খেতে হবে। 

এই খাবার গুলো খেলে এলার্জির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এলার্জি হলে আপনি নিমপাতা দিয়ে আপনি প্রতিদিন গোসল করতে পারেন এতে করে শরিরের যত ব্যাকটেরিয়া বা জীবানু  থাকে সেগুলো প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে নিমপাতা। নিম পাতা বেটেও লাগাতে পারেন। এলার্জি হলে এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে পুঁইশাক, ডিম, ডাল, আপেল, হাসের মাংস, ইত্যাদি।

বেশি পরিমাণ এলার্জি হলে অবশ্যই ডাক্তারে সাথে পরামর্শ করতে হবে ঔষধ খেতে হবে। আপনি চাইলে হলুদ চা করে খেতে পারেন। হলুদ শরীরের জন্য খুবই প্রকারই একটি ঔষধ। মধু এলার্জির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি মধু খেতে পারেন। আদা দিয়ে চা। আদা শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী একটি প্রযোজ্য। আদা খেলে শরিরের অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য 

এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো ও কি কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছে চেষ্টা করেছি আশা করি এ পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে আর ভালো লাগলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করে রাখুন। এতে করে আপনি নিত্য নতুন পোস্ট করতে পারবেন। 

আমার এ পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে ও শেয়ার করতে পারেন কেননা এলার্জি সবারই হয়ে থাকে। হয়তো কারো কম বা বেশি। আপনি যদি আপনার বন্ধুকে পোস্টটি শেয়ার করেন তাহলে আপনার বন্ধু সচেতন হতে পারবে।

নিজের সচেতন হন এবং অন্যকে সচেতন করুন। আপনার কোন মতামত বা প্রশ্ন থেকে থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে বলতে পারেন। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করার জন্য।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url