স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা ও অপ্রয়োজনীয়তা
স্মার্ট ফোন এখন প্রতিটি মানুষের হাতেই রয়েছে এমনটি এটি দিয়ে আজ পর্যন্ত দেখে নিয়ে এমন হয়তো কেউ নেই। অনেকের কিনার সামর্থ্য না থাকলেও এই স্মার্ট ফোনটি অন্যের হাতে দেখেছে অনেকেই।
কিন্তু স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা ও অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। কারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করলে আমাদের কি উপকার হয় এবং স্মার্ট ফোন ব্যবহার করাতে আমাদের কি কি ক্ষতি হয় সেই নিয়ে থাকছে আজকে বিস্তারিত পোস্টে।
.
২০২৪ সালে বর্তমানে স্মার্ট ফোনের ভূমিকা
স্মার্ট ফোন চিনে না এমন হয়তো কেউ নেই। আজকাল ২০২৪ সালে বর্তমান যুগে গরিব থেকে শুরু করে বড়লোক সবার হাতেই রয়েছে এই স্মার্ট ফোনটি। কিন্তু কি কি কারনে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে আপনি কি সেটি জানেন? যারা জানেন না তারা এই কিওয়ার্ডটি পড়তে থাকুন এবং যারা স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা নিচের কিওয়ার্ড গুলোতে দেখুন। স্মার্ট ফোন বিভিন্ন কাজ করা থেকে শুরু করে ব্লগিং ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিশেষ করে
- টাইম দেখা
- গেমস খেলা
- বিভিন্ন আপসের মাধ্যমে ছবি তোলা
- ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা
- ভিডিও এডিটিং করা
- কথা বলা
- কথা রেকর্ডিং করা
- বিভিন্ন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সহ বুকিং করা
- ঘরে বসে থেকে বাসের টিকিট বুকিং করা
- বিভিন্ন ফ্রম জমা দেওয়া
- ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা হিসাব-নিকাশের জন্য
- ইন্টারনেট সংযোগ করা
- বিদ্যুৎ বিল গ্যাস সহ অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া
- বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা আদান-প্রদান করা
- যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়া
- বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করা।
মূলত এইগুলো স্মার্ট ফোনের ভূমিকা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও স্মার্ট ফোনের আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো বলেও শেষ হবেনা। স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা এতটাই বেশি মানুষ জনের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে যে এখন মানুষ স্মার্ট ফোন ছাড়া যেন কিছুই বোঝেনা।
ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার অপকারিতা
স্মার্টফোন যেমন বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ঠিক তেমন আজকাল বড় থেকে শুরু করে ছোট সবার হাতে হাতেই রয়েছে। কিন্তু এই স্মার্ট ফোন যেমন অনেকের কাজে লাগে ঠিক তেমন এই স্মার্ট ফোনে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপরেও ক্ষতির প্রভাব ফেলে থাকে। আজ কাল অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত বেশির ভাগ মোবাইলেই আসক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন গান শুনা এবং গেমস খেলার সাথে।
আরও পড়ুন : পাসপোর্ট করার জন্য কত বছর বয়স লাগে
তারা পড়া শুনা বাদ দিয়ে ফোন টিপতেই যেন ব্যস্ত হয়ে পরে। যেটি পড়াশোনার ক্ষতি করে থাকছে। এটি যেন তাদের একটি নিত্যদিনে নিশা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও হাই স্কুলে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের দেখা যেয়ে থাকে যে তারা বিভিন্ন টিক টক লাইকি ভিডিও বানাতেই বাঁচতো হয়ে পড়ে পড়াশুনা বাদ দিয়ে। আবার অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা ছোটতেই টাকার নেশা হয়ে যাচ্ছে ফোন থেকে ইনকাম করার জন্য।
ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্ট ফোন থেকে বের করার উপায়
অনেক মা বাবাই রয়েছে যারা স্মার্ট ফোন থেকে তাদের ছেলে মেয়েকে বের করে নিয়ে আসতে চাইলেও তারা পারছে না। দেখা যাচ্ছে মা হয়তো রান্না ঘরে চলে যাচ্ছে ঠিক তখনই তারা ওই ফাঁকে স্মার্ট ফোনটি ব্যবহার করে থাকছে। কিন্তু সেই মা বাবাদের স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে হবে তাহলেই আপনার বাচ্চাকে এটি থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারবেন অনায়াসেই।
প্রতিটি মা-বাবার উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই যদি পড়াতে পড়াতে রান্না ঘরে ও যান তাহলে আপনার বাচ্চাটিকে সাথে নিয়েই যান সেখানেই একটি শরী অথবা পাটি পাড়িয়ে ওখানে আপনার বাচ্চা পড়ান এবং রান্না করুন এতে করে অন্যদিকে ফোন টিপার কোন সুযোগ পাবে না।
পরবর্তীতে আপনার বাচ্চা যদি পড়া শেষ হলে স্মার্ট ফোনটি টিপতে চায় তাহলে তাদের বলন যে পড়াশোনা বিষয়ে কোনো কিছু youtube-এ সার্চ দিয়ে সেগুলোই শুনতে যেমন হয়তো বাংলা বিষয়ে একটি বই সার্চ দিয়ে ইংলিশ বা যেকোনো পড়ার বিষয়ে সার্চ দিয়ে পড়তে বলুন। এতে করে আপনার বাচ্চা ফোন টিপলেও ফোনের মাধ্যমে পড়া শোনা করতে পারবে এবং পড়ার একটি ধারণা মাথায় আসবে।
স্মার্ট ফোন ব্যবহার করায় শারীরিক কি প্রভাব পড়ে থাকে
স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন শারীরিক প্রভাব পড়ে থাকে। যেমন স্মার্ট ফোনের পাওয়ার আলো বেশি দিয়ে দেখলে চোখের সমস্যা হয়ে থাকে এবং চোখের জ্যোতি কমে যেয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে ঘাড়ের ব্যাথা দেখা দিতে পারে।
যেকোনো সময় মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কানে কম শোনার মত সমস্যা ও হয়ে যায়। তাই স্মার্ট ফোনটি ব্যবহার করলে অবশ্যই সতর্ক অবলম্বন করন। এছাড়াও স্মার্টফোন একটানা এক থেকে দেড় ঘন্টা কখনোই দেখবেন না বা চালাবে না এতে করে মাথা ব্যাথা হতে পারে। তাছাড়া এই স্মার্ট ফোনের কারণে অনেকেই অনেক রাত ভরায জাগিয়ে থাকে। ঘুমানো বাদে স্মার্ট ফোন টিপে থাকে একটানা।
স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার ৫ টি ক্ষতিকর দিক
স্মার্টফোন তো আমরা সবাই ব্যবহার করে থাকি কিন্তু স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কয়জনই বা জানি। আপনারা যদি স্মার্ট ফোনের ৫ টি ক্ষতির দিক সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনার ও যদি এই সমস্যা গুলো হয়ে থাকে তাহলে স্মার্ট ফোন বেশি টিপা থেকে বিরত থাকুন সবাই। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করার ৫ টি ক্ষতিকর দিক।
রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।
- এক টানে বেশিক্ষণ ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে চোখের জ্যোতি সমস্যা হতে পারে।
- স্মার্ট ফোনের আওয়াজ জুড়ে দিয়ে যদি গান শোনেন তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণ মাথা ব্যাথা হতে পারে।
- রাত জেগে স্মার্ট ফোন টিপলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
- রাত জেগে স্মার্ট ফোন টিপলে কোন কাজে মন বসে না।
স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তা
স্মার্ট ফোনের বর্তমান যুগে সব চেয়ে বড় একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার। এর চাহিদা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে মানুষ জনের কাছে। কারণ আজকাল স্মার্ট ফোনটির মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই যে কোন পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে থাকছেন অনেক ক্রেতারা। এই স্মার্ট ফোন যেন প্রতিটি মানুষের জীবনকে আরো সহজ করে তুলছে দিন দিন। বিজ্ঞানীর সকল আবিষ্কার প্রযুক্তিই মানুষের কাজে লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু তার মধ্যে যেন এটি অন্যতম।
আজকাল মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে উঠছে এই স্মার্ট ফোনটি। স্মার্ট ফোন ছাড়া যেন রাস্তা বা অফিস আদালতে চলাফেরা করায় দুর দায় হয়ে পরে। স্মার্টফোন মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বিভিন্ন কারণে অনেকের ক্ষেত্রে যোগাযোগ ছবি তোলা বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্কে সার্চ দিয়ে জানা এবং মনোরঞ্জন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকছে। এর ব্যবহার যেন অপরিসীমা।
মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা যে এতটা বৃদ্ধি পাবে মানুষজনের মাধ্যমে সেটি হয়তো আজ থেকে কিছু যুগ আগে কেউই কল্পনা করেনি। পুরো বিশ্বের খবর পাওয়া যায় শুধু হাতে থাকা একটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে। আমরা যেন পুরো জগৎকেই দেখে থাকি এই স্মার্ট ফোন দ্বারা।
আর এর জন্যই স্মার্ট ফোনের আমাদের এতটা প্রয়োজনীয়। স্মার্ট ফোনের অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যদি আমি বলি তাহলে বলবো আপনারা এটি কুম ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন। কারণ এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির প্রভাব ও ফেলে থাকে। এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার বিভিন্ন ক্ষতির দিক
দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে আমাদের সাথেই জড়িয়ে পড়ছে স্মার্ট ফোন ঠিক তেমনি ক্ষতির প্রভাব ও ফেলে থাকছে। স্মার্ট ফোন দীর্ঘ সময় ভরা ব্যবহার করলে ঘাড় ব্যথা সহ বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন গেম খেলার মাধ্যমে মানুষজন এক ভাবে তাকিয়ে থাকে স্কিনের দিকে। যার কারনে শারীরিক এবং ক্ষতির প্রভাব ফেলে শরীরল শাস্হ্যর উপর।
যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভায়িসের উপর দ্রুত বজায় রাখা উচিত। স্মার্ট ফোন ব্যবহার কারণে এখন অনেক স্মার্ট ফোন ব্যাবহারের কারণে অনেক তরুণ তরুণীরা পড়া শুনো থেকে বিরত থাকছে। এছাড়াও স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। খাবারের প্রতি রুচি কমিয়ে যেয়ে ও থাকে অনেকের ক্ষেতরে। অনেকের ক্ষেতরে আবার দেখা যায় যে কানে হেড ফোন লাগিয়ে জোরে আওয়াজ দিয়ে শুনে থাকে। যেটি করা একেবারে ভুল কাজ। এতে করে কানের সমস্যা হয়ে থাকে।
স্মার্ট ফোন কাদের ব্যবহার করা উচিত
স্মার্ট ফোন বাংলাদেশের অন্য তম একটি ডিভাইস। স্মার্ট ফোন কম বেশি সবাই ব্যবহার করে থাকে কিন্তু স্মার্ট ফোন কাদের ব্যবহার করা উচিত এবং কাদের ব্যবহার করা উচিত নয় এটি অনেকেই জানেনা। স্মার্ট ফোন ৩ থেকে ১০ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের ব্যাবহার
আরও পড়ুন : হারানো ফেসবুক আইডি ফিরে পাওয়ার উপায়
করতে দেওয়া উচিত নয় এবং যারা বিভিন্ন সমস্যায় বা রোগে আক্রান্ত তাদেরও স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ আমরা উপরে জেনে এসেছি স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। স্মার্টফোনের চাহিদা দিন দিন যেমন বেড়েই চলেছে ঠিক তেমনি থেকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকছে অনেকেই।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা' স্মার্ট ফোনের প্রয়োজনীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আপনাদের কেমন লেগেছে নিচে মন্তব্য বক্সে মন্তব্য করে রাখুন। এছাড়াও আপনার যদি স্মার্ট ফোন সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে সেটিও জানিয়ে রাখুন।
আমি আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য এবং আমার পাশে থাকার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url