ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিকদের মতে জ্বরের অনেক প্রকার ভেদ রয়েছে। তবে সে প্রকারভেদ গুলো কি। তাছাড়াও ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি এবং এর প্রতিকার কিভাবে করব।
১০০ ডিগ্রি পরিমাণ জ্বর আসলে কিভাবে ভালো করব এই নিয়ে থাকছে আজকে বিস্তারিত পোস্টে। আপনি যদি জ্বর সম্পর্কে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সার্চ দিয়ে সঠিক তথ্যটি না পেয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
.
১০০ ডিগ্রি পার জ্বর হলে করণীয় কি
জ্বর একটি মারাত্মক অসুক কারণ জ্বর থেকে মানুষের টাইফয়েলেও যে থাকে। আবার সেই টাইপার থেকে বিভিন্ন টাইপার যাওয়ার সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই আমাদের অল্পতেই জ্বর আসলে আমরা যতদূর পারবো ততদূর ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা করার চেষ্টা করব।
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার আমরা কিভাবে করব সে নিয়েও বিস্তারিত নিচে আলোচনা করব এখন আমরা জানবো ১০ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় কি তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। প্রতিটি মানুষেরই জ্বর এলে যত্ন নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : মাথা ব্যাথা কমানোর ১৫ টি উপায়
জ্বর আসলে আমাদের প্রথম যে কাজটি হবে সেটি হল বেশি বেশি করে মাথায় পানি দেওয়া। গামছা ভিজিয়ে গা মুছে দেওয়া এছাড়াও সুতির কাপড় দিয়ে গা মুছে দেওয়া চেষ্টা করবেন। জ্বর আসলে অল্পতেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাবেন। জ্বর আসলে ঘুম ধরলে ঘুমাতে দিন কানের কাছে বেশি চিৎকার বা আওয়াজ করা থেকে থাকবেন।
ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ কি কি
কিছু কিছু সময় রয়েছে যে সময়টা অতিরিক্ত পরিমাণ জ্বর হয় থাকে। কিন্তু জ্বর এবং ভাইরাস জ্বরের মধ্যে পার্থক্য কিভাবে বুঝবেন ভাইরাস জ্বরের লক্ষণই বা কি কি। তাছাড়াও ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার কি এই নিয়ে যারা জানতে চাচ্ছেন তারা সঠিক জায়গাতেই এসেছেন আশা করছি। বাকিটুকু আপনি পড়লেই জানতে পারবেন। অনেকেই ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ এবং কারণ না জেনে অনেক রকম ঔষধ খেয়ে ফেলে।
যা একেবারেই করা ঠিক নয়। কারণ আমরা যদি নিজেরাই ডাক্তার হতাম তাহলে তো আর ডাক্তারের কাছে কোন যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না কোন রোগের কারণে। তাই আমি শুরুতেই বলবো আপনি কোন সময়ই নিজে নিজেই কোন ঔষধ দোকান থেকে নিয়ে এসে কখনোই খাবেন না। যদিও খাওয়া লাগে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে একটিবার ফোন দিয়ে তার পরামর্শ নিয়ে খাবেন। ভাইরাস জ্বর হচ্ছে এমনই একটি জ্বর যেকোনো সময় যেকোন অবস্থায় হয়ে থাকে।
সাধারণত জ্বর তো গায়ে থাকবেই কিন্তু ভাইরাস জ্বরের যে লক্ষণ দেখে বুঝে নিবেন তাহল নাক, কান, গলা, ফুসফুস ব্যথা এবং জাম এগুলো সাধারণ জ্বরে হয়ে থাকে। কিন্তু আপনারা যখন এটি দেখবেন যে হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, শুকনো কাশি, গলা বসে গেছে অথবা ভেঙ্গে যাচ্ছে তখনই বুঝে নিবেন শুধুমাত্র আপনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিন থেকে চারদিন যাওয়ার পরেও যখন আপনারা দেখবেন যে জ্বরের মাত্রা কমছে না বরং আরো দিন দিন বাড়ছে তখনই বুঝে নেবেন এটি ভাইরাস জ্বর এ আক্রান্ত হয়েছেন। তখন দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হবে এবং শুরু থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করবেন যখন গায়ে জ্বর আসবে। এত করে আপনাকে আর পরবর্তীতে বড় সমস্যায় সম্মুখীন হতে হবে না। ভাইরাস জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া।
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
কিছু দিন পর পর গায়ে ঘন ঘনই জ্বর আসে। কিন্তু কি কারনে আসে এটা অনেকেই জানে না। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে যেকোনো সমস্যা থেকেই এই ঘন ঘন জ্বর গুলো দেখা দিতে পারে। কিন্তু আপনারা কি জানেন কি কি কারনে এই জ্বর গুলো হয়ে থাকে। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ হচ্ছে বুকের ভিতর পানি জুমে যাওয়া, ঠান্ডা সংক্রান্ত, এক জায়গার পানি খেতে খেতে অন্য জায়গার পানি খাওয়া।
আরও পড়ুন : পাসপোর্ট করার জন্য কত বছর বয়স লাগে
আজ পর্যন্ত কোন মানুষ বলতে পারেনি যে তার জ্বর হয়নি। চিকিৎসকেরা সাধারণত বলে থাকে জ্বর এটি কোন রোগ নয় এটি অন্য কোন রোগের লক্ষণের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। সাধারণত জ্বর গুলো এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই ভাল হয়ে যায়।
কিন্তু এমন কিছু জ্বর রয়েছে যেগুলো খুবই মারাত্মক হয়ে উঠে। এর জন্যে চিকিৎসকেরা জ্বর আসলে অবহেলা করাটা মানা করে থাকেন। শিশু এবং বয়স্ক ক্রনিক কোন রোগ আছে বা আগে কোন সমস্যা রয়েছে তাদের এ বিষয়ে প্রতি সচেতন হওয়া বেশি জরুরী। চিকিৎসকদের মতে জ্বর কে তিন ভাবে ভাগ করা হয়েছে।
- ইন্টারমিটেন্ট
- কন্টিনিউড
- রেমিটেন্ট
কি কারনে জ্বর হয়ে থাকে
যেকোনো ঠান্ডা জনিত সমস্যা কারণ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত রোগের কারণেও জ্বর হয়ে থাকে। নানা ধরনের ইনফেকশন বা মানসিক আঘাত পেলেও জ্বর হয়ে থাকে। এছাড়াও কান ছাড়ার কারণেও কিন্তু জ্বর হতে পারে। কিছু কিছু জ্বর রয়েছে যেগুলো মৃত্যুর দিকেও ঠেলে থাকে। তার মধ্যে কিছু সূচনা হলো টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ইয়েলো ফিভার, ম্যালেরিয়া।
আমাদের বাংলাদেশে এখন ডেঙ্গু কমবেশি প্রায় জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু কামরে জ্বর আসলে যে লক্ষণ দেখে বুঝে নেবেন তা হল শরীর ব্যথা,গলা ব্যথা, সর্দি হাসি-কাঁচি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ডাক্তারেরা বলে থাকেন যত দ্রুত পারেন চিকিৎসকে কাছে যাওয়া এবং সঠিক চিকিৎসাটা নেওয়া সঠিক সময়ে।
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দিনের বেলায় যে মশাগুলো কামড়িয়ে থাকে এই মশাগুলো থেকে হয়ে থাকে। আবার এটিকে অনেক চিকিৎসকেরা হলুদ জ্বর ও বলে থাকে। এই জ্বরের লক্ষণ গুলো হচ্ছে গলায় ব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব। এই জ্বরের কারণে মানুষের কিডনিতে সমস্যা হয়, জন্ডিসের আক্রান্ত হয়, লিভারের সমস্যা হয়, শরীরের ত্বক সহ চোখগুলো হলুদ দিয়ে ভাব হয়ে যায় যার কারণে একে ইয়েলা বা হলুদ জ্বর বলা হয়ে থাকে।
ম্যালেরিয়া জ্বরের লক্ষণ গুলো হচ্ছে যদি ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব লাগে বা জ্বরের সাথে মাথা ব্যাথা, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা ইত্যাদি। এ সমস্যাটিতে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এই সমস্যাটি মৃত্যু পর্যন্ত যেতে পারে। এটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ মারাত্মক রুপ নিয়ে থাকে তাহলে যেকোনো রোগী ২৪ ঘন্টার মধ্যেও মারা যেতে পারে। টাইফারের জ্বরের লক্ষণ হচ্ছে আমাশয় ডায়রিয়া চুন্ডো ক্লান্তি ভাব মাথা ব্যথা বমি বমি ইত্যাদি।
জ্বর ভালো করার উপায়
কিছু কিছু জ্বর রয়েছে যেগুলো ঘরোয়া উপায়ও ছাড়াতে পারবেন। কিন্তু ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত উপরে জানার পর সেই নিয়মগুলো মনে রাখতে হবে। তবে সাধারণ জ্বর গুলোই ঘরোয়া ভাবে ছাড়ানোর চেষ্টা করবেন নয়তো জ্বর যদি ১০০ ডিগ্রীর বেশি হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন খুব দ্রুত। সাধারণ জ্বর গুলো যেভাবে ঘরোয়া উপায় ছাড়বেন তা হচ্ছে জ্বর আসলে ঘন ঘন গামচ করে দিবেন, ঘন ঘন মাথায় পানি দিয়ে দিবেন, গরম পানিতে শ্বাস নিবেন,
অশু গরম পানি অথবা চা খাবেন। গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করবেন, আনারস সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন, গা হাত পা সহ বুক এবং মাথাতে সরিষার তেল ভালো ভাবে মালিশ করে দিবেন। গরম ভাত তরকারি খেতে দিবেন। বাড়ির আশেপাশে যদি কালো মেঘার গাছ থেকে থাকে তাহলে কালো মেঘার বড়ি বানিয়ে অথবা কালো মেঘার রস এক চা চামচ খাইয়ে দিবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত পড়ে কেমন লেগেছে নিচে মন্তব্য বক্সে জানাতে ভুলবেন না তাছাড়াও আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন আমি যথার্থ সময়ে আপনার প্রশ্নের সঠিক উওর টি দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আপনি আপনার পরিচিত বন্ধু এবং পরিবার মাঝেও জ্বর সম্পর্ককে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এতে করে তারাও সচেতন হয়ে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবে। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্যে এবং আমার পাশে থাকার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url