শসা খাওয়ার অপকারিতা ও অপকারিতা
শসা আমরা চিনি না এমন হয়তো কেউ নেই। সিজিন এবং আনসিজিন প্রায় বলতে গেলে বারোমাসি পাওয়া যে থাকে। শসা আমরা সালাত হিসাবেই বেশি ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা কয়জনই জানি শসা খেলে ঠিক যতটা উপকার আবার অপকারও রয়েছে সেই সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের মাঝে শসা বিষয়ে অনেক কিছুই বলতে যাচ্ছি। শসা সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
.
সঠিক নিয়ম শসা খাওয়ার
অনেক কথাই রয়েছে যেগুলো শুনতে অবাক লাগলে ও কথা গুলো একেবারেই সঠিক। আমরা অনেকেই আছি যারা শসা খেলে ও কিন্তু শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কারণ সম্পর্কে কম লোকজনই জানে। আমরা অনেকের মুখে থেকে শুনে থাকি শসা খাবার হজম করতে সাহায্য করে থাকে। আবার অনেকেই আছে শসা খেলে ও শসা হজম করতে পারে না।
আবার যারা শসা খেতে চান না সঠিক নিয়ম কারণ না জানার কারণে। তাদের জন্য আজকে আমি কিছু সহজ নিয়ম কারণ দেখাবো। আবার আমার দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী যে শসা খেতে হবে তার কোন মানে নেই। আপনারা চাইলে আপনাদের মত করে ও খেতে পারেন। তবে আমার দেখানো নিয়ম অনুযায়ী শসা খেতে পারেন এতে করে আশা করছি অনেক ভালো উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন : আদা খাওয়ার অপকারিতা ও উপকারিতা
তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে শসা ভালো ভাবে ছিলিয়ে নিতে হবে। তবে ডাক্তারদেরা বলে থাকেন শসা না সিলে চোচা সহ খাওয়াই বেশি উপকার। কারন শসার চর্চায় অনেক পরিমাণ ফাইবার থেকে থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। শসা এরপর চাকা চাকা করে কেটে নিন। এরপর একটা পাত্রে কিছুটা পরিমাণ পানি এবং পানির সাথে এক চা চামচ লবণ অ্যাড করে নিন।
তারপর এক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর আগে থেকে কাটা ওই শসা গুলো ওই পানিতে দিয়ে দিন। পানিতে দেওয়ার পর পাঁচ থেকে দশ মিনিট রেখে দিন। এরপর আপনি শসা খেতে পারেন। আবার যারা কাঁচা শসা তারা চেষ্টা করবেন কাঁচাই খাওয়ার। তবে শসা খেলে ও শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে তাহলে আমরা শসা খাওয়ার গুণাবলী সম্পর্কে জানতে পারবো।
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও গুণগুন
শসা তো আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি কিন্তু শসা আমাদের কি কি উপকারে আসে এবং কি কি উপকার করে সেগুলো সম্পর্কে কি আমরা জানি। শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যদি নাও জেনে থাকেন তাহলে বিস্তারিত পড়তে থাকুন। দৈনন্দিন জীবনে শসা অনেক কাজেই আসে। যেমন অনেকে ত্বকের যত্নে শসা ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে রান্না কাজে ব্যবহার করে থাকেন।
তাছাড়া ও বিশেষ করে আমাদের যে কাজে বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে সেটি হল সালাত। বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বড় বড় অনুষ্ঠান এবং ছোটখাটো অনুষ্ঠান শসার সালাত ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতি দিনের খাবার তালিকায় শসা রাখলে পুষ্টি গুন ও অনেক বেশি পাওয়া যায়। প্রতিটি ১০০ গ্রাম শসায় ২০ কিলোগ্রাম ক্যালরি থেকে থাকে। শসা খেলে শরীরের রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে থাকে। শসা খেলে রক্ত পরিষ্কার করতে ও সাহায্য করে থাকে।
প্রতিদিন শসা জুস করে খেলে ডায়াবেটিস উপশম করতে সহায়তা করে থাকে। নিয়মিত প্রতিদিন শসা খেলে শরিলের পানি শূন্যতা অভাব দূর করে থাকে। শসা খেলে গ্যাস বদ্ধজম এবং পেটের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে থাকে। বাত ব্যথায় গাজর এবং শসা এক সাথে জুস বানিয়ে খেলে ভালো একটা উপকার পাওয়া যেয়ে থাকে। নিয়মিত শসা অথবা শসার জুস বানিয়ে খেলে কিডনিকে ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।
শসা খেলে কি গ্যাস হতে পারে
কিছু কিছু খাবার থেকে থাকে যেগুলো খেলে গ্যাস এবং পেটের জ্বালাপোড়া ভালো হয়। এর মধ্যে রয়েছে শসা কারণ শসা খেলে পেট ঠান্ডা রাখে এতে থাকা ফ্লোভানয়েড ও আন্টি ইনফ্লেমেন্টারি উপাদান থাকে যা পেটের গ্যাসকে উপশম করতে সাহায্য করে থাকে। গরমের সময় বেশি বেশি পরিমাণ শসা খাওয়া ভালো কিন্তু ঠান্ডার সময় শসা খাওয়া অতটা ও ভালো না কারণ যাদের অ্যাজমার সমস্যা থেকে থাকে তাদের ঠান্ডা লেগে যায় এছাড়া ও বেশি পরিমাণ শসা খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে।
নিয়মিত শসা খেলে চোখের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। শসার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আমার তো আমাদের ত্বককে শুকনো ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। অনেক বিউটি ফেসওয়াকে আমরা দেখে থাকি শসা ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। শসা এতটাই উপকারী যে ত্বকের যত্ন থেকে শুরু করে শরীর স্বাস্থ্য অনেক সহায়তা করে থাকে।
তবে শসা খেলে ও আমাদের শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে খেতে হবে। এতে করে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে আবার শসা খেলে কোন ঠান্ডা লাগবে না। আশা করছি শসা খেলে গ্যাস হয় কি হয় না বুঝতে পেরেছেন।
ওজন কমতে পারে কি শসা খেলে
শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি। এই জন্যে যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন। নিয়ম করে এক টানা এক মাস শসা খেলে কমতে পারে ওজন। সবুজ জাতীয় এই ফল টি বেশ উপকারী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশা পাশি খাবারের স্বাদ এর চাহিদা ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
সকালে খাবার পর অথবা রাতে বা দুপুরের খাবারের পর সালাত হিসেবে রাখতে হবে শসা। আবার যে কোন খাবারের সাথে খাওয়া যেয়ে থাকে শসা। এতে দেহের ভুড়ি কমবে দ্রুত। ডায়েট ফুড খাবারের পাশা পাশি রাখতে হবে ডিম মাংস শাক সবজি। দ্রুত ওজন কমাতে অনেকে না খেয়ে থাকেন কিন্তু না খেয়ে থাকলে এতে আরো আপনার শরীরের জন্যই ক্ষতি হতে পারে খাবারে একটা নিয়ম করে খেতে হবে।
যারা শসা খেতে পারেন না তারা শসার জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এত বেশ কার্যকরী উপকার পাওয়া যে থাকে। শসা দূর করে শরীরের ক্রক্সিন তাই দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে ভিটামিন এ বি ও সি। শসা পলিসিকেট পটাশিয়াম এবং মাং ম্যানেজার দ্রুত ঝরানোর পাশা পাশি ধরে রাখতে সাহায্য করে ত্বকের সচ্ছলতা।
শসার মধ্যে যে পানিটা থাকে ওইটা আমাদের শরীরে দূষিত ব্যাকটেরিয়া গুলো বের করতে সাহায্য করে থাকে। শসার পানিটাকেই আমরা টক্রসিন বলে থাকি। নিয়মিত শসা খেলে আমাদের কিডনি সুস্থ থাকার পাশা পাশি আমাদের ওজন নিয়ন্তন করে রাখে। হার্ট এবং ফুসফুসের সমস্যায় বেশ উপকার করে থাকে শসা।
শসাতে কি কি উপাদান রয়েছে
শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও আস্পদার্থ ইত্যাদি। যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। শসার উপাদান উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ দুই ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের সাহায্য করে। শাক সবজির পাশা পাশি যদি শসা ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে অথবা শসা রান্না করে খেলে ও অনেক উপকার পাওয়া যে থাকে।
আরও পড়ুন : গাছের উপকারিতা সম্পর্কে ৫টি বাক্য
শসায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ত্বকের জন্যে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে। তাছাড়া আমাদের আরো জানতে হলে শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আরোও পড়তে হবে এতে করে আমরা শসার গুনাগুন সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো।
শসাতে উচ্চ মাত্রার পানি এবং কুম কালারি হওয়ার কারণে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে। শসা আমাদের শরীরে পানি এবং অনেক রকমের পুষ্টি উপাদান যুগে থাকে। শসা পেট ভোরে একটা অনেক সাহায্য করে থাকে। শসা খাওয়া সব থেকে ভালো সময় হচ্ছে দুপুরের খাবারের পর অথবা সকালে।
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
শসা আমরা অনেক অনেক রকম ভাবে খেয়ে থাকি কিন্তু শসা তে থাকা ভিটামিন এবং উপাদান গুলো সম্পর্কে জানলো শসা খাওয়ার আরো কি কি এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানি না।
আপনারা যদি শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনারা ও চাইবেন নিয়মিত খাবারের তালিকায় শসা একটি ফল হিসাবে রাখতে। তবে সারা বিশ্বে কম বেশি আবাদ হয়ে থাকে শসার। শসা খাওয়া যে কতটা উপকারী এটি শুধু যে জানে তাই শসা খেয়ে থাকে বেশি।
শসা তে যতটা পরিমান পানি উৎস রয়েছে অন্য ফোন গুলোতে ওতটা ও পানির উৎস নেই। যার কারণে শসা আমাদের তৃষ্ণা মেটাতে ও সাহায্য করে থাকে। শসা খাওয়ার উপকার হচ্ছে শরীরের পানি অভাব দূর করে থাকে আর শসা খাওয়ার অপকার হচ্ছে।
আপনি যদি নিয়ম না মেনে শসা খান তাহলে শসা খাওয়ার কারণে ঠান্ডা ও লাগতে পারে। কারন আমরা শুরুতেই পড়ে এসেছি শসা পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই শশা অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে ও ঠান্ডা লাগতে পারে। এতে জ্বর, সর্দি, হাঁচি, ক্যাসিসহ ইত্যাদি হতে পারে। তাই শসার সহ যে কোন খাবার বা ফল মূল একটা নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
লেখকের শেষ মন্তব্য
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আশা করছি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে এবং অনেক কিছুই না জানা কথা গুলো জানতে পেরেছেন। শসা খাওয়া যে স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী সেটা হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
তাই আমার এই পোষ্ট টি যদি আপনাদের উপকারে এসে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের ও উপকার করতে পারেন। তাদের জানার সুযোগ করে দিয়ে। আমার ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন পোস্ট আপডেট করা হয়ে থাকে। চাইলে আপনারা আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট করতে আসতে পারেন। ধন্যবাদ এ পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url