ওজন কমানোর ২০ টি উপায়

শরীরে অতিরিক্ত চর্বি লাগার কারণে অনেকে মোটা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। ওজন কিভাবে কমাবে এই নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে থাকে। কারণ অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। 
ওজন

তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব ওজন কমানোর ২০ টি উপায় সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

.

২০ দিনে ৫ কেজি ওজন কমানোর উপায় 

আমরা হয়তো বলি যে ওজন কমাতে চাই কিন্তু আসলেই কি আমরা ওজন কমাতে চাই? না। আমরা আসলে শরীরের চর্বি কমাতে চাই বা গলাতে চাই। ইনসুলিনের প্রধান কাজই হচ্ছে লাইফওজেনেসিস করা। মানে আমরা যে খাবারটা খাব সেই খাবারটাতে যেন ডায়েট কম থাকে। 

ওজন কমানোর জন্য আমরা যদি খালি পেটে এক্সারসাইজ করি তাহলে কিন্তু ওজন দ্রুতই কমে আসবে। কিছু দিন ডায়েট করার পর যদি আমরা বুঝতে ও পারি যে ওজন কমছে না সে ক্ষেত্রে আমরা অনেকে ডাইয়েট বা এক্সারসাইজ করতে চাই না। 

কারণ আমরা মনে করি ওজন কমছেই না তো আমরা কেন করব। যার কারনে অনেকে আবার খাবার দাবার সহ সব কিছুই বেশি মাত্রায় করে ফেলে। তবে এই ভুল গুলো একে বারে করা যাবে না। ২০ দিনে ৫ কেজি ওজন কমাবেন কিভাবে তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক :
  • অতিরিক্ত লাফা লাফি করবেন বা হাটাহাটি করবেন। 
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা বিকেলে এক্সারসাইজ করুন। 
  • সকালের খাবারে শুধুমাত্র রুটি খান। 
  • দুপুরের খাবারে ভাত খান। 
  • রাতের খাবারে চার সাথে বিস্কিট খান। এতে করে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। 
  • তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। রান্নায় বেশি তেল দেওয়া খাবার কখনোই খাবেন না। 
এই ভাবে কিন্তু আপনারা দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। এছাড়া ও আপনারা যদি ওজন কমানোর ২০ টি উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বিস্তারিত শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে কারণ এই পোস্ট টি এমন কিছু আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি যেগুলো আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে যারা ওজন কমানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় থেকে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্যেই আমার পোস্ট টি লেখা। 

ওজন কমাতে কোন খাবার গুলো সাহায্য করে থাকে 

আমরা অনেকেই আছি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খাবার খেয়ে ফেলি। কিন্তু আমরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি খাবার না খেয়ে গরম এক গ্লাস পানি খাই তাহলে এতে করে কিন্তু ওজন কমতে পারে। এক গ্লাস গরম পানি খাওয়ার পরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট একটানা এক্সারসাইজ করুন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এক্সারসাইজ করার পর আবার এক গ্লাস গরম পানি খেয়ে নিন। 

তবে গ্লাসটা যেন হাফ লিটারের হয়ে থাকে। পানিটা খাওয়ার পর তারপর আবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর সকালের খাবারটা খেয়ে নিবেন খাবারের তালিকায় হালকা ফুড ফাস্ট রাখবেন। যেমন শসা, ডিম, গাজর, পেয়ারা, পেঁপে, তরমুজ, আপেল, কলা এগুলো মধ্যে যেকোনো এক থেকে দুই টা সকালের খাবার তালিকায় রেখে দিন। 

দুধ চিনি ছাড়া এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ক্ষুধা লেগে থাকে। ওজন বেশি হলে আমরা কোন কাজ কর্ম করে শান্তি পাই না।  একটু কাজ করলেই আমরা হাঁপিয়ে পড়ি। তাই আপনারা যদি এই খাবার গুলো নিয়মিত প্রতি দিন খাবারের তালিকায় রাখেন তাহলে আশা করছি দ্রুত ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় আসবে। 

তবে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কখনোই খাবেন না। যেমন গরুর মাংস, ভাজাপোড়া, বেশি তেল দিয়ে রান্না বান্না ইত্যাদি। তাছাড়াও ওজন কমানোর ২০ টি উপায় সম্পর্কে জেনে আমাদের সেই নিয়ম অনুযায়ী চললেই দ্রুত ওজন কমে আসতে পারে। 

ওজন কমানোর জন্য সকালের যা করতে হবে 

ওজন কমানোর চেষ্টায় দ্রুত সফল হতে পারে এই ৮ টি অভ্যাস সকালের। সকালে এই ৮ টি অভ্যাস মেনে চলে ওজন কমানোর পাশা পাশি শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। সকালে খাবারের আগে যদি আধা লিটার পানি খান তাহলে। একটু পেট ভরা লাগার পাশা পাশি তখন কুম খাবার খেলে ও মনে হবে পেট ভরা রয়েছে। তাছাড়া ও পানিতে কোন ক্যালরি থাকে না এবং ওজন ও বারায় না। 

তাই খাবার খাওয়ার আগে আপনি নিশ্চিন্তয় আধা লিটার পানি খেতে পারেন। দিনের মধ্যে যতবার ইচ্ছা এই টিপস টি কাজে লাগাতে পারেন। খাবার আগে আধা লিটার পানি খেলে খাবারের পরিমাণ কম খাওয়া লাগে। যেটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। অনেকেই মনে করে খাবারের আগে পানি খাওয়া যাবে না। খেলে ও হয়তো কম পক্ষে ১৫ মিনিট আগে খেতে হবে। 

না হলে হয়তো হজমের সমস্যা হতে পারে। এই কথাটি যারা বলে থাকেন তারা পুরোটাই ভুল বলে। কারণ আজ পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিকের প্রমাণ নেই এই পরামর্শে যে খাবারের আগে পানি খাওয়া যাবে না। তাই আপনি নিশ্চিন্তে খাবারের আগে পানি খেতে পারেন। ওজন কমানোর ২০ টি উপায় সম্পর্কে আরো জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে এতে করে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। 

দিনের খাবার নিয়ম করে খাওয়া  

আমাদের যখন ক্ষুধা লাগে তখন আমরা হাতের কাছে যা পাই তাই খেয়ে ফেলি। যেগুলো খাবার অসুস্থকরের ভিতরে ফেলে। যেমন কোক, জিলাপি, সিঙ্গারা, পুরি ইত্যাদি। এগুলো খাবার স্বাস্থ্যকর খাবার নয় এটা আমরা হয়তো অনেকেই জানি। এগুলো খাবার থেকে বিরত রাখতে  চাইলে নিজেকে তাহলে যা করতে হবে। 

দিনের খাবারের কথা গুলো যদি আমরা ভাবনা চিন্তা করে রাখি যে ক্ষুধা লাগলে আমরা কি খাব। এটা যদি আমরা আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে পারি। হয়তো ওজন কমানোর জন্য যেই ফল গুলি থেকে থাকে সেগুলো আমাদের সাথে নিয়ে গেলাম কোথাও গেলে না ঘরেই এনে রেখে দিলাম যখন ক্ষুধা লাগবে আমরা খেতে পারব। তখন আর ওই সব অস্বস্তিকর খাবার খাওয়া লাগবে না।

আবার চাইলে সাথে করে বাদামও রাখতে পারেন বা স্বাস্থ্যকর খাবার বানিয়ে রাখতে পারেন পরবর্তীতে ক্ষুধা লাগলে খেতে পারেন। তবে সকালে উঠেই যদি দিনের খাবারের পরিকল্পনা করে রাখেন তাহলে হয়তো অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকর্ষণ হবে না। 

সকালে কোন কাজে হেঁটে যান 

যেকোনো কাজে যাওয়ার সময় বা স্কুলে যাওয়ার সময় যদি হেঁটে হেঁটে যান। যদি বেশি দূরে ও অফিস বা স্কুল হয়ে থাকে তাহলে না হলেও ১৫ থেকে ৩০ মিনিট হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে চেষ্টা করবেন আস্তে আস্তে হাঁটার পরিমাণটি বাড়ানোর। 
এতে করে ওজন কমে আপনার হাতের নাগালে চলে আসবে। তাছাড়া ও ওজন কমানোর ২০ টি উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। এতে করে ওজন কমানো আরো সহজ হয়ে আসবে আমাদের কাছে। তাছাড়া হাঁটার পাশা পাশি যদি আপনি একটু করে ব্যায়াম করার চেষ্টা করেন তাহলে এতে ওজন কমার পাশা পাশি আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 

চিনি ছাড়া চা খাওয়া 

সকালে যদি আপনি চা বা কফি খেতে পছন্দ করেন তাহলে চেষ্টা করবেন চিনি ছাড়া চা বা কফি খাওয়ার। চিনিতে রয়েছে অনেক ক্যালরি যেটি খেলে ওজন আরো বাড়তে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন চিনি ছাড়া চা খাওয়ার। চিনিতে তেমন পুষ্টিগুনো নেই যে চিনি খাওয়াটা অতটা  প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য ভাসে চিনি দিয়ে রান্না করা কোন খাবারই রাখবেন না। 

চা বা কফিতে চিনি খাওয়া বাদ দিলে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। প্রথমে হয়তো চিনি ছাড়া চা খাওয়া একটু ইতস্ত বোধ হবে তবে দেখবেন আস্তে আস্তে স্বাভাবিকের মতোই লাগছে। বরং ভালো লাগছে। তবে আরেকটি বিষয় যেটি মাথায় রাখবেন সেটি হচ্ছে চিনি ছাড়া চা খেলেও তার সাথে বিস্কিট কখনোই খাবেন না। 

কারণ বিস্কিটে মিষ্টি অতটা না থাকলেও আসলে চিনির পরিমাণ অনেকটাই দেওয়া হয়ে থাকে। তাই চেষ্টা করবেন বিস্কিট এড়িয়ে চলা। তবে সবজি বিস্কুট চাইলে খেতে পারেন। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে চিনি ছাড়া চা খাবেন তা নয় যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারাই এই নিয়মটি ফলো করবেন। 

সকালে ওজন মাপার প্রয়োজনীয়তা 

আপনি প্রতি দিন সকালে উঠে যদি ওজন মাপেন তাহলেও ওজন বাড়ছে না কমছে এটি বুঝতে পারবেন। আর প্রতিদিন ওজন মাপার পর একটা খাতায় নোট করে রাখবেন এতে করে আপনার পরবর্তীতে বুঝতে ভালো হবে যে ওজন বাড়ছে না কমছে। 
তাছাড়াও ওজন কমানোর ২০ টি উপায় সম্পর্কে আমরা যদি জানি তাহলে ওজন অনা সেই নিজেদের বশে আনতে পারব। কিছু গবেষণাই দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত ওজন মেপে থাকে তারাই বেশি ওজন কমাতে সফল হয়ে থাকে। সকালে বাথরুম থেকে এসে খালি পেটে ওজন মাপার চেষ্টা করবেন। 

ওজন কমানোর ২০ টি উপায় 

যারা দ্রুত পরিমাণ ওজন কমাতে চান তারা আমার নিয়ম গুলো ফলো করতে থাকুন। দিন দিন ওজন বাড়লে আমরা অনেকেই ওজন কমাতে চাই কিন্তু শারীরিক অথবা মানসিক কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে পারি না। তাই ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে দ্রুত ওজন নিজের নিয়ন্ত্রণে আনবেন তার ২০ টি উপায় সম্পর্কে জানুন তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায় গুলো। 
ওজন
  1. ব্যায়াম করা আপনি যদি সকালে অথবা বিকেলে দুবেলায় ব্যায়াম করেন তাহলে দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন এর জন্য আপনাকে কোথাও যেতে হবে না আপনি ঘরে এবং বাহিরে দুইটাতে করতে পারবেন। 
  2. সকালে ঘুম থেকে উঠে আধা লিটার পানি খেলে ওজন কমতে পারে। 
  3. প্রতিদিনের খাদ্য ভাসে কলা, পেয়ারা, তরমুজ রাখুন। 
  4. প্রতিদিন বেশি পরিমাণ হাটুন।
  5. তৈলাক তো খাবার থেকে বিরত থাকুন। 
  6. কুম ঘুমানো দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। 
  7. ফাস্টফুড না খাওয়া। 
  8. ওজন কমানোর জন্য খাবারের তালিকা তৈরি করা। 
  9. প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ওজন মাপা। 
  10. চিনি ছাড়া চাবা কফি খাওয়া। 
  11. দিনের খাবার আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে। যাতে করে পরবর্তীতে ক্ষুধা লাগলে অস্বস্তিকর খাবারগুলো না খাওয়া লাগে। 
  12. সকালের খাবারের রুটি রাখা। 
  13. বেশি পরিমাণ লাফা লাফি করা। 
  14. রাতের খাবারে চিনি ছাড়া চা এবং বিস্কুট খেতে পারেন। 
  15. সব সময় শুয়ে বসে না থাকা। 
  16. বেশি পরিমাণ মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার না খাওয়া। 
  17. সকালে ভাত না খাওয়ার পরিবর্তে শসা গাজর খেতে পারেন। 
  18. ওজন কমাতে হলে নিজ বাসায় ওজন মাপার মিটার আনিয়ে নিন।
  19. প্রতিদিন এক্সারসাইজ করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। 
  20. সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি পান করা। 

লেখকের শেষ মন্তব্য 

ওজন কমানোর ২০ টি উপায় ও ওজনকে কিভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবেন এসব সম্পর্কে বিস্তারিত উপরে আলোচনা করে এসেছি। আশা করছি এই পোস্ট টি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। যদি আমার দেখানো নিয়ম অনুসারে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। 

কারণ আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট আপডেট করা হয়ে থাকে। সব পোস্ট গুলো সত্য মিথ্যা যাচাই করে সঠিক মন্তব্যটি তুলে ধরা হয়। আপনার যদি কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন থেকে থাকে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার প্রশ্নে সঠিক উত্তরটি দেওয়ার চেষ্টা করব। 

আমার পোস্ট টি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত বন্ধুদেরও ওজন কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানাতে পারেন বা শেয়ার করে দিতে পারেন। ধন্যবাদ আমার সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য এবং মনো যোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url