রাত বেশি জাগলে কি সমস্যা হয়

বেশি রাত জাগলে বা দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে ও আমাদের শরীরে যেসব সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া রাত বেশি জাগলে কি সমস্যা হয় তা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। আপনি কি জানেন বেশি রাত জাগলে শরীর স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতির প্রভাব ফেলে থাকে। 
রাত

শুধু তাই নয় রাত জাগলে শরীরে ঘটতে পারে অস্বাভাবিক অনেক রোগ বাধি যেগুলো হয়তো আপনার বা আমারও কল্পনার বাহিরে। তাই রাত জাগলে কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে সেই সব সম্পর্কে বিস্তারিত আরো কিছু জানতে এ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

.

বেশি রাত জাগার কারণ কি 

আজকাল বেশি রাত জাগা এবং দেরিতে সকাল ৯টা ১০ টাই কোথায় যেন মানুষের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটি আরো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয়ে থাকে। কারণ বহু যুগ আগে শোনা যেত মানুষজন অনেক বছর ভরা বেঁচে থাকত। কিন্তু এখন এই যুগে মানুষ ৫০ থেকে ৭০ হলেই বাচা কঠিন হয়ে যায়। এর কারণ কি? 
এর কারণ স্বাধরনতা হয়ে থাকে ঘুম। ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ বাসা বাসা বাধে যার কারণে মানুষের বহু যুগ ধরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যায়। ২০২৪ সালের এই ডিজিটাল যুগে মানুষ ফোনের প্রতি আকর্ষণ বেশি হয়ে যাচ্ছে দিন দিন ছোট ছোট ছেলে মেয়ে সহ। কারণ তারা পড়া লেখা বাদ দিয়েও যেন তাদের ফনের প্রতি বেশি টান হয়ে থাকে। 

আজকাল মানুষজন ঘুমাতে গেলেও ঠিক মত ঘুমায় না। অনেক রাত ভরা ফোন টিপতে থাকে। ফোনে বিভিন্ন নাটক মুভি সহ অনেক কিছুই দেখে থাকে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে। রাতে ঘুমানো আর দিনের কাজ করা এটাই মানুষের শরীর স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে সহয়তা করে থাকে। বেশি রাত জাগে কাজ করলে সব থেকে ভয়ানক যে বিষয় হয়ে থাকে সেটি হল ছয় বছরের মত আয়ু কমে যেয়ে থাকে। 

রাত জাগলে কি কি ক্ষতি হয় 

আমরা বিভিন্ন কাজের চাপের কারণে বেশি রাত জেগে থেকে থাকি। কিন্তু বেশি জাগলে শরীরে ঘটতে পারে অনেক রকমের ক্ষতিকর সমস্যা। এছাড়া ও রাত বেশি জানলে কি কি সমস্যা তা হয় আমরা অনেকেই জানি না। তাই আমাদের রাত জাগলে কি কি ক্ষতি হয় শরীর স্বাস্থ্যের জন্য এসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে তবে আমরা নিজে সতর্ক হব এবং অন্যকে সতর্ক করতে পারব। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক রাত জাগলে কি কি ক্ষতি হতে পারে শরীর স্বাস্থ্য। 
  • বেশি রাত জাগলে মানসিক অবসর ঘটে থাকে। 
  • বেশি রাত জাগলে শরীর ক্লান্ত এবং দুর্বল হয়ে থাকে। 
  • বেশি রাত জাগলে শরীরে ঘুমানোর যে ভিটামিন টা ওইটা থেকে বিরত থাকে। 
  • রাত জাগলে মানুষের এমনি একটা টেনশনের মত হয়ে যায়। 
  • রাত জাগলে ওজন বাড়তে এবং কমতে ও পারে।
  • বেশি রাত জাগলে মৃত্যুর ঝুঁকি হতে পারে। 

রাত জেগে ফোন টিপলে শরীরে কতটা ক্ষতিকর হয়ে থাকে 

স্মার্টফোন আজকাল কারো হাতে নেই এমন হয়তো কমই রয়েছে। আজকাল ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদের পর্যন্ত হাতে একটি করে স্মার্টফোন থেকে থাকে সে কম দামি হোক অথবা বেশি দামি। দিনে ফোন ব্যবহার করলে এক রকম রাতে ফোন ব্যবহার করলে শরীরের জন্য আরেক রকম যদি সেটি আবার স্মার্টফোনের ডিসপ্লের আলোটি বেশি মাত্রায় দিয়ে দেখে থাকেন। প্রতি রাতে মানুষের সর্বনিম্ন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো শরীর স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। 

কিন্তু স্মার্টফোন নামার পর থেকে মানুষজন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা ঘুমানোই যেন দুধ দেয় হয় পরে রাতে। আমরা সবাই জানি রাতের ঘুমটাই বেশি ভিটামিন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা বলে আসেন আমাদের শরীরে ঘুম একটি ভিটামিনের উৎস। অনেকেই রাত বেশি জাগলে কি সমস্যা হয়ে থাকে তা জানে না। বেশি রাত জেগে স্মার্টফোন চালালে হতে পারে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা তার কিছু বর্ণনা নিচে উল্লেখ্য করা হলো: 
  • বেশি রাত জেগে স্মার্টফোন চালালে হতে পারে মস্তিষ্কের সমস্যা। 
  • বেশি রাত জেগে স্মার্ট ফোন চালালে চোখের জ্যোতির সমস্যা দেখা দিতে পারে তাড়াতাড়ি। 
  • বেশি রাত জেগে স্মার্ট ফোন চালালে শরীরের ভিটামিন এবং পটাশিয়াম কমে যায় দিন দিন। 
  • রাত জেগে স্মার্ট ফোন চালালে মানসিক চাপ এবং অশান্তি অশান্তি লেগে থাকে। 

রাতে দেরি করে ঘুমালে কি হয় 

শারীরিক এবং মানসিকের উপর চাপ পড়ে থাকে রাতে দেরি করে ঘুমালে। এছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে সকালে উঠলেও অনেক রকমের সমস্যা হতে পারে। তাই যারা সঠিক গাইডলাইন খুঁজছেন যে বেশি রাত জেগে ঘুমালে কি হয় তারা শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। বেশি জাগলে রাত জাগলে কি সমস্যা হয় সেটা কি আমরা জানি। হয়তো অনেকেই জানিনা। 

কিছু গবেষণায় দেখে গিয়েছে যে মানসিক সমস্যা যেসব রোগিরা থেকে থাকে তাদের বেশির ভাগ সমস্যায় হয়ে থাকে রাত জাগার কারণে। এছাড়াও অনেকে মৃত পথযাত্রী হয়ে থাকে রাত জাগার কারণে। চেহারা উজ্জ্বলতা দিন দিন নষ্ট হয়ে যেয়ে থাকে। 

চেহারা উজ্জ্বলতার যত্ন নিলেও দেখবেন যারা রাত জেগে থাকে তাদের চোখের নিচে কালো দাগ সরতে চায় না। এছাড়াও চেহারাতে বের হয় ব্রণ বিভিন্ন দাগ ছাপ। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন তাহলে রাত জাগলে কি কি ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে থাকে আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের উপর। 

সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে শরীরের উপর কি ক্ষতির প্রভাব ফেলে 

আমাদের দেশ সহ যুক্তরাষ্ট্রের দেখা গিয়েছে যে সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠার মানুষ জনের চেয়ে রাত জাগা দেরিতে বা সকালে ঘুম থেকে দেরিতে ওঠা মানুষ জনেরই মৃত্যুর ঝুঁকে বেশি হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে অকাল মৃত্যু ঘটে থাকে। বিজ্ঞানীরা সংক্রান্ত মানুষজনের ক্ষেত্রে চার ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন। যেমন 
রাত
১/যারা প্রতিনিয়ত ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে পড়ে অর্থাৎ সূর্য উঠার আগেই। 
২/যারা প্রতিনিয়ত রাত জেগে থাকে। 
৩/ যারা দেরিতে ঘুমায়।
৪/ যারা মাঝে মাঝে সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার অন্য দিন ওঠে না। 

এখন কথা হচ্ছে এদের মধ্যে সব থেকে কোনটি বেশি আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী এবং কোনটি শরীরের জন্য ক্ষতি কারণ হতে পারে। এতে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন যারা প্রতিনিয়ত ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে পরে অর্থাৎ সূর্য উঠার আগেই তাদেরি একমাত্র স্বাস্থ্য এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকে। এছাড়াও যারা প্রতিনিয়ত রাত জেগে থাকে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে। 

আবার যারা দেরিতে ঘুমায় তাদের দিন দিন মস্তিষ্কের সমস্যা সহ বিভিন্ন রোগ বাধি সংক্রান্ত শরীরে ঘটে থাকে। যারা মাঝে মাঝে সকালে ঘুম থেকে উঠে বা উঠে না তাদের মৃত্যুর ঝুঁকিটা মাঝ বরাবরই থেকে থাকে। তাই এটি পড়ে এখন আপনি ঠিক করে নিন আপনার জন্য কোনটা প্রয়োজন এবং আপনি কোনটা করতে চাচ্ছেন। 

রাত বেশি জাগলে সমস্যা  হয় 

প্রতিটি মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, খাবার সহ বিশ্রামে প্রয়োজন হয়ে থাকে। ঘুম কম হলে শরীরে বেশ ক্ষতি হয়ে থাকে। শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে রাত জাগার অভ্যাসটি পরিবর্তন করতে হবে। হঠাৎ দুই একদিন রাত জাগলে শরীরের তেমন কোন ক্ষতি প্রভাব ফেলে না তবে যদি আপনি দীর্ঘদিন ভরা একটানা রাত জেগে থাকেন তাহলেই বিভিন্ন ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারে। 
আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন যে রাত জাগলে কিন্তু দিনে প্রচণ্ড পরিমাণ ঘুম পেয়ে থাকে বিশেষ করে কোন কাজের ক্ষেত্রে। ঘুম প্রতিটি মানুষেরই একটি প্রয়োজনীয় অস্ত্র। যেটি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘুমের ভাবটা থেকেই থাকে। যার কারনে দিনের বেলায় ঘুমালে রাতের ওই ঘুমানোর ঘাটতিটা পূরণ হয়। 

কিন্তু রাতের ঘুমে যতটা পরিমাণ ভিটামিন থেকে থাকে দিনের ঘুমালে অতটা পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায় না। এজন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা বলে থাকেন রাতে ঘুমাতে দিনে কাজ করতে। তাছাড়া ও রাতের ঘুমের সাথে দিনের ঘুম এক হয় না। তবে রাত জাগার এই বদ অভ্যাসটা বেশিভাগ গ্রামের চেয়ে শহরের দিকেই বেশি দেখা যেয়ে থাকে। তাই যদি রাত জাগার বদ অভ্যাসটি থেকে থাকে তাহলে আজকে থেকেই সেটি বাদ দিয়ে দিন। 

লেখকের শেষ মন্তব্য 

রাত বেশি জাগলে কি সমস্যা হয় এবং আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের উপর কতটা ক্ষতির প্রভাব ফেলে থাকে বিস্তারিত পরে আশা করছি নিজেদের সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিয়েছেন। যে আপনি কতটুকু রাত জাগবেন অথবা কখন ঘুম থেকে উঠবেন। তবে আশা করছি আপনারা কখনোই চাইবেন না যে শরীর স্বাস্থ্যের উপর কোন ক্ষতির প্রভাব পড়ুক। 

আপনার যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। অনেকেই আছে যারা রাত জেগে কাজ করে বা ঘুম থেকে দেরিতে উঠে থাকে। তাদেরকে আপনি বলবেন রাত বেশি না জেগে কাজ করে রাতে ঘুমাতে দিনে কাজ করতে। ধন্যবাদ এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য এবং আমার সাথে থাকার জন্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url