মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কি এবং এর লক্ষণ কি
মাক্সিপক্স ভাইরাস এক ধরনের বসন্ত জনিত রোগ হয়ে থাকে। প্রাণীদের মাধ্যমে এর রোগ টি ছড়িয়ে থাকে। মাক্সিপক্স ভাইরাস কি এবং এর লক্ষণ কি।
মাক্সিপক্স ভাইরাসের সাথে কিভাবে মোকাবেলা করব তাই নিয়েই থাকছে আজকে বিস্তারিত পোস্টে। আপনারা যারা মাক্সিপক্স রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সঠিক উদাহরণটি জানতে চাচ্ছেন তারা সঠিক জায়গাতে এসেছেন। শেষ পর্যন্ত পরলে আপনার মনের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
.
মাক্সিপক্স রোগের লক্ষণ
মাক্সিপক্স রোগ হলে সাধারণত জ্বর মাথা ব্যাথা দিয়েই প্রথম শুরু হয়ে থাকে। যেই ব্যক্তিটি আক্রান্ত হয়ে থাকে তার শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে দুর্বল বোধ মনে হয়। হাড়ের জয়েন্টগুলো যেকোনো সময় খুলে যেতে পারে এছাড়াও শরীরের যেকোন অংশে গুটি গুটি মত দেখা দেয় আর এটিই প্রথম সাধারণত সংক্রামক। যা হাত পা থেকে শুরু করে শরীরে যে কোন অংশে ফোসা পড়ার মতো দেখা যায়।
আরও পড়ুন : নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়
প্রথমে এটি গুটি গুটির মতো বের হয়। পরবর্তীতে প্রচুর পরিমাণে চুলকানি হয়ে থাকে এবং তারপর ফুসকা পড়ার মতো বা ক্ষতোর মতো দেখা যেয়ে থাকে। এই ভাইরাসের রোগী যদি সুস্থ হয়ে যায় তাও দেহে বিভিন্ন অংশে এই ক্ষত গুলো রয়ে যায়।
মাক্সিপক্স কিভাবে ছড়ায়
সাধারণত এই ভাইরাসটি ঘনিষ্ঠ থেকে সুস্পর্শ থেকে ছড়িয়ে থাকে। ত্বক, ব্যবহার করা বিছানা এবং ব্যবহার করা আজবাসপত্র থেকেও এটি ছড়িয়ে যায়। বেশি হলে কাশির মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশ মৃদু। কারণ এই রোগটি হলে ১৫ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে সুস্থ হতে।
মাক্সিপক্স যা প্রথম ১৯৭০ সালের একটি বানরের গায়ে হয়েছিল। তারপর থেকে আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা থেকে ছড়ানো এই মাক্সিপক্স। এছাড়া ও অস্ট্রেলিয়া ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগটি। মাক্সিপক্স এক ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন বলেই মনে করে থাকেন ডাক্তারেরা। এই ভাইরাস আফ্রিকা এবং মধ্য আফ্রিকার জঙ্গলের মধ্যে থাকা ছোট ইঁদুরের মতো প্রাণীদের হয়ে থাকে।
মূলত এটি ইঁদুরদের থেকেই বেশি ছড়িয়ে থাকে। এই রোগটি যদি ওই প্রাণীগুলোর হয়ে থাকে তাহলে সংস্পর্শে আসলেই মানুষের ও এই রোগ হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এক জন থেকে আরেকজন মানুষেরও ছড়িয়ে পড়ে থাকে। তবে এটি মানুষের মধ্যে বেশি না হলেও এটি ভয়ের কারণ।
মাক্সিপক্স এর প্রতিরোধ করব কিভাবে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা বলে থাকেন এই রোগের সাধারণত কোন চিকিৎসা এখনো নামেনি। তবে এই রোগ হলে ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই নিতে হবে স্পন্স পক্সের টিকা নিলে একটু জটিলতা কমে।
মাক্সিপক্স রোগের আকার কেমন
মাক্সিপক্স রোগ সাধারণত প্রতিটি শরীরে গোল গোল গুটি গুটির মত বসন্ত আকারে বের হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এটিতে চুলকানি সহ এলার্জি হয়ে থাকে। আস্তে আস্তে এগুলো চুলকানোর কারণে ফেটে যেয়ে ফোসকা আকৃতির মত হয়ে যা এবং ছোট ছোট গুটির মতো ওগুলো গর্ত পরিনিত হয়। আফ্রিকার দেশে ও এমপক্স নামে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগটি প্রথম বানরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার কারণেই এর নামটি রাখা হয়েছে মাক্সিপক্স।
মাক্সিপক্স কার কার গায়ে হয়ে থাকে
মাক্সিপক্স রোগটি বানর থেকে শুরু করে ইঁদুর কাঠবিড়ালি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এটি এখন মানুষের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে এখন মানুষ থেকো ও অন্য মানুষের ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এই রোগটি হলে খুবই সতর্ক অবলম্বন করা উচিত।
মাক্সিপক্স রোগ হলে করণীয় কি
মাক্সিপক্স রোগ হলে ওই ব্যক্তিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং পরিষ্কার বিছানা পরিষ্কার কাপড় পরিধান করাতে হবে। তাছাড়াও এই রোগটি হলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। এছাড়াও এই রোগটি হলে ভুলেও এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা যেমন পুইশাক, বেগুন, ডাল, কচুর বই ইত্যাদি।
এই রোগটি কমবেশি অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটি দ্রুত এগোচ্ছে বলেই চিকিৎসকরা বলে থাকেন। যদিও মাক্সিপক্স তেমন কোনো চিকিৎসা নেই এখন পর্যন্ত। তাছাড়া ও ডাক্তারেরা টিকা দেওয়ার পাশাপাশি ওষুধ বড়ি দিয়ে সুস্থ করার আশ্বাস রাখে বলেই মনে করেছে তারা। মাক্সিপক্স রোগ এ পর্যন্ত ২২ টি দেশের ছড়িয়ে পড়েছে।
মাক্সিপক্স রোগ কাদের হতে পারে
মাক্সিপক্স কাদের হতে পারে এই নিয়ে অনেকেই জানতে চাচ্ছিলেন। মাক্সিপক্স রোগ সাধারণত ছোট থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদের পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই রোগটি হলে মৃত্যুহার ৪ শতাংশ হয়ে থাকে। করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর বলেই মনে থাকেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা। কারণ এই রোগটি একেবারে ছোঁয়াচে। একজন থেকে আরেকজনের হতে বেশি সময় লাগে না।
মাক্সিপক্স কাদের উপরে প্রভাব পড়তে পারে
মাক্সিপক্স বা এমপক্স দুটি রোগ বলতে গেলে একি। বানর ইঁদ রূপের সকল পশু পাখি মানুষ জনের উপরও প্রভাব ফেলে থাকে এই রোগ টি। মাক্সিপক্স হলে আমাদের দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি ঘরে থাকার চেষ্টাই বেশি করব। এই রোগটি যেকোনো সময় ইদুর থেকে শুরু করে হতে পারে যে কারো হতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদের সতর্ক অবলম্বন করা উচিত।
আরও পড়ুন : ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি এবং এর লক্ষণ
এর জন্য আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এছাড়াও আমাদের বাড়ির আশেপাশে কোন নোংরা বা জীবাণু রাখা যাবে না এতে করে পোকামাকড় সহ ইঁদুরের অত্যাচার বেশি হতে পারে। ঘরের মধ্যেও কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। কারণ ঘরের মধ্যেই ইঁদুরেরা বেশি বসবাস করে থাকে। যার কারণে এই রোগটি হতে আমাদের বেশি সময় লাগবেনা হতে।
মাক্সিপক্স ভাইরাস কি এবং এর লক্ষণ কি
মাক্সিপক্স ভাইরাস হলো একটি ছোঁয়াচে রোগ। যেটি একজন থেকে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে যায়। এ রোগটি প্রতিটি শরীরে একটি ছোট ছোট ক্ষুদ্র আকারে বের হয় এটি ব্রণ ছিন্নের মতো সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে সেগুলো এলার্জির কারণে ফেটে যেয়ে ফুচকা মত আকারে রূপ নিয়ে থাকে। এই রোগটি হলে আমাদের সচেতনই একমাত্র সম্বল।
এটি প্রথমে বাহিরের বিভিন্ন দেশে হয়ে থাকে আজ থেকে কয়েক বছর আগে। এই রোগটি এখন বেশির ভাগ গরুর ক্ষেত্রে দেখা যে থাকে বাংলাদেশ ও। তাই এই রোগটি হলে খামারিরা ও দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকছেন এবং ভ্যাকসিন দিয়ে থাকছেন গরুদের।
লেখকের শেষ মন্তব্য
মাক্সিপক্স ভাইরাস কি এবং এর লক্ষণ কি বিস্তারিত পড়ে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনারাও এই রোগটি হলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি চাইলে আপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের এই রোগটি সম্পর্কে জানিয়ে সতর্ক করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য এবং আমার পাশে থাকার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url