লিফটে ওঠা নামার নিয়ম কি
লিফটে আমরা অনেকেই সময় বাচানোর জন্য চরে থাকি কিন্তু লিফটে চরলেও লিফটে উঠা নামার নিয়ম কি এগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকে জানি আবার অনেকে জানিনা।
এছাড়াও লিফট কত প্রকার হয়ে থাকে, লিফট ব্যবহার করার নিয়ম কি , লিফটের কোন বাটন কি কাজ করে থাকে এই নিয়ে থাকছে আজকের বিস্তারিত পোস্টে। লিফটে চড়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
.
লিফট কত প্রকার ও কি কি
আমরা অনেক সময় কাজের জন্য বা সময় বাঁচানোর জন্য লিফট ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু লিফট ব্যবহার করলেও লিফট ওঠা নামার নিয়ম কি এই সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজনীয়। লিফট ২ প্রকার। (১) প্যাসেন্জার এলিভেটর (২) গুডস এলিভেটর। এলিভেটর বা লিফট যাই বলি না কেন দুটি একই।
আরও পড়ুন : পাসপোর্ট করার জন্য কত বছর বয়স লাগে
লিফট সাধারণত অনেক প্রকার হয়ে থাকে আমরা অনেকেই জানিনা সেটি। আমরা হয়তো মনে করি লিফটে ওঠা নামা করা ব্যাস এই টাকেই লিফট বলা হয় কিন্তু লিফট বললেও লিফটের মধ্যে অনেক প্রকার ভেদ রয়েছে। গঠনগত দিক থেকে বলা যেতে পারে লিফট অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। বিশেষ করে কোম্পানির উপর এটি নির্ভর করে এক এক কোম্পানি একেক রকম ভাবে ডিজাইন করে থাকে অর্থাৎ বানিয়ে থাকে লিফট।
লিফটে ডোরের গেটের প্রকারভেদ অনুযায়ী লিফটের নাম রাখা হয়ে থাকে। যেমন কিছু লিফটের নাম হলো টেলিস্কোপিক ডোরের লিফট, সেন্টার ওপেনিং ডোরের লিফট, অটো ডোরের লিফট, কোলাপ্সিবল ডোরের লিফট, অটোমেটিক ডোরের লিফট, সুইম ডোরের লিফট ইত্যাদি। মডেলের নাম অনুসারি যে লিফট এর নামগুলো রাখা হয় তার মধ্যে দুইটি হলো ক্যাপসুল লিফট অথর্বা এস্কেলেটর লিফট
ক্যাপসুলের মত এবং এস্কেলেটর লিফট দেখতে কেমন হয়
ক্যাপসুল লিফট গুলো সাধারণত কোন কোম্পানি সব করেই এটি বানিয়ে থাকে। ক্যাপসুলের মত দেখতে গোলাকার যে গিফট টা থেকে থাকে তাকেই ক্যাপসুল লিফট বলা হয়ে থাকে। এস্কেলেটর লিভ সাধারণত দেখতে সিঁড়ির মতো হয়ে থাকে। এই লিফটি বিভিন্ন শপিং মলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যেয়ে থাকে। লিফট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকলেও লিফট কে এই দুই ভাগেই মধ্যেই সবকিছু ভাগ করা হয়েছে।
লিফট কি: লিফট হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক মেক্যানিক্যাল পরিবহন। যা নিজের শক্তির মাধ্যমে নিচ থেকে উপরে তুলে এবং উপর থেকে নিচে নামিয়ে থাকে যাত্রীদের। লিফটে আমরা সাধারণত বিভিন্ন কাজের সময় দেরি হলে সেই সময়টির মধ্যে পৌঁছানোর জন্যেই উঠানামা করে থাকি। এছাড়াও অনেকে সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করতে সমস্যা হয়ে থাকে। তারাও মূলত লিফট ব্যবহার করে থাকে।
লিফট ব্যবহার করার নিয়ম
লিফটে যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে সতর্ক অবলম্বন করতে হবে। আপনি যদি এর আগে কখনো লিফটতে না উঠে থাকেন তাহলে আপনার আছে পাশে বা অন্য কাউকে দিয়ে দেখিয়ে নিন লিফট ব্যবহার করতে হয় কিভাবে। এছাড়াও এই কিওয়ারটি পড়লে আপনি লিফট সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা পাবেন আশা করছি। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক লিফট কিভাবে ব্যবহার করবেন।
লিফট ব্যবহার করার জন্য প্রথমেই আপনি লিফটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পড়বেন। আপনি যদি ওপর তলায় যেতে চান তাহলে উপরে টিকের মত যে বাটনটা আছে উপরের বাটনটাতে প্রেস করবেন। আর যদি আপনি নিচ তলায় যেতে চান তাহলে নিচে যে বাটনটি রয়েছে ওখানে নিচের বাটনের প্রেস করবেন অর্থাৎ টিপ দিবেন। এটি দরজার সামনেই দেখতে পাবেন একটি দেওয়ালের পাশে। এরপর আপনি দরজার সামনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন।
তারপর আপনার সামনে থাকা গেটটি যদি খুলে যায় তাহলে ভিতরে ঢুকে পড়বেন দেরি না করে। এছাড়াও যদি আপনার পরিচিত আরো কোন ফ্রেন্ড বা বন্ধুকে বা বাড়ি আজকে সুজন কেউ ভিতরে ঢুকাতে চান তাহলে টিক মার্কের মতো আরেকটি বাটন আছে ওইটা প্রেস করে ধরে থাকলে দরজা আটকে থাকবে অর্থাৎ লাগিয়ে যাবে না।
এরপর ভিতরে যে দরজাটা লাগিয়ে দিন। তবে এটি এক কোম্পানির ক্ষেত্রে একেক রকম হয়ে থাকে অনেক কোম্পানি অটোমেটিকলি দরজা লেগে যায়। ভেতরে যাওয়ার পর আপনি কয় তালায় নামতে চান বা উঠতে চান সেটি চাপুন। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
লিফটে আটকে থাকলে করণীয় কি
অনেক সময় কারেন্ট যাওয়ার কারণে আটকে পরে থাকে লিফটের ভিতরে অনেকেই। যার কারণে অনেকেই ভয় পেয়ে যে থাকেন। তবে এটি কোন ভয় করার কারণ না হলেও আবার এটি মৃত্যুর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। কারন আপনি যদি লিফট ব্যবহার করার সঠিক নিয়মটি সম্পর্কে জানেন তবেই কিন্তু আপনি লিফটের ভিতর আটকা পড়লেও জানাতে পারবেন যে আপনি লিফটের মধ্যে আটকা পড়েছেন।
তখন তারা জেনেটার দিয়ে আপনাকে লিফটের ভিতর থেকে বের করে থাকবে। আর আপনি যদি লিফট সম্পর্কে কোন ধারনাই না থাকে যে তাহলে আটকা পড়লেও কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন বা কিভাবে সবাইকে জানাবেন। কারেন্ট না আসা পর্যন্ত আপনাকে লিফটের ভিতরই থাকতে হবে। কারেন্ট অনেক সময় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা থাকে না আবার অনেক সময় ৫ আবার ৬ ঘন্টা হতে পারে সারাদিনও না থাকতে পারে।
আপনি যদি লিফটের ভিতর আটকা পড়েন থাকেন তাহলে কল নামে বাটন আছে ওখানে পেস করে কল করতে পারেন অথবা ঘুনটি মত যে বাটনটা আছে ওখানে পেস করে সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন। আপনি যদি ঘন্টার মতোই বাটনটি প্রেস করেন বা চাপেন তাহলে এতে কররে সবাই বুঝতে পারবে যে আপনি লিফটের ভিতর আটকা পড়েছেন।
লিফট কে আবিষ্কার করেছিলেন
লিফট সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু ১৭৪৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এখনো অনেক মানুষকেই জন লিফটে উঠেছে আবার অনেকেই ওঠেনি এখনও। ১৭৪৩ সালে প্রথম লিফট আবিষ্কার করে থাকেন ফ্রানসের রাজা। যখন একটি প্রথম নেমেছিল তখন এক থেকে দুই জন ব্যক্তিকেই এটি বহন করতে সক্ষম হয়েছিল। এছাড়াও ১ তলা থেকে ২ তালা পর্যন্তই নিয়ে যেতে পেরেছিল।
লিফট ১৭৪৩ সালে প্রথম আবিষ্কার করার পর এটি আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেশের তৈরি করার পর পরবর্তীতে বাংলাদেশেও এটি আবিষ্কার করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশেও শপিং মল থেকে শুরু করে হাসপাতাল, অফিস আদালতে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে ১ একটি সালে এক এক রকমের লিফট তৈরি করা হয়ে থাকে।
তবে এখন অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যেয়ে থাকে অনেকে লিফটে ব্যবহার করা না জানলেও লিফটে ওঠার ইচ্ছেটা অনেকেরই আছে। লিফট এমন একটি মেকানিক জেটি মানুষ ওঠানামা করতে আরামদায়ক বোধ করে থাকে।
লিফট সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শপিংমল এবং হাসপাতালেই বেশি তৈরি করা হয়ে থাকে। হাসপাতালে বিভিন্ন রোগী নিয়ে যাওয়া আসার কারণেই এটি হাসপাতালেই বেশি তৈরি করা হয়ে থাকে এবং শপিংমলে বিভিন্ন মডেল সৌন্দর্য বারাতে এবং ক্রেতাদের সুবিধা ক্ষেত্রে বড় বড় শপিং মল গুলোতে তৈরি করে থাকে এটি।
লিফটে চরার সময় কি করতে হবে
যারা লিফটের চড়ার নিয়মাবলী সম্পর্কে না জেনেই লিফটে উঠে থাকি। তাদের উদ্দেশ্য বলব আপনারা তাহলে লিফটে উঠবেন না। যদি আপনার সাথে পরিচিত কেউ থাকে যিনি লিফট ব্যবহার করতে জানে তাহলে উঠতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি কখনোই একা লিফটে উঠতে যাবেন না ইচ্ছা থাকলেও। কারণ এটি আপনার মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
একটি কথা আপনারা ভেবে দেখতে পারেন হয়তো লিফট কিভাবে ব্যবহার করতে হয় জানেন না অথচ আপনি লিফটে উঠে পড়লেন তখন যদি কারেন্ট চলে যায় তখন আপনি কি করবেন এই কথাটি কি একবারও আপনারা ভেবে দেখেছেন? যদি না ভেবে থাকেন তাহলে এই কথাটি ভালো ভাবে মাথায় নিয়ে নিন। কারণ তখন আপনি কোন কিছু না জানার কারণেই লিফটের ভিতরে আটকা পড়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন : শরীর স্বাস্থ্যের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা
কারণ তখন আপনি কাউকে জানাতে পারবেন না যে আপনি লিফটের মধ্যে আটকা পড়েছেন। আবার যদি এমন হয় কোন দুর্যোগের কারণে কারেন্ট যদি নাও এসে থাকে তাহলে লিফটের মধো আটকা পরেই থাকবেন। কেউ জানতেও পারবে না। আস্তে আস্তে আপনার দম টাও বন্ধ হয়ে আসতে পারে। তাই লিফটে ওঠার সময় অবশ্যই সতর্ক অবলম্বন করুন আপনি যদি না জানেন তাহলে কাউন্টারে কারো কাছে জেনে নিন অথবা অন্য কোন লোকের কাছে ভালোভাবে জেনে নিন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
লিফটে না জেনে না বুঝে আমরা অনেকেই উঠে পড়ি কিন্তু এই লিফটে ওঠার কারনেই কিন্তু আমাদেরও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সেটি হয়তো আমরা শেষ পর্যন্ত পড়ে বুঝতে পেরেছি। লিফটে ওঠা নামার নিয়ম কি এবং লিফট সম্পর্কে পড়ে আপনাদের বিস্তারিত কেমন লেগেছে তা নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
এছাড়ো লিফট সম্পর্কে যদি আপনার আরো কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে বা এরপর কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেটি নিচে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখতে পারেন। আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনার আশে পাশে পরিচিত বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনদেরও লিফট সম্পর্কে জানিয়ে রাখুন। এতে করে পরবর্তীতে তারাও হয়তো এই ভুল কাজটি আর করতে যাবে না। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য এবং আমার পাশে থাকার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url