গাজরের হালুয়ার কয়েকটি উপকারিতা
প্রিয় বন্ধুরা' গাজর তো আমরা সবাই খেয়ে থাকি কিন্তু গাজরে রয়েছে যত রকমের পুষ্টি এবং গুণ সেই গুলো সম্পর্কে আমরা কয়জন জানি। আপনি কি জানেন গাজর খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা ভালো হয়ে থাকে।
এছাড়াও গাজরের কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে যেই উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনারা জানেন আপনারাও চাইবেন গাজর প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখতে। গাজর বিভিন্ন ভাবে রান্না করেও খাওয়া যে থাকে যেমন গাজরের হালুয়াও অনেকে বানিয়ে খেয়ে থাকে তবে দেরি কিসের চলন বিস্তারিত নিচে জেনে নেয়া যাক।
.
গাজরের হালুয়া বানানোর সহজ নিয়ম
গাজর তো আমরা সবাই খাই কিন্তু আপনারা কি কখনো গাজরের হালুয়া খেয়েছেন? আবার অনেকেই হয়তো গাজরের হালুয়ার সম্পর্কে শুনেছেন কিন্তু গাজরের হালুয়া কিভাবে বানাতে হয় সেই রেসিপিটি সম্পর্কে সঠিক জানেন না। তাই আপনি যদি গাজরের হালুয়া সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়তে এসেছেন।
আরও পড়ুন : গাজর খাওয়ার উপকারিতা দিক গুলো জেনে নিন
কারণ আজকের আর্টিকেলে গাজরের হালুয়ার কয়েকটি উপকারিতা সহ হালুয়া বানানোর সহজ নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের বলব যেই নিয়ম গুলো ফলো করে আপনি কিন্তু গাজরের হালুয়া সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে বাড়ির সবাইকে চমকে দিতে পারবেন।
আপনি যদি আমার দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী গাজরের হালুয়া তৈরি করেন তাহলে আশা করছি এই নিয়মের তৈরি করলে আপনি সুন্দর একটি হালুয়া বানাতে পারবেন। তবে চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে গাজরের হালুয়া বানানোর সহজ নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। গাজরের হালুয়া বানানোর জন্য প্রথমে আমরা যেই জিনিসগুলো নেব
- তেজপাতা - ৩ টা
- সাদা এলার্চ - ৬ টা
- দারচিনি - ৪ টুকরো
- কিচিমিচ - ১০ টা
- বাদাম - পরিমান মত
- চিনি - সাধ অনুযায়ী
- পাউডার দুধ - ২০ টাকায় ১ প্যাকেট
- গাজর - ৮ থেকে ১০ টা চিকন করে ঝুরি করতে হবে
হালুয়া তৈরি করবেন যেভাবে
প্রথমে একটা চুলায় পাত্র বসিয়ে দিব এবং সেই পাত্রে কুচি করা গাজর দিয়ে দিব। আর সেই গাজরের সাথে এক টেবিল চামচ তেল বাঘ ঘি দিয়ে এবং মসলা গুলো দিয়ে ভালো ভাবে ভেজে নিব। ভালো ভাবে নাড়তেই হবে একটা খুন্তির সাহায্যে। পাতিল এর তলায় যেন গাজরের মিশ্রণটি লেগে না যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
লেগে গেলে খেতে ভালো লাগবে না সে ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। গাজরের মিশ্রণটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঘিয়ে অথবা তেলে ভেজে নেওয়ার পর পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিব। চিনি দেওয়ার পর আবার ৫ থেকে ৭ মিনিট ভালো ভাবে নাড়তে হবে। চিনি নাড়তে নাড়তে একটু আঠালো ভাব আসলে সেখানে বাদাম এবং কিসমিস দিয়ে দিব। দেয়ার পর আবার কিছুক্ষন পরিমাণ ভালো ভাবে নেড়ে চিনির রসটুকু মেরে নিব।
পরবর্তীতে আমরা পাউডারের দুধ টুকু দিয়ে দিব। কিছুক্ষণ আবার ভালো ভাবে মিক্স করে নিবো। ব্যাস তারপর কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে হালুয়া টা নেমে নিব। তৈরি হয়ে গেল গাজরের হালুয়া। এভাবে আপনারা অবশ্যই বাড়িতে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আশা করছি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে আমার দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী বানালে।
গাজরের হালুয়ার কয়েকটি উপকারিতা
গাজর এবং গাজরের হালুয়া এই দুটিতেই রয়েছে কয়েকটি উপকারিতা যে উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা যদি জানেন নিয়মিত প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারেন। এছাড়াও গাজর কিন্তু একটা ফলের মত পুষ্টি উপাদান সহ ভিটামিন দিয়ে থাকে। গাজর বাজার কম দামে একটি সবজি হিসাবে পাওয়া যায়। গাজার আপনি রান্না করে খান বা কাঁচা খান দুটোতেই উপকার রয়েছে তবে গাজরের হালুয়ার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে আপনার জানা উচিত।
- গাজর খেলে মানব দেহের প্রতিটি সমস্যা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- কাঁচা গাজর এবং গাজরের হালুয়া খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- গরমের সময় গাজরের জুস বানিয়ে খেলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি গুলো পূর্ণ করে থাকে।
- কাঁচা গাজর এবং গাজরের হালুয়া খেলে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
- গাজর খেলে বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। যাদের প্রায়ই বমি বমি ভাব হয় তারা গাজর খেতে পারেন সে গাজরের হালুয়া অথবা কাঁচা গাজর।
- প্রতিটি মানবদেহের হাড়কে ভালো রাখে এবং গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে।
- দাঁতের গোরা শক্ত রাখে এবং দাঁত কে ভালো রাখতে সাহায্য করে গাজর।
- দাঁত থেকে রক্ত পড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে গাজরের জুস। তবে যারা কাঁচা গাজরের জুস খেতে পারেন না তারা চাইলে গাজরের হালুয়া খেতে পারে।
- যারা কিডনিকে সুরক্ষিত রাখার কথা ভাবেন তারা নিয়মিত গাজর খেতে পারেন কারণ গাজার খেলে কিডনি সমস্যা দূর হয়।
- যারা নিয়মিত এলার্জির সমস্যায় ভুগেন তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় গাজর রাখার চেষ্টা করেন কারণ গাজর কিন্তু এলার্জির সমস্যা দূর করতো সাহায্য করে থাকে।
- গর্ভবতী মায়েরা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় গাজরের হালুয়া অথবা কাঁচা গাজর একটা করে খেলে একটি ফলের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
- ছয় মাসই বাচ্চাকে যদি আপনি আজেবাজে খাবার খাওয়া থেকে প্রতি দিন একটু পরিমাণ করে গাজরের হালুয়া বানিয়ে খাওয়াতে পারেন তাহলে সেই বাচ্চাটির শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উৎপাদান তৈরি হয়।
শাহী হালুয়া খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা
হালুয়া কম বেশি সবাই পছন্দ করে থাকি কিন্তু সেই হালুয়া যদি একটু অন্যরকম ভাবে করা হয়ে থাকে তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লেগে থাকে। আমরা উপরের কিওয়ার্ড গুলোতে গাজরের হালুয়ার বানানোর রেসিপি এবং গাজরের হালুয়ার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে এসেছি। তাই আপনারা যদি শাহী হালুয়া খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা কি সেই সম্পর্কে যদি জানেন তাহলে আপনারাও চাইবেন আজকে থেকেই সপ্তাহে একদিন হলেও শাহী হালুয়া খেতে। তবে চলুন কথা না বারিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- শাহী হালুয়া খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সাথে যুদ্ধ করতে শক্তি যুগে থাকে।
- শাহি হালুয়ায় রয়েছে কয়েকটি পুষ্টি উপাদান যে উপাদান গুলো শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- শাহীন হালুয়া গর্ভবতী মায়ের থেকে শুরু করে ছয় মাসের বাচ্চাদেরও খাওয়ানো যেয়ে থাকে কারণ এই হালুয়াটি খেলে তাদের পুষ্টিগুণ বাড়ে।
- স্বামী এবং স্ত্রী মিলে যদি শাহী হালুয়া খায় এতে কিন্তু শারীরিক ভাবে তারা অনেক রকমের উপকারিতা পেয়ে থাকে।
- প্রসাবের জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ করতে শাহী হালুয়া বেশ কার্যকরী একটি ঔষধ বলা যেতে পারে।
শাহী হালুয়া ঘরোয়া ভাবে বানানোর রেসিপি সম্পর্কে জেনে নিন
শাহী হালুয়া কে না পছন্দ করে। তাও আবার যদি ঘরোয়া ভাবে কয়েক টি উপকরণ দিয়ে বানানো হয়। আমরা কুম বেশি সবাই জানি শাহী হালুয়া সুজি দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু হালুয়া বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া রান্না করা হয়ে থাকে যেমন গাজরের হালুয়া, বুটের হালুয়া, আটার হালুয়া ইত্যাদি সহ অনেক কিছু।
কিন্তু সব হালুয়ার মধ্যে যদি আপনি গাজরের হালুয়াটি বানিয়ে খান এতে আরো বেশি উপকার হয়ে থাকবে। আমরা উপরে জেনেছি যে গাজারের হালুয়ার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে। যেই উপকারিতা গুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তবে চলুন সেই সব কথা বাদ দিয়ে শাহী হালুয়া ঘরোয়া ভাবে বানানো রেসিপি সম্পর্কে নেওয়া যাক।
শাহী হালুয়া বানানোর জন্য আমরা প্রথমে চুলাই একটা পাত্র বসিয়ে দিব। সেই পাত্রটি গরম হয়ে গেলে এক কাপ পরিমাণ সুজি দিয়ে দিব এবং সেই সুজিটা কিছুক্ষণ ভর নেড়ে চেরে নামিয়ে নিব। তবে দেখবেন সুজিটা যেন বেশি পুড়ে না যায় কারণ সুজিটা যদি বেশি পুড়ে যায় তাহলে খেতে অনেকটা তিতো লাগবে।
পরবর্তীতে আরেকটা পাত্রে দুই কাপ পরিমাণ দুধ জ্বাল দিয়ে নিব। জাল দেওয়া হয়ে গেলে আগে থেকে ভেজে রাখা সুজি দিয়ে দিব। তারপর আবার একটা খুন্তির সাহায্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট নাড়তে হবে।পরবর্তীতে আরেকটা পাত্রে সাধ অনুযায়ী ১ থেকে ২ কাপ চিনি দিয়ে দিব। তবে চিনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী দিবেন। চিনির সাথে ১ কাপ ঘি দিয়ে দিব।
ঘি এবং চিনি ভালো ভাবে নাড়বো চিনি টা গড়া পযন্ত। চিনি টা গলে গেলে সামান্য পরিমাণ পানি দিব এবং আবার কিছু ক্ষণ নাড়তে থাকবো চিনির সুরা লাল না হওয়া পযন্ত। চিনির সুরা লাল হয়ে গেলে আগে জাল দেওয়া দুধের মিশ্রণ টি দিয়ে দিব। দেওয়ার পর আবার ১৫ মিনিট নাড়তে হবে এক ভাবে।
আঠালো একটা ভাব চলে আসলে ২ চা চামচ ঘি দিয়ে দিব এবং ঘিয়ে কিছু ক্ষণ পরিমাণ নাড়বো। পরবর্তীতে কিছুটা কিসমিস সাধ অনুযায়ী দিয়ে দিব ব্যাস তাহলেই আপনার শাহী হালুয়াটি তৈরি। আপনি এই নিয়ম অনুসরণ করে হালুয়া বাড়িতে তৈরি করলে তাহলে এটি খেতে কিন্তু খুব ভালো লাগে এবং এটি খেতে অনেক সাধু হয়ে থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
হালুয়া আমরা সবাই খাই কিন্তু সেই হালুয়াটা যদি গাজরের হয় একটু বেশিই ভালো লাগে কারণ গাজরের হালুয়াতে পুষ্টি এবং ভিটামিন দুটোই পাওয়া যায় যেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অন্য হালুয়ার চেয়ে গাজরের হালুয়াটা খাওয়া বেশি উপকারী। এছাড়াও গাজরের হালুয়ার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এবং পড়ে আপনার আশা করছি ভালো লেগেছে আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন পোস্ট পড়তে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন : মাছ ও মাংস রান্না করতে কি কি লাগে
কারণ স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন পোস্ট আপডেট করা হয়ে থাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি সম্পর্কে। এছাড়াও আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন আমি সঠিক সময় আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url