মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

সময়ের সাথে সাথে আমাদের দেশটাও পরিবর্তন হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সময়কে মূল্যবান হিসেবে নেওয়া উচিত। তবে এই সময়কেই মূল্যবান হিসেবে নেয়ার কারণে অনেকেই সফলতা অর্জন করেছে। 
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে থাকেন। আপনারা কি সত্যটা আজও জানেন ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল দিয়ে শেখা যায় কিনা? মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায়। 
.

মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম কি

আজকাল অনেক তরুণ তরুণীর স্বপ্ন হয়ে উঠেছে মোবাইল দিয়ে কাজ করা। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম কি?  মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম হলো ফিল্যান্সিং। আপনি হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ভালো একটা টাকা আর্নিং করতে পারবেন। 
ফ্রিল্যান্সিং করে এখন সফলতার দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে অনেক তরুণ তরুণীরা। তাই আপনার যদি আগে থেকেই জানা থাকে ফ্রিল্যান্সিং নামের কথাটি বা ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করে দিন ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু মোবাইল দিয়ে যে সত্যিই ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এটা হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। কিন্তু এই কথাটি যারা ভেবে থাকে কিছুটা ভুল আবার কিছুটা সঠিক ও। 

সঠিক এই কারণেই আপনি যদি প্রফেশোনাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বড় ধরনের কোন করতে চান তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে। তবে সাধারণ ভাবে কিছু কাজ মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। তবে অনেকেই মনে করেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? মোবাইল দিয়ে যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তারা নিচের কিওয়ার্ড টি অনুসরণ করতে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো বর্তমান

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় যেকোনো অবস্থা থেকে কিন্তু করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং স্বাধনত একটি মুক্ত পেশা হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং করেই এখন লাখো মানুষ কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখচ্ছে বাস্তবে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র নিজের স্কিলটা ভালো থাকলেই তাহলেই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। 

তবে শুধু স্কিল ভালো হলেই হবে না স্কিল ভালো হওয়ার পাশাপাশি নিজের ধৈর্যশক্তিরও প্রয়োজন কারণ ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক সময় দেওয়া লাগে এবং অনেক বছর পরিশ্রম করলেই তবে সফলতা দেখা ধরা দায়। আপনি চাইলে শুরুতেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সব থেকে সহজ কাজ হল Html এবং Ccs। এই দুইটি কিন্তু খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে শিখা যায়। 

তবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনি নিজেই নিজেকে নির্ধারণ করবেন আপনি কি শিখতে চান তার উপরেই বেসেজ করবে আপনি মোবাইল দিয়ে শিখতে পারবেন না ডেস্কটপের প্রয়োজন হবে। তবে আমার দেখানো এ কাজ গুলো আপনি মোবাইল দিয়েই শিখতে পারবেন এবং করতেও পারবেন। আপনি যদি প্রফেশনালি ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো আইটি সেন্টার গুলোতে ভর্তি হবেন। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোর্স ফ্রি কেমন

বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত অনেকেই রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোর্স ফ্রী  ঠিক কেমন সেই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণাটি জানেনা যার কারণে তাদের বিভিন্ন টাকা পয়সা দিয়ে ঠকতে হয়। আবার দেখা যে থাকে টাকা দিয়ে কাজ শিখছে অথচ ইনকাম হয় না। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার আশে পাশে আইটি সেন্টার গুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্স ফ্রী কেমন হতে পারে। 

এই নিয়ে একটা আইডিয়া এবং ধারণা করবেন। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ভালো ভাবে শিখতে চান তাহলে টাকার পরিমান অবশ্যই বেশি লাগবে। কারণ প্রফেশনাল কাজ করতে চাইলে ভালো আইটি সেন্টার গুলোতে ভর্তি হতে হবে নয়তো আপনি কখনোই কাজ শিখতে পারবেন না। এছাড়াও আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই সম্পর্কে নিজের নিচের কিওয়ার্ড টি পড়তে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্স ফ্রি সাধারণত বড় আইটি সেন্টার গুলোতে ভর্তি হতে গেলে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১৫ হাজার হয়ে থাকে। আর নরমাল যে আইটি সেন্টার গুলো রয়েছে সেখানে যদি শিখতে চান সেগুলোতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে শুরু করে ১০ হাজার মধ্যেই হয়ে থাকে। তবে আমার মতে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে অবশ্যই এবং ভালো আইটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন যদি টাকার পরিমানটা একটু বেশিও লাগে।  

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি ভাবে শিখব

মোবাইলে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে অবশ্যই আপনার স্কিল টা ভালো হতে হবে তবে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে এবং করতে পারবেন। তবে অনেক কাজই রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে শিখার পর ডেক্সটপে করতে হয়। আবার কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে শিখার পরে সেগুলো মোবাইলেই করা যায়। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে কাজের উপরে আপনি কোন কাজটি করছেন। 

তবে উপরে আমার কিওয়ার্ডের কাজ গুলো সম্পর্কে যদি আপনি জেনে আসেন তাহলে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন মোবাইলে কোন কাজ।গুলো শিখা এবং করা যায়। আপনি চাইলে উপরের কিওয়ার্ডটি পরে মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায় সেই কাজটি নির্ধারণ করতে পারেন। এছাড়াও মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই কথাটি যারা জটিলতার সাথে বলে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব 

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে বিভিন্ন ব্রাউজারে সার্চ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারেন যেমন ইউটিউব, ফেসবুক, google সহ বিভিন্ন ব্রাউজার। এছাড়াও এখন ইউটিউবে ও অনেক ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি ক্লাস গুলোর ভিডিও বানিয়েছেন অনেকেই। আপনি চাইলে সেই ভিডিও গুলো দেখেও ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন। 

এছাড়াও আপনি যদি ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে না পারেন তাহলে বিভিন্ন আইটি সেন্টার গুলোতে ভর্তি হয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হতে পারেন। এখন এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর আপনি কি করবেন।  

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা আসলেই যায় কিনা

এখন বাংলাদেশে প্রতিটি মোবাইল ফোন অনেক শক্তিশালী এবং প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে মানুষজনের কাছে। তবে মোবাইল ফোন এখন শক্তিশালী হলেও মানুষও এর ব্যবহার করে আসছে বিভিন্ন কাজে। তার মধ্যে একটি কাজ হল ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করে এখন মানুষ ঘরে বসে থেকেই চাকরির চেয়েও বেশি ইনকাম করে থাকছে। তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা আসলেই যায় কিনা? হ্যাঁ অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। 
তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার একটি ভাল স্কিল এবং ধৈর্য থাকতে হবে তবেই আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন নয়তো যে কেউ মোবাইলে ফিন্যান্সিং করতে পারবে না। না পারার একটাই কারণ হচ্ছে তার মধ্যে ভালো একটি কোন স্কিল নেই এবং তার ধৈর্য শক্তিটা কম। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজের বড় কোন অংশ করতে চান তাহলে সেটি মোবাইলে সম্ভব নয় কারণ এর জন্য আপনার বড় ডিভাইসে প্রয়োজন হয় যেমন ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ। 

ল্যাপটপের থেকেও ডেক্সটপ বেশি ভালো বড় কাজ গুলোর ক্ষেত্ররে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি একটা বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করবেন। সেই বিষয়টি হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন পার্ট শিখতে চান ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লগিং না অন্য কিছু। আপনি যে কাজটি শিখতে চান সেই কাজের উপরেই মেসেজ করে ডিভাইসটির প্রয়োজন হবে যে আপনি ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না ডেক্সটপ। 

প্রতিটি বড় কাজের ক্ষেত্রে বড় ডিভাইসে প্রয়োজন হয় থাকে কারণ এই কাজগুলো লোডিং নিতে সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা আসলেই যায় কিনা এছাড়াও কোন কাজের ক্ষেত্রে মোবাইলটি প্রয়োজন হয় থাকে। 

আপনারা যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সহ বড় ধরনের কোনো কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করো। এছাড়াও আমরা উপরের কিওয়ার্ড গুলোতে পড়ে এসেছি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন।  

মোবাইল দিয়ে কি কি করা যেয়ে থাকে

এখন প্রতিটি আনাচে-কানাসে ছড়িয়ে গিয়েছে স্মার্টফোন। আর এই স্মার্টফোনে প্রয়োজনীয়তা মানুষের কাছে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে এই স্মার্টফোন থেকে মানুষজন ইনকাম করার স্বপ্ন দেখছেন তাও আবার ঘরে বসে থেকেই। অনেকে বিশ্বাস করতে না চাইলেও সত্য এটাই। 
ফ্রিল্যান্সিং
স্মার্ট ফোন অথবা মোবাইল দিয়ে কি কি করা যেয়ে থাকে যদি আপনারা জানেন তাহলে আপনারাও চাইবেন মোবাইল ফোনটি ফেলে না রাখে মোবাইল ফোনটি কেউ ও অবসর সময়ে কাজে লাগাতে। এছাড়াও আমরা উপরের কিওয়ার্ডে জেনে এসেছি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো কোথায় শিখব, তাই আশা করছি উপরের কিওয়ার্ড গুলো পড়ে একটু হলেও আপনার মোবাইল এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটু ধারণা এসেছে। 

তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যে থাকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। মোবাইল দিয়ে করা যায়, ওয়েবসাইট দেখা, ব্লক ভিডিও করা, আর্টিকেল রাইটিং করা, ফ্রিল্যান্সিং, ভিডিও দেখা গান শোনা, ইমেইল আদান প্রদান করা, যেকোনো সমস্যায় প্রয়োজনীয় মানুষকে ভিডিও কলে দেখায় এবং কথা বলা, Html, Ccs সহ আরো অনেক কিছু যা বললে হয়ত এর প্রয়োজনীয়তা শেষ নেই। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন মোবাইল দিয়ে কি কি করা যেয়ে থাকে। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আশা করছি আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আর যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এরপর কোন বিষয় সম্পর্কে আর্টিকেল জানতে চাচ্ছেন সেই বিষয়টির নাম কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন। এছাড়াও আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে সেটিও জানাতে পারেন। আমি চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি দেওয়ার। 
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা কিন্তু শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে কোন যোগ্যতা লাগে না ফ্রিল্যান্সিং করতে নিজের মেধার প্রয়োজন হয়। আপনার যদি ভাল একটি মেধা এবং ধৈর্য শক্তি থেকে থাকে তাহলে আপনার দ্বারাই ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্য এবং আমার পাশে থাকার জন্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url