বিভিন্ন রকমের চা বানানোর রেসিপি
প্রিয় বন্ধুরা আমরা তো চা কম বেশি সবাই খেয়ে থাকি কিন্তু কয়েক রকম চা বানানোর রেসিপি সম্পর্কে কয়জনই জানি। আপনারা যারা বিভিন্ন রকমের চা বানানোর রেসিপি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা কিন্তু আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন।
কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে চা বানানোর কয়েকটি রেসিপি সম্পর্কে জানাবো এবং সেগুলো ভিন্ন ভিন্ন যেমন আদা চা, হলুদ চা, মরিচ চা, মসলা চা, লং চা, দুধ চা আচ্ছা ইত্যাদি। এ সকল চায়ের রেসিপি সম্পর্কে জানতে হলে বিস্তারিত নিজের কিওয়ার্ড গুলো ফলো করুন।
.
আদা চা
আমাদের শরীরের কে সুস্থ এবং স্বতেচ রাখার জন্য আমরা চা খেয়ে থাকি এছাড়া অনেকে নিত্য দিনের অভ্যাস হিসাবেও চা খেয়ে থাকে। চা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকারী। বিশেষ করে যখন সর্দি-কাশি লাগে। আমাদের যখন একটুতেই গায়ে জ্বর এসে গলা ব্যাথা শুরু হয় তখনই আমরা ভেবে নেই চা খাওয়ার কথা।
তবে সেই চাটা যদি একটু অন্যরকম অন্যান্য ভাবে চা হয়ে থাকে সেই চায়ের স্বাদ একটু বেশি লাগে জ্বরের সময়। এছাড়া অনেকের শখ করেও ভিন্ন ভিন্ন রকমের চা খেয়ে থাকে। শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে যে কোন চা য় কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী হয়ে থাকে। আপনারা যারা আদা চা সঠিকভাবে রান্নার রেসিপি জানতে চাচ্ছেন তারা কিন্তু এক নজর এ কিওয়ার্ড টি দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন : চুই ঝাল রান্নার রেসিপি
আদা চা বানানোর জন্য আমরা শুরুতেই এক টুকরো আদা ছিলে ভালোভাবে ধুয়ে নিব। পরবর্তীতে কোন কিছুর সাহায্যে সেই আদার টুকরো থিতে করে নিব। চা বানানোর জন্য চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিব সেখানে দিয়ে দিব এক থেকে দুই কাপ পানি এবং স্বাদ অনুযায়ী চিনি। যে যেমন চিনি খেতে পছন্দ করেন ঠিক তেমনি চিনি দিবেন তবে আপনারা চাইলে শুধু চায়ের পানিটুকু তৈরি করে নিয়ে পরবর্তীতে চিনি দিয়ে একটা চামচের সাহায্যে নেরেও খেতে পারেন।
তবে যার যেমন ভালো লাগে সে তেমনভাবেই খাবেন। পরবর্তী ধাপে পানিতে দিয়ে দিব আগে থেকে থিতে করা আদা টুকরো। আদার দেওয়ার পর পানিটুকু তিন থেকে চার মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে নিব সেখানে দিয়ে দিব কিছুটা পরিমাণ চাপাতি। চাপাতি ১ থেকে দের চামচ দিলেও হবে। চাপাতি দেওয়ার পর আবার এক মিনিট জ্বাল দিয়ে নিব। ব্যস পরবর্তীতে চা রেডি।
লং চা
আমরা তো কম বেশী সবাই বিভিন্ন রকমের চা খেয়ে থাকি তবে সেই চা টা যদি লং চা হয়ে থাকে একটু মনে হয় শ্ব্যাস্থের জন্য আরো বেশি ভালো হয়ে থাকে। কারণ আমরা কমবেশি সবাই জানি লং এর মধ্যে অনেক কিছু পুষ্ট উপাদান পাওয়া যেয়ে থাকে যেটি আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
আর এই জন্যে লং এবং চা যদি একসাথে বানিয়ে খাওয়া যেয়ে থাকে এতে করে শরীরের জন্য আরও বেশি ভালো হয় এর জন্য আমরা লং চা তৈরি করব। যারা বিভিন্ন রকমের চা বানানোর রেসিপির মধ্যে লং চা রেসিপি টা জানতে চাচ্ছিলেন তারা কিন্তু এই কিওয়ার্ড টি মনোযোগ দিয়ে জানতে পারেন। লং চা তৈরি করার জন্য শুরুতেই আমরা তিন থেকে চারটি লং লিব দুই কাপ চায়ের জন্য।
অতিরিক্ত পরিমাণ লং চা দিলে চা টা খেতে ভালো লাগবে না শুধু লং এরই গন্ধ উঠবে এবং চা টা অন্যরকম হবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা দুই কাপ চায়ের জন্য তিন থেকে চারটি লং ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এবার চা বানানোর জন্য শুরুতেই আমরা একটা পাত্রে দুই কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে নিব সেখানে দিয়ে দিবো কিছু পরিমাণ চিনি এবং তিন থেকে চারটি লং।
লং দেওয়া হয়ে গেলে তিন থেকে চার মিনিট জ্বাল দিয়ে নিব অর্থাৎ পানিটুকু ভালোভাবে ফুটিয়ে নিব। ফুটানো হয়ে গেলে সেখানে দিয়ে দিব এক থেকে দেড় চা চামচ চাপাতি পরবর্তীতে আবার এক মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে নেব। তবে চাপাতি দেওয়ার পর এক মিনিটের বেশি কখনোই জাল দেয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ চা পাতি যত বেশি জ্বাল দিবেন তত চাপাতির লিগারটা ছেড়ে দিয়ে চা স্বাধ টা নষ্ট করে দিবে। সে ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।
মড়িচ চা
চা অনেক রকমের হয় থাকে এটা আমরা সবাই জানি যেমন আদা চা, লং চা, হলুদ চা, মসলা চা, তেজপাতা চা, দুধ চা দারচিনি চা, লেবু চা ইত্যাদি। তাই সব চায়ের মধ্যে আমি আজকের আর্টিকেলে কয়েকটি চায়ের রেসিপি সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যার মধ্যে রয়েছে মরিচ চা। আপনারা হয়তো আশেপাশে কোথাও শুনেছেন মরিচ চায়ের কথা বা খেয়েছেনও অনেকেই।
তবে এই মরিচা বাড়িতেই কিভাবে বানাবেন রেসিপি জানতে হলে কিওয়ার্ড মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। মরিচ চা পান করলে নিয়মিত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেয়ে থাকে। মরিচ চা স্বাস্থ্যের জন্য যতটা ভালো ঠিক তেমনি খাবারের রুচি বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। মরিচ চা তৈরি করার জন্য আমরা নিয়ে নিব পানি, চাপাতি, চিনি, কাঁচা মরিচ, আদা এবং লেবু।
অনেকের হয়তো এখন মনে হতেই পারে মরিচা বানাতে এত গুলো উপকরণ। মরিচা এর মধ্যে যদি আপনি এত গুলো উপকরণ দিয়ে তৈরি করেন তাহলে এই চা খেতে টক ঝাল মিষ্টি লাগবে এবং খেতে সুস্বাদু হবে। প্রথমে চুলায় একটি পাত্রে কিছুটা পরিমাণ পানি দিয়ে দিব সেই পানিটুকু ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে সেখানে এড করব সামান্য কিছু আদা কুচি এবং চা পাতা।
পরবর্তীতে ভালোভাবে জাল দিয়ে নিব। জাল দেওয়া হয়ে গেলে চায়ের কাপে দিয়ে দিব স্বাদমতো চিনি, কিছুটা কাঁচামরিচ কুচি, পরিমাণ অনুযায়ী লেবুর রস এবং ফুটিয়ে নেওয়া পানি দিয়ে দিব সেই কাপে। পরবর্তীতে একটি চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে পরিবেশন করব। ব্যাস তাহলেই কিন্তু মরিচা রেডি।
মসলা চা
মসলা চা কারো কাছে হয়তো নতুন ও মনে হতে পারে কারণ মসলা চা কুম লোকজনে খেয়েছে। মসলা চা অনেকেই করতেও পারে না। আপনিও যদি মসলা চান বানানোর রেসিপি সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে কিন্তু এই রেসিপিটি ফলো করতে পারেন এবং আপনার পরিচিত বন্ধুদের মসলা চা বানিয়ে চমকে দিতে পারেন।
মসলা চা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন পাওয়া যেয়ে থাকে যেগুলো আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি যদি শুধু লাল চা খাওয়া বাদেও মসলা চা করে খেতে পারেন তাহলে কিন্তু শরীর স্বাস্থ্যের বিভিন্ন রকমের উপকার মিলবে যে উপকার গুলো আপনার হয়তো অজানা। মসলা চা বানানোর জন্য আমরা কিছুটা পরিমান চিনি, দুধ, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, তেজ পাত, জোয়ান ইত্যাদি নিয়ে নিব।
এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিব সেই পাত্রে দিয়ে দিব পরিমাণ মতো দুধ। এবার এই দুধটুকু দুই থেকে তিন মিনিট ভালোভাবে জাল দিয়ে নিব জাল দেওয়া হয়ে গেলে সেখানে উপরের এসব উপকরণ গুলো দিয়ে দিব। দেওয়ার পর কিছুক্ষণ আবার জাল দিয়ে নিব। জাল দেওয়া হয়ে গেলে সেখানে দিয়ে দিব চা পাতা।
পরবর্তীতে আবার এক থেকে দেড় মিনিট ভালোভাবে জাল দিয়ে নেব এবং পরবর্তীতে চায়ের কাপে এটি পরিবেশন করে নিব। ব্যাস তাহলেই আমাদের মসলা চা সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি। আপনি চাইলেই কিন্তু নিয়মিত প্রতিদিন রাত করে অথবা সকালে মসলা চা খেতে পারেন। অন্য চা গুলোর চেয়ে মসলার চা য় একটু বেশি উপকার পাওয়া যেয়ে থাকে।
হলুদ চা
প্রিয় বন্ধুরা' বিভিন্ন রকমের চা বানানোর রেসিপি সম্পর্কে আপনারা হয়তো জানেন এবং খেয়েছেনও কিন্তু কখনো হলুদ চা বানিয়ে কি একবারও খেয়ে দেখেছেন। যদি খেয়ে না দেখে থাকেন তাহলে আজকেই বাড়িতে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। কারণ হলুদ চা স্বাস্থ্যের জন্য যতটা ভালো হয়ে থাকে এটি খেতেও ঠিক ততটাই স্বাদও হয়ে থাকে। অনেকেই রয়েছে যারা অন্য চা খাওয়ার চেয়ে নিয়মিত প্রতিদিন হলুদ চা করে খায়।
এতে করে দেখা যায় তাদের শরীর স্বাস্থ্য এবং বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকে। হলুদ চা র গুনাগুন এবং উপকারিতা অনেক। আপনি যদি ইউটিউবেও হলুদ চা সম্পর্কে সার্চ দেন তাহলে এর উপকারিতা এবং গুনাগুন কতটা সে সম্পর্কে জানতে পারবেন এছাড়াও আপনি যদি আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে জানতে চান তাহলে কিন্তু
google এ সার্চ করতে পারেন কারণ গুগলে যদি হলুদ চা সম্পর্কে জানতে চান আপনার সামনে অনেক গুলো আমার মতই আর্টিকেল নিয়ে আসবে যে আর্টিকেল গুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন হলুদ চা র গুণা গুণ সম্পর্কে। হলুদ চা বানানোর জন্য শুরুতেই আমরা চুলায় পাত্র বসিয়ে দিব আগের কিওয়ার্ড গুলো মত করে।
পরবর্তীতে পাত্রে এক কাপ পানি দিয়ে নিব পানি দেওয়া হয়ে গেলে সেখানে দিয়ে দিব সামান্য পরিমাণ চিনি তবে আপনারা চাইলে চিনি জাল না দিয়ে পরবর্তীতে পানি শুধু চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। এর জন্য আপনি শুধু পানি ফুটিয়ে নিবেন এবং সেই পানিটুকু কাঁপে দিয়ে সেই কাপে এক চামচ চিনি এবং এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে সেই কাপের চা ভালোভাবে গরম পানিতে চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে পরিবেশন করতে পারেন।
তবে আপনারা চাইলে চিনি বাদে মধুর মিশিয়ে খেতে পারেন। আর আপনি চিনি এবং পানি একসাথে গরম করলেও পরবর্তী সময়ে চা কাপে ঢেলে নেওয়ার পর সেখানে এক চা চামচ হলুদ দিয়ে দিবেন। হলুদটা অবশ্যই পানি ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের কাপে ঢেলে নেওয়ার পরেই দিতে হবে দিয়ে নেড়েচেড়ে খেতে হবে। এভাবেই আপনি হলুদ চা তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন বাড়িতে। তবে হলুদ চা য়ে কোন চাপাতি ব্যবহার করবেন না।
দুধ চা
চা তো আমরা অনেক রকম ভাবে বিভিন্ন রকমের খেয়ে থাকি তবে দুধ চা যদি একটু অন্যরকম ভাবে বানিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এতে মনে হয় এর স্বাদ এবং ঘ্যান একটু অন্যরকম হয়ে থাকে। আমার দেখানো নিয়ম গুলো ফলো করে যদি আপনারা দুধ চা বাড়িতে তৈরি করেন তাহলে আশা করছি খেয়ে ভালো লাগবে।
দুধ চা তৈরি করার জন্য শুরুতেই আমরা কিছুটা পরিমাণ দুধ একটা পাত্রে জাল দিয়ে নিব। জাল দেয়ার সময় সেখানে দিয়ে দিব তেজপাত, এলার্চ এবং এক থেকে দুই টুকরো দার চিনি। আপনি যতটুকু দুধ চা তৈরি করবেন ঠিক ততটুকুই দুধ নেয়ার চেষ্টা করবেন পাত্রে আর সেই দুধ টুকু ৪ থেকে ৫ মিনিট ভালোভাবে জাল দিয়ে নিবেন।
দুধটা যত ভালোভাবে জাল দিয়ে দিবেন খেতে ততই স্বাদ হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে আমরা আরেকটি পাত্রে কিছুটা পরিমাণ চিনি এবং সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে জাল দিয়ে নিব এবং সেই চিনিটা ভালোভাবে নেড়েচেড়ে একটা ক্যারামেল তৈরি করব অর্থাৎ চীনের সুরা তৈরি করব।
তৈরি করা হয়ে গেলে সেখানে দিয়ে দিব আগে থেকে জ্বাল দেওয়া দুধ টুকু। দেওয়ার পর পরবর্তীতে আমরা আবার এক থেকে দুই মিনিট ভালোভাবে জাল দিয়ে নিব। পরবর্তীতে সামান্য পরিমাণ চাপাতি অ্যাড করবো। আমরা আবার পুনরায় এক মিনিট ভালোভাবে জাল দিয়ে নিব। জাল দেওয়া হয়ে গেলে দুধ চা পরিবেশন করব। ব্যস্ত তাহলেই রেডি।
লেখকের শেষ মন্তব্য
বিভিন্ন চা বানানোর রেসিপি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিত শেষ পর্যন্ত পড়ে আশা করছি আপনার ভালো লেগেছে আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত বন্ধুদের মাঝেও শেয়ার করে তাদেরও জানার সুযোগ করে দিন। এতে করে তারাও চা বানানোর বিভিন্ন রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারবে।
আরও পড়ুন : মসলা কত প্রকার হয় ও কি কি নাম
আপনি যদি নিত্য নতুন পোস্ট পড়তে ভালোবাসেন তাহলে স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারণ স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন বিভিন্ন কারাগারির পোস্ট আপডেট করা হয় থাকে। এছাড়াও যদি কোন আরো প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে নিচে মন্তব্য বক্সের মন্তব্য করে রাখুন আমি সঠিক সময়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিব। ধন্যবাদ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url