স্মার্টফোনের ভালো দিক এবং স্মার্টফোনের ক্ষতিকর দিক গুলো জানুন
বাংলাদেশে এখন প্রতিটি তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে সকলের হাতেই স্মার্টফোন দেখা যেয়ে থাকে তবে এই স্মার্ট ফোন চালানোর ভালো দিক গুলো কি এবং ক্ষতির দিক গুলো কি এছাড়াও স্মার্ট ফোন কিভাবে চালালে আমাদের ক্ষতি হবেনা এসব বিষয়ে আমরা কম বেশি কয় জনই জানি।
আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানা প্রয়োজন স্মার্টফোনের ভালো দিক এবং ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে। কারণ এই ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে যদি আপনি না জানেন তাহলে আপনি যে কোন মুহূর্তে স্মার্ট ফোনের জন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকবেন। তবে চলুন বিস্তারিত নিচের কিওয়ার্ড গুলোতে জেনে নেওয়া যাক স্মার্টফোনের ভালো এবং ক্ষতি দিক গুলো।
.
স্মার্ট ফোন সম্পর্কে কিছু বর্ণনা
স্মার্টফোন কমবেশি আমাদের প্রায় এখন সবারই প্রয়োজন হয়ে থাকে বর্তমানে ডিজিটাল যুগে বসবাস করার জন্য। এখন বর্তমান এই সময়টাতে প্রত্যেকের হাতেই স্মার্টফোন দেখা যেয়ে থাকে বড়লোক থেকে শুরু করে গরিবদের মাঝেও। এখন যেন স্মার্ট ফোন গরীব এবং বড়লোকের মাঝে কোনই ভেদাভেদ নেই কারণ এখন প্রতিটি হাতে হাতেই কম বেশি দামে স্মার্ট ফোন থেকে থাকে।
স্মার্টফোন আমাদের নানা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। স্মার্টফোনে প্রয়োজনীয়তা অনেক যা বলে হয়তো শেষ হবেনা তবে স্মার্টফোনের কিছু ক্ষতি ও দিকগুলো রয়েছে যেই দিকগুলো সম্পর্কে আমাদের জানা আবশ্যক। কারণ এই ক্ষতির দিকগুলো সম্পর্কেও যদি আমরা না জানি তাহলে আমরা স্মার্টফোন চালানোর ফলে ভালো ক্ষতি মধ্যে তফাৎ বুঝতে পারব না সেজন্য আমাদের ভালো এবং ক্ষতি দুটোই জানতে হবে। স্মার্টফোন যেকোনো সুবিধা এবং তথ্য পাওয়ার জন্য খুবই কার্যকরী কারণ আমরা যে কোন দেশ থেকে যে কোন প্রান্তের খবর পেতে পারি শুধুমাত্র হাতে একটি স্মার্ট ফোন থাকলে।
তবে আজকাল শুধু স্মার্টফোন না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আজকাল স্মার্ট টিভি গুলোতেও যেকোনো তথ্য ঘরে বসে থেকেই জানা যেয়ে থাকে। এছাড়াও স্মার্টফোনের সব থেকে বড় যে সুবিধা সেটি হচ্ছে স্মার্টফোন দিয়ে যে কোন প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ ও ভিডিও কলে কথা বলার যেয়ে থাকে। ইন্টারনেট সংযোগ করে যেকোনো আবহাওয়ার থেকে শুরু করে দিনের খবর জানতে smartphone আমাদের খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে।
স্মার্টফোনের ভালো দিকগুলো
আমরা হয়তো অনেকেই মনে করি স্মার্ট ফোন চালায় এতে কোন ক্ষতির কোন দিকই নেই এতে শুধু সবকিছু ভালো দিক রয়েছে তবে এই ধারণা যারা ভেবে থাকে তারা একেবারেই ভুল কারণ স্মার্ট ফোন চালানোর জন্যে যেমন ভাল হতে পারে ঠিক
তেমন ক্ষতিও হতে পারে তবে আমাদের ক্ষতি ভালো দুই সম্পর্কে জেনে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে। স্মার্ট ফোন চালানো সব থেকে যে সুবিধা গুলো হয় থাকে সেটি হচ্ছে ঘরে বসে থেকেই যে কোন খবর শোনা যেয়ে থাকে বিভিন্ন দেশ সহ বিভিন্ন প্রান্তে। এছাড়া স্মার্টফোনের মাধ্যমে প্রিয়জনদের সাথে কথা বলার জন্য খুবই কার্যকরী হয় থাকে।
কারণ অনেকেই আজকাল দূর প্রবাসেই বেশিরভাগ থেকে থাকে আর এই দূর প্রবাসে থেকে ভিডিও কল এ কথা বলার মাধ্যমে প্রিয়জনেরা একটুও মনে আশ্বাস পেয়ে থাকে। স্মার্ট ফোন চালানোর ফলে আমরা যেকোনো অজানা তথ্য সার্চ দিয়ে জেনে নিতে পারি। আপনার হাতে যদি একটি স্মার্ট ফোন থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আপনিও যেকোনো প্রান্তের লোকেশান গুগল ম্যাপ দিয়ে লোকেশন ট্রাগ করে যেতে পারবেন প্রিয়জন অথবা বন্ধুদের কাছে।
স্মার্টফোন মানুষকে বিনোদন এবং আনন্দ দেওয়ার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে কারণ আজকাল বেশিরভাগ মানুষজনের স্মার্ট ব্রাউজার এর ফলে বিভিন্ন বিনোদন জনক ভিডিও অথবা গান শুনে থাকে। স্মার্ট ফোন দিয়ে ইমেইল আদান-প্রদান থেকে শুরু করে ছবি তোলা যেয়ে থাকে কোন ফর্ম জমা দেওয়া, অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করা সহ সকল কিছুই করা যেয়ে থাকে। এই স্মার্ট ফোন প্রতিনিয়ত ব্যবহার করার ফলে যারা প্রতিটি মানুষের কাছেই একজন প্রিয়জনের মত হয়ে উঠেছে। স্মার্ট ফোন ছাড়া যেন এখন এক মুহূর্ত কেউ কল্পনা করতে পারে না।
স্মার্ট ফোন প্রতিটি মানুষের কাছে এমন ভাবে স্বপ্নের মত হানা দিয়েছে যে এখান থেকে অনেকে ইনকাম করার কথা ভেবে থাকে। স্মার্টফোনের মুভি দেখা থেকে শুরু করে গান শোনা ভিডিও কলে কথা বলা, বিভিন্ন তথ্য জানা, এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় টাকা পাঠানো সহ সকল কিছুই কমবেশি করা যেয়ে থাকে। এছাড়া স্মার্ট ফোন সব থেকে বেশি যে কাজে লেগে থাকে সেটি হচ্ছে সময় কাটানোর জন্য।
স্মার্টফোনের ক্ষতিকর দিক গুলো
অনেকেই স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে তাদের শরীরে যে ক্ষতি হয় থাকে এটি তারা নিজেরাও জানে না। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করলে শরীর স্বাস্থ্যের জন্য যে কোন ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন স্মার্টফোন ব্যবহার করলেও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত নিয়মের
অধিক পরিমাণ ব্যবহার করা কখনোই উচিত নয় কারণ স্মার্টফোন ভালো যেমন হয়ে থাকে প্রতিটি মানুষের জন্য ঠিক তেমনো ক্ষতিরও কারণ হয়ে থাকে যেটি মানবজাতিরা অনেকেই বুঝতে পারেনা। smartphone অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে শরীর স্বাস্থ্যের জন্য যে কোন ক্ষতির কারণগুলো হয়ে থাকে সেটি সম্পর্কে আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে কিন্তু এই কিওয়ার্ড টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কারণ এই কিওয়ার্ডে আমি বলতে যাচ্ছি স্মার্টফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো যে দিকগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেকেরই ও হয়ে থাকে এবং হয়েছে সেটি হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে স্মার্টফোনের ডিসপ্লের আলোটা চোখে যাওয়ার কারণে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায় দিন দিন চোখ দিয়ে ঝাপসা দেখা যায়। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে ঘুম ঠিকমত হয় না অনেকেই রয়েছে যারা রাত জেগেও স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে তাদের তো শরীর স্বাস্থ্যের জন্য আরো ক্ষতি হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করলে দিন দিন মানসিক রোগীর মত শরীর-স্বাস্থ্য হয়ে যায়। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করলে খাবারের রুচি কুমে যায়, শরীর স্বাস্থ্যে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব দেখা দায়, অল্প বয়সেই চোখ মুখ বসে যায়, চেহারা উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়, অতিরিক্ত গানের সাউন্ড দিয়ে শোনার কারণে কানের পর্দা নষ্ট হয়ে যায় সহ অনেক কিছু।
স্মার্টফোনের ধরন কি এবং ব্যাবহার
স্মার্ট ফোন এখন বাংলাদেশের অন্যতম রয়েছে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। স্মার্ট ফোন এখন কম বেশি সবার হাতেই দেখা যেয়ে থাকে এই স্মার্ট ফোন দিয়ে অনেকেই সুবিধা ভোগ করছে এবং অনেকে আবার অসুবিধা ভোগ করছে। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে অনেকে চোখের জ্যোতি হারাচ্ছে আবার অনেকে স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন দেশ প্রান্তের খবর জানতে পারছে ঘরে বসে থেকেই।
আরও পড়ুন : ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
স্মার্টফোন সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন কোনোটা মডেল বেশি কোনটার মডেল কম কোনটার নাম শাওমি, realme, রেডমি, ভিভো, অপো, samsung, iphone, অ্যান্ড্রয়েড সহ বিভিন্ন নাম। স্মার্টফোন এখন যেমন প্রতিটি মানুষের কাছে একজন প্রিয়জন হয়ে উঠেছে ঠিক তেমনি স্মার্ট ফোন প্রতিটি মানুষের শরীরের সাথেও ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে দিন দিন। আমরা যদি স্মার্টফোন ব্যবহার বিধি সঠিকভাবে না করি তাহলে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন মাথাব্যথা ঘুম ঠিকমতো না হওয়া, ওজন কমে যাওয়া,
সব সময় মন মেজাজ গরম হয়ে থাকা, অল্পতেই কোন কাজের প্রতি রেগে যাওয়া, ঠিকমতো খাবার না খাওয়া সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি। আমরা যদি নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিকমত যত্ন না নেই তাহলে দিন দিন প্রতিটি রোগী ক্যান্সার ও পরিণত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখা উচিত স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলেও স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার নিয়ম মেনে বাবার করা উচিত।
স্মার্টফোন ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে
স্মার্টফোন ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হয়ে থাকেন নিজেদের অজান্তেই সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কম বেশি অনেকেই জানিনা। আপনারা কি জানেন স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে আপনার ঘরে থাকা শিশুটিরও ক্ষতি হয়ে থাকে।
হয়তো এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতেই পারে আপনার শিশুর কেন ক্ষতি হতে পারে। আপনারা যদি একটু ভেবে দেখেন তাহলে নিজেরাই বুঝতে পারবেন আমাদেরই অলসতা এবং বাচ্চাকে সময় না দেওয়ার কারণে তারাও স্মার্টফোনের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়ছে তারাও বিভিন্ন ভিডিও দেখা, গেম খেলা, গান শোনা,
খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেওয়া, স্মার্ট ফোন নিয়ে পড়ে থাকা সহ সকল কিছু স্মার্টফোনকে নিয়েই তারাও সময় কাঠাচ্ছে। তবে এই সময় কাটানোর ফলে তাদের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে তারা দিন দিন পড়াশোনার প্রতি মন না দিয়ে স্মার্টফোনের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়ছে। আর এই স্মার্ট ফোনে ঝাপিয়ে পড়ার কারণেই তাদের প্রতিনিয়ত পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ হয় না এবং পড়াশোনা করতে তাদের ভালো লাগে না।
সে ক্ষেত্রে প্রতিটি মা-বাবার দায়িত্ব সন্তানকে সময় দেওয়া এবং স্মার্টফোন ব্যবহার করা থেকে দূরে রাখা কারণ আপনি যদি স্মার্টফোন দিয়েও অন্য কাজ করেন তাহলে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ আপনি নিজেই নষ্ট করছেন। আপনি যখনই কোন কাজ বা কোন সময় বাচ্চা কে কোলে না নিয়ে তাকে স্মার্টফোন দিয়ে সময় কাটানোর নেশা করে তুলবে তখন এটি আপনার বাচ্চার চোখের ক্ষতি থেকে শুরু করে মানসিক ক্ষতি করতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি স্মার্টফোনের ভালো দিক এবং ক্ষতির দিক সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে আজকে থেকেই চেষ্টা করবেন স্মার্টফোনটি কম ব্যবহার করার। আর যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করনেরও তাহলে ডিসপ্লের আলো কম দিয়ে ব্যবহার করার এতে করে আপনার চোখের জ্যোতি একটু হলেও ভালো থাকবেন। আরো চেষ্টা করবেন আপনার শিশুকেই স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার।
আজকে আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে পরিচিত বন্ধুদের মাঝেও শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিবেন। এছাড়াও আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে নিচে মন্তব্য বক্সে জানাতে পারেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url