মার্কেটিং কত প্রকার? কনটেন্ট মার্কেটিং কি? কনটেন্ট মার্কেটিং এর স্ট্র্যাটেজি গুলো
প্রিয় বন্ধুরা' আপনারা যদি কন্টেন্ট মার্কেটিং এর স্ট্র্যাজি গুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন এবং বিভিন্ন আর্টিকেলে খুঁজেও সঠিক তথ্যটি এখনো না পেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন শেষ পর্যন্ত।
কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানাবো মার্কেটিং কত প্রকার কনটেন্ট মার্কেটিং কি কন্টেন্ট মার্কেটিং এর স্ট্র্যাজি গুলো সহ বিস্তারিত। যারা কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে এখনো তেমন কিছু জানেন না তারাও কিন্তু এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে দেখতে পারেন আশা করছি এতে উপকৃতই হবেন। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে নিচের কিওয়সর্ড গুলো ফলো করে কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে সকল কিছু জেনে নেওয়া যাক।
.
মার্কেটিং কত প্রকার
প্রিয় গ্রাহক বন্ধুরা আমরা ব্যবসার সেল বাড়ানো থেকে শুরু করে ব্যবসাকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে মার্কেটিং করে থাকি। তবে এই মার্কেটিং কত প্রকার এই নিয়ে আমরা অনেকেই প্রশ্নের মধ্যে বা মনে অনেক কিছু ভেবে থাকি। মার্কেটিং মূলত অনেক প্রকার বা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তার মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় যে পাঁচটি মার্কেটিং বেশিরভাগ মানুষ যদি করে নিয়ে থাকে সেটি হচ্ছে
ডিজিটাল মার্কেটিং, টার্গেট মার্কেটিং, গেরিলা মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, অ্যাফিলেট মার্কেটিং ইত্যাদি। তবে এই পাঁচটি মার্কেটিং এর নাম বললাম বলেই ভেবে নিবেন না যে এই মার্কেটিং পাঁচ প্রকার সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে মার্কেটিং অনেক প্রকার হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এটি কখনোই নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না মার্কেটিং কত প্রকার।
কনটেন্ট মার্কেটিং কি
কনটেন্ট মার্কেটিং কি এ সম্পর্কে আমরা বেশিরভাগ লোকজনই জানিনা মনে করে কনটেন্ট মার্কেটিং শব্দটি হয়তো অনেক কঠিন কথা। কনটেন্ট মার্কেটিং বলতে আমরা সাধারণত কোন লেখালেখি কেই বুঝে থাকি। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে বর্তমান আপনি যে আর্টিকেলটি পড়েছেন এটিও কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা যায়। কারণ এই আর্টিকেলেও মূলত বিভিন্ন টিপস নিয়ে লেখালেখি করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে এটিও কন্টেন মার্কেটিং।
সেক্ষেত্রে এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কন্টেন মার্কেটিং কি। আমরা যখন কোন লেখালেখি করে সেই লেখাটা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে কোন মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে প্রচার করে থাকি তখনই কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে বা তখন এই কন্টেন্ট মার্কেটিং বলে। যেমন এই আর্টিকেলটি আমি এখন লিখছি কিছুক্ষণ পর এটিও
সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবলিশ করব সেক্ষেত্রে আমার এই আর্টিকেলটিও প্রচার করা হয়ে থাকবে আরে প্রচার হলে কন্টেন্ট মার্কেটিং হয়ে থাকে। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকে তাদেরই কিন্তু এই কন্টেন্ট মার্কেটিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে কারণ মার্কেটিং এ নানা ধরনের লেখালেখি প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিশ্বের যে সকল মার্কেটিংয়ের সাথে কনটেন্ট মার্কেটিং বা
লেখালেখি সংযোগ রয়েছে সেই গুলো কে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান অস্ত্র হিসেবে বলা হয়ে থাকে। তবে কনটেন্ট মার্কেটিং করলেও কনটেন্ট মার্কেটিং এর মধ্যে বেশ কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যেমন আপনি কোন বিষয়ের লিখবেন কাদেরকে টার্গেট করে লিখবেন আপনার লেখা গুলো কাদের কাজে ব্যবহৃত হবে মূলত এর উপরে কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের ধরন পরিবর্তন হয়ে থাকে।
সব থেকে মূল্যবান যে বিষয়টি কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে সেটি হচ্ছে আপনি যে লেখাটা লিখছেন সেই লেখাটা কোথায় ব্যবহার করা হবে মূলত এর উপরেই নির্ভর করে। মূলত কনটেন্ট মার্কেটিং এর মৌলিক বিষয় গুলোকে চারভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন
- ভিডিও কনটেন্ট
- ইনফোগ্রাফিক কনটেন্ট
- অডিও কনটেন্ট
- টেক্সট কনটেন্ট
কনটেন্ট মার্কেটিং এর স্ট্র্যাটেজি গুলো
কন্টেন মার্কেটিং যেটি লেখালেখির মধ্যে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে মূলত এটিকে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয় এ বিষয়ে আমরা উপরে জেনে এসেছি। তবে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর বেশ কিছু স্ট্র্যাটেজি রয়েছে যেই স্ট্র্যাটেজি গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই প্রয়োজনীয় তবে চলন বিস্তারিত কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক কন্টেন মার্কেটিং এর স্ট্র্যাটেজি গুলো
কন্টেন্টের সাথে মিল রেখে কনটেন্ট অনুযায়ী সুন্দর সুন্দর ইমেজ তৈরি করা
আপনি যখনই কন্টেন্ট মার্কেটিং করবেন তখন অবশ্যই কন্টেনের সাথে মিল রেখে অথবা সকল বিষয় বস্তুর সাথে মিল রেখে ইমেজ তৈরি করে কন্টেনের মধ্যে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার ক্রেতারা বুঝতে পারবে যে আপনি কন্টেনের মধ্যে কি বুঝাতে চেয়েছেন বা কি উল্লেখ করতে চেয়েছেন।
তাহলেই তারা কনটেন্টটি পড়তে বেশি আগ্রহ হয়ে থাকবে। আমরা কম বেশি অনেকেই রয়েছি যারা কনটেন্ট কষ্ট করে লিখি ঠিক কিন্তু কন্টেন্ট মধ্যে ইমেজ ব্যবহার করিনা বা ইমেজ ব্যবহার করলে কন্টেনের সাথে মিল থাকেনা। যার কারণে অনেকেই কনটেন্ট পড়তে এসেও কন্টেনের মধ্যে থাকা ইমেজ দেখে বের হয়ে যায়।
কারন আপনি যদি সেখানে আম সম্পর্কে লিখেন আর ইমেজটা যদি জাম সম্পর্কে দেন তাহলে অবশ্যই কন্টেনের লেখা এবং ইমেজের মধ্যে পার্থক্য থাকবে। সেক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিষয় গুলো কন্টেনের মধ্যে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন এতে করেই একটি সুন্দর একটি কন্টেন্ট আপনার ক্রেতাদের উপহার দিতে পারবেন।
তবে আপনি চাইলে ফ্রি এআই ইমেজ জেনেটার এই সফটওয়্যারটি থেকেই সুন্দর সুন্দর ইমেজ তৈরি করে সেই ইমেজ গুলো সুন্দর ভাবে এডিট মডিফাই করে আপনার কন্টেনের মধ্যে পাবলিশ করতে পারেন এতে করে কন্টেনের সৌন্দর্যটাও বেড়ে যাবে।
কনটেন্ট এসইও ফ্রেন্ডলি করা
কনটেন্ট লেখা শেষে সকল বিষয়বস্তু চেক করার পর আপনি দেখবেন আপনার যে কন্টেন্টটি লিখেছেন সে কনটেন্টটি এসইও ফ্রেন্ডলি কিনা। কারন আপনার কন্টেন্টা যদি এসইও ফ্রেন্ডলি করা না হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু সে কন্টেন্ট টা কখন হয় কেমন পচারণা হবে না এবং ক্রেএারা পড়ে কন্টেনের মধ্যে মূল কথা গুলো বুঝতে পারবে না।
কারণ মানুষজন যখনই গুগলে কোন কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ করে থাকে তখন যদি আপনার কনটেন্ট টি এসই ফেললি করা না হয়ে থাকে তাহলে সে কনটেন্টটি google দেখাতে ইচ্ছুক হবে না সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কনটেন্টটি এসইও ফ্রেন্ডলি করে নিবেন। আপনি যদি কষ্ট করে কনটেন্ট লেখেন আর সেই কনটেন্ট টি কেউই খুঁজে না পাই বা কেউই যদি না
করে তাহলে সে কন্টেন্টটি লেখা আপনার বেকার হয়ে থাকবে। সেক্ষেত্রে কনটেন্ট লিখলেও কনটেন্ট এর মধ্যে খুঁটিনাটি সকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন এতে করেই আপনার কনটেন্টটি সকলের সামনে নিয়ে যেতে পারবেন। কন্টেন্ট এসইও ফেডন্লি কিভাবে করবেন এ বিষয়ে যদি না জেনে থাকেন তাহলে গুগলেও সার্চ দিয়ে জেনে নিতে পারেন বা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে জেনে নিতে পারেন।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করা
কন্টেন্ট মার্কেটিং এর স্ট্র্যাজি এর মধ্যে সব থেকে মূল্যবান এবং সব থেকে জনপ্রিয় কথাটিই হলো কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করা। আপনি যদি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরির না করে নিজের ইচ্ছে মৃত যে কোন জিনিস নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে কিন্তু আপনার কনটেন্ট টা কখনোই ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাবে না এবং তাদের মনোরঞ্জন করতে পারবেন না।
আপনি যখন নিয়মিত কন্টাক্ট লেখার কথা ভাবে তখন অবশ্যই ক্রেতাদের মনোভাব বোঝার চেষ্টাও করবেন তারা কোন বিষয়ে কনটেন্ট খুঁজছে বা তারা কোন বিষয় গুলো জানতে চাইছে কোন বিষয় কনটেন্ট লিখলে তাদের মনোরঞ্জন করা যাবে এই বিষয় গুলোর উপরে লক্ষ্য রাখবেন। যেহেতু আমরা কনটেন্ট তৈরি করে থাকি ক্রেতাদের জন্যেই সেক্ষেত্রে আমাদের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করা উচিত।
নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করা
আমরা কমবেশি অনেকেই রয়েছি যারা কষ্ট করে কনটেন্ট আপলোড করি ঠিক কিন্তু সে কনটেন্ট গুলো নিয়মিত আপলোড করেন না দেখা যেয়ে থাকে দুই দিন তিন দিন চার দিন অথবা এক সপ্তাহ পরপর একটি দুটি করে কনটেন্ট আপলোড করি। যার ফলে গুগল মনে করে আপনি নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করেন না। আর যার ফলে পরবর্তীতে দুই এক দিন পর কনটেন্ট লিখল সেই কনটেন্ট টা রাঙ্কে যায় না এবং দর্শকদের চোখে পড়ে না।
আপনি চোখের কনটেন্ট লেখার কথা ভাববেন তখন অবশ্যই নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করার চেষ্টা করবেন এতে করেই দ্রুত দর্শকদের মনোরঞ্জন করে নিতে পারবেন এবং সফলতার দুয়ারে পৌঁছাতে পারবে। কনটেন্ট লেখার সময় একটি কথা মনে রাখবেন কন্টেনের মধ্যে আপনি যত সহজ সরল ভাষায় আপনার দর্শকদের বুঝাতে চাইবেন ততই কিন্তু তারা পড়তে আগ্রহ হয়ে থাকবে। কন্টেনের মধ্যে এমন কোন কঠিন রকমের কথা বলবেন না যেটি তারা বুঝতেই পারবে না এবং যার কারণে আপনার কন্টেন্ট থেকে বের হয়ে যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা' মার্কেটিং কত প্রকার? কনটেন্ট মার্কেটিং কি? কনটেন্ট মার্কেটিং এর স্ট্র্যাজি গুলো সহ বিস্তারিত পড়ে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত জেনে আশা করছি কন্টেন মার্কেটিং এর সকল বিষয় বস্তু ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং এই আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হয়েছেন। আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিত শেষ পর্যন্ত পড়ে এবং জেনে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত বন্ধু এবং
আরও পড়ুন : এফিলেট মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করব কত প্রকার
প্রিয়জনদের মাঝে এই কথাগুলো জানার সুযোগ করে দিবেন এতে করে তারাও মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়বস্তু জানবে। আপনি যদি নিত্য নতুন পোস্ট পড়তে ভালোবাসেন তাহলে স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে যাবেন কারণ স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোস্ট আপডেট করা হয়। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্য এবং আমার পাশে থাকার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url