মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার সহ সুবিধা অসুবিধা
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি জানেন মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার সম্পর্কে। বর্তমানে এই যুগে আমরা তো কম বেশি সবাই ফোন ব্যবহার করে থাকি তবে সাধারণ ফোন এবং স্মার্টফোনের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য তাছাড়াও শুধু পার্থক্যই নয়,
মোবাইল ফোনে যেমন বিভিন্ন সেবা পাওয়ার কাজে ব্যবহৃত বেশি হয় ঠিক তেমনই এই মোবাইল ফোন কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাবহার করলে সেটি অপব্যবহার হয়ে থাকবে। আপনি যদি মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার সহ সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে আর্টিকেল টি পড়তে চান তাহলে কিন্তু মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তবে আপনি মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে এবং বুঝতে পারবেন।
.
মোবাইল ফোনের কিছু ভালো দিক
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে কমবেশি মোবাইলের সাথে আমরা সবাই পরিচিত এবং দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হয়ে থাকছে হাতে থাকা এই স্মার্ট ফোন বা মোবাইল। তবে এই মোবাইল বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষজনের চেয়ে ছাত্রছাত্রীরাই বেশি ব্যবহার করে থাকছে। কারণ তারা ঘরে বসে থেকে বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করছে এছাড়াও তাদের পিডিএফ ডাউনলোড করে থাকতে প্লে স্টোর থেকে এবং সেই শিক্ষামূলক অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করে থাকে।
বর্তমানে এই সময়ে শিক্ষার্থীরা অনেক রকমের অনলাইনে ক্লাস করে থাকে এবং ঘরে বসে থেকে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকছে তবে শুধু পড়ার ক্ষেত্রেই নয় তারা মোবাইল ফোন দিয়ে ঘরে বসে থেকেই পড়ার যেকোনো রুটিন সম্পর্কে জানতে পারছে এছাড়াও ডাক্তারের সুবিধা নিতে পারছে ঘরে বসে থেকেই। মোবাইল সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথেই মিশে গেছে বলা যেতে পারে।
যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে আব্রস্ত তারা কিন্তু এখন কখনোই পারবে না স্মার্টফোন ছাড়া আগের টেলিফোন গুলো ব্যবহার করতে। কারণ সমস্যা একটাতেই এটা মূলত দৈনন্দিন জীবনের সাথেই মিশে গেছে আমাদের যেটি আমরা মানি আর না মানি। তবে এই মোবাইল আসার কারণে আমাদের কথা বলা থেকে শুরু করে প্রবাসী ভাইদের ভিডিও করে দেখে মনে একটু শান্তি মেলার সুযোগ হয়েছে।
আরও পড়ুন : মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
তবে শুধু সুজুকি নয় ঘরে বসে থেকে এই যে কোন প্রান্তের খবর পাওয়া যে থাকে আপনার ফোনে যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে। ঘরে বসে থেকে হাতে থাকা ফোন দিয়ে বিভিন্ন প্রান্তের দৃশ্য এবং সুন্দর সুন্দর কমেডি সাথে নিজেকে উপভোগ করে তোলা যায়। কিছু যুগ আগে শোনা যেত আগের মানুষ কথা বলতে হলে নাকি চিঠির মাধ্যমে সেগুলো লিখে দিত কিন্তু বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আসার কারণে
এখন আর লিখতে হয় না চিঠি বরং মোবাইল ফোন দেই যে কোন সময় যেকোনো প্রান্তে থেকে কথা বলা যায়। তবে এই মোবাইল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেমন ভাল দিক এনেছে ঠিক তেমনি ক্ষতির দিকও এনেছে এই মোবাইল ফোনের কারণেই কিছু অপব্যবহার হয়ে থাকে যেটি অনেক ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা নষ্ট করে। তবে মোবাইল ফোনের কারণেই কেন অপব্যবহার হয়ে থাকে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার নষ্টের কারণ এ বিষয়ে জানতে হলে অবশ্যই নিচের ফলো করতে হবে আপনাকে।
মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আজকাল কুম বেশি আমরা সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি তবে আপনি কি জানেন মোবাইল ফোনের অপব্যবহার গুলো সম্পর্কে। যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি তাদের কিন্তু এই অপব্যবহার গুলো সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে এবং এটা জানা খুবই প্রয়োজনীয়।
কারণ আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন আর মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে জানেন না তাহলে বিষয়টি হয়তো অন্যরকম হয় দাঁড়াবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার আগে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে খাবারের রুচি কমে যায় এবং মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দেয়।
বিশেষ করে এই সমস্যাটি কিন্তু আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা দিয়ে থাকে মানে ৫ থেকে ১৬ বছর ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে। কারণ আজকাল বেশিরভাগ মায়েরাই বিভিন্ন কাজের চাপের জন্য শিশুকে সময় দেই না আগের মায়েরা যেমন প্রতিটি শিশুকে সময় দিত। খন বর্তমানে এই সময়ে মায়েরা বিভিন্ন কাজের ফাঁকে তার সন্তানকে হাতে থাকা ফোনটি খেলতে দিচ্ছে
অথবা বিভিন্ন মুভি দিয়ে বসে রাখছে আর যার কারণে শিশু ছোট থেকেই ওই অভ্যাসটি গড়ে উঠেছে পরবর্তীতে মোবাইল ছাড়া তারাও কিছু বুঝছেন এবং মোবাইল ফোন এক ভাবে দেখার কারণেই যে চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনার শিশু অথবা সন্তানের হাতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন যাতে করে তারাও
মোবাইল ফোনের এই হাতে নেওয়ার অভ্যাসটি না হয়ে ওঠে। আজকাল অনেক সন্তানই রয়েছে যারা মোবাইল ছাড়া কিছু বোঝেনা বরং মোবাইল দিলেই তারা খুশি হয়ে থাকে পড়া লেখার চেয়েও। একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন আপনার শিশু কি আপনি যা শিখাবেন ছোট থেকে সে সেই শিক্ষাই বড় হবে।
মোবাইল ফোন ছাত্র জীবনে কেনো নষ্টের মূল
মোবাইল ফোন প্রতিটি মানুষের চেয়ে এখন ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি প্রয়োজন হয় থাকে এবং সাধারন মানুষজনের চেয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতেই বিশেষ করে দেখা যেয়ে থাকে মোবাইল ফোন। তবে এই মোবাইল ফোনের যেমন ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ক্ষতির অধিক রয়েছে এই মোবাইল ফোন যদি ছাত্র জীবনে অতিরিক্ত বাবার করে থাকেন তাহলে হতে পারে আপনার লাইফের নষ্টের কিছু অংশ।
যদিও আমরা জানি মোবাইল ফোন ছাত্র জীবনে অনেক প্রয়োজনীয় একটি অস্ত্র হিসাবে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে কারণ মোবাইল ফোন থেকে ই-বুক নামক এই এপ্লিকেশনটির সাহায্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকা যায় বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করা যায় বিভিন্ন তথ্য সার্চ দিয়ে জানা যায়, যেকোনো সমস্যায় পড়ে থাকলে গুগলে সার্চ দিয়ে এর সমাধান পাওয়া যায়, অসুখে পড়ে থাকলেও অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই ক্লাস করা যায়,
বিভিন্ন ইমেইল আদান-প্রদান করা যায়, ছবি পাঠানো যায় ইত্যাদি শুরু থেকে শুরু করে যে কোন কাজে কম বেশি মোবাইল ব্যবহার করা হয় থাকে। তবে এ মোবাইল যদি এত কাজে ব্যবহার করা হয় থাকে তাহলে মোবাইল ফোন ছাত্র জীবনের নষ্টের মূল কেনো? বিষয়টি হয়তো সবারই প্রশ্নের মতো হয়ে রয়েছে তবে মোবাইল কেন ছাত্র জীবনের নষ্টের মূল এই কথাটি অবশ্যই জানাবো তবে ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন।
মোবাইল ফোন যে যেকোনো কাজেই ব্যবহার করতে হবে বিষয়টি কিন্তু কখনোই বাধ্যতামূলক নয় কারণ আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন কি করবেন না এই বিষয়টি সম্পূর্ণ নিজের উপরই নির্ভর করে তাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই কিছু দিক সম্পর্কে জেনে নিন যাতে করে ছাত্রজীবনে আপনার নষ্টের কারণ হয়ে থাকে মোবাইল ফোন।
আমাদের সমাজে যদি একটু লক্ষ্য করে দেখি তাহলে কম বেশি সবারই দেখব চোখের সমস্যা হয়েছে আর এই চোখের সমস্যা সাধারণ কারণে হয়ে থাকে না মূলত স্মার্টফোনের ডিসপ্লের আলোটা চোখে যে চোখের জুটিটা নষ্ট করে ফেলে আর যার কারণে চোখের সমস্যা হয়ে থাকে যেটি আমরা অনেকেই লক্ষ্য করি না এবং সমস্যা হওয়ার পর সেই কারণ কি বুঝতে পারি।
তাই আপনি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করার আগেই সতর্কতা না অবলম্বন করেন তাহলে আপনার চোখের জ্যোতিটা যে কোন সময়ে নষ্ট হতে পারে মোবাইল ফোন অবশ্যই ব্যবহার করবেন তবে ডিসপ্লের আলো টা অবশ্যই স্লো কম দিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার চোখের জ্যোতি ভালো থাকবেন।
তবে শুধু চোখের জ্যোতি নয় অতিরিক্ত পরিমাণ ডিসপ্লের আলো চোখে গেলে ভালো মতো ঘুম হয় না, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে, অল্পতেই মেজাজ খারাপ হয়, হঠাৎ করেই চোখে ঝাপসা দেখা, মস্তিষ্কের সমস্যা, ভুলে যাওয়ার সমস্যা, হঠাৎ করেই চোখ দিয়ে পানি এ অঝরে চোখ দিয়ে পানি পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সহ এ সকল সমস্যা বাটি তো আরো যেকোনো সমস্যা যেকোনো কারণ ছাড়াই দেখা দিতে পারে
যদি আপনি মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের আলোটা অতিরিক্ত ব্যবহার করেন বা একভাবে ১ থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত মোবাইল চালান। এক কথায় বলতে গেলে বলবো চোখ লেগে দিয়ে যদি একটানা ফোন ব্যবহার করেন তাহলেই চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই বিষয় গুলোর লক্ষ্য রাখুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করুন।
বর্তমান যুগে মোবাইল ফোনের আটটি ব্যবহার
মোবাইল ফোন আমরা ব্যাবহার করলেও কি আমরা জানি মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয় কিছু ব্যাবহার সম্পর্কে যে বাবার গুলো আমাদের কাজের লেগে থাকে। মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিশে গেছে ঠিক তেমনি কিন্তু মোবাইল ফোন আমাদের বেশ কিছু কাজও উপকার হয়ে এসেছে। তবে চলুন বিস্তারিত জেনে নিই মোবাইল ফোনের আটটি ব্যবহার যেটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে এসেছে।
ইনকাম: বর্তমানে এই ডিজিটাল সময়ে কিন্তু আজকাল কেউ আর বসে নেই খুব বেশি সবাই অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করে থাকছে। তবে এই অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম বলতেই ফোন দিয়ে ইনকাম কারণ অনলাইন জগতে আজকাল অনেক গুলো সাইট রয়েছে
যেই সাইট গুলো কাজে লেগেই হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে অনেকেই ইনকাম করে থাকছে। তবে শুধু মোবাইল ফোন দিয়ে নেই মোবাইল ফোনের সাথে আরও বিভিন্ন প্রযুক্তি কাজে লেগেই কিন্তু সবাই আয় করে থাকছে বর্তমান সময়ে আর কেউই বেকারত্ব জীবন কাটাচ্ছে না। মোবাইল ফোনে কিন্তু সবার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি।
ছবি তোলা: আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা আনন্দ উপভোগ করে থাকি আর সেই আনন্দের পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন স্মৃতি হিসেবে ছবি তোলার মাধ্যমে আছে রেখে দিতে চাই। আরে স্মৃতি হিসেবে একড়ে ধরা এবং স্মৃতি হিসেবে ছবি তোলার জন্যই কিন্তু হাতে থাকা মোবাইল ফোন খুবই কার্যকরী
কারণ হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই আজকাল অনেকেই ছবি তুলছে যার ফলে অনেকেই কম দামি ফোনের চেয়ে বেশি দামি ফোন গুলো ব্যবহার করে থাকছে। প্রযুক্তির ছোঁয়া প্রতিটি মানুষের কাছে এমন ভাবেই মিশে গিয়েছে যে তারা নিজেরাও এখনো জানেনা কিভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিশছে এই মোবাইল ফোন।
ভিডিও বানানো: আমরা হয়তো আজকাল অনলাইনে অনেককেই দেখে থাকি বিভিন্ন ব্লগ ভিডিও থেকে শুরু করে যে কোন ফানি ভিডিও বানিয়ে অর্থ উপার্জন করে থাকছে ঘরে বসে থেকে। তবে তারা ফানি ভিডিও অথবা ব্লগ ভিডিও বানিয়ে কিন্তু মানুষজনকে আবার বিনোদন দিয়ে থাকছে এ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। তারা যেমন আয় করে থাকছে ঠিক এর পাশাপাশি মানুষজন মোবাইল ফোন থাকার কারণে আনন্দ উপভোগ করে থাকছে ভিডিও গুলো দেখার মাধ্যমে।
গান শোনা: আগের যদি শোনা যেত আগের যুগের মানুষেরা নাকি অডিওতে ক্যাসেট ধরে গান নিয়ে আসতো আর সেই গান গুলো অডিওতে শুনতো অথবা সিডি তে শুনতো। কিন্তু এই অডিও অথবা সিডিউকে টেক্কা দিয়ে মোবাইল ফোন যে এমন ভাবে প্রতিটি মানুষের কাছে এসে দাঁড় হবে এটি কেউ কখনোই কোনদিন কল্পনা করতে পারেনি। কারণ শুধুমাত্র হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই যেকোনো কষ্টের গান আবেগি গান অথবা রোমান্টিক গান থেকে শুরু করে যেকোনো গান ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে শুনে থাকছে।
ভিডিও দেখা: আমরা হয়তো শুরুতেই জেনেছি ভিডিও বানিয়ে আয় করে থাকে তবে এই ভিডিও বানিয়ে যারা আয় করছে তারাই কিন্তু ভিডিও গুলো পাবলিশ করছে বলেই আমরা দেখছি এবং আমাদের নিজের অতিবাহিত সময় গুলো পার করছি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
ভিডিও কলে কথা বলা: আপনার যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এতদূর পর্যন্ত আসেন তাহলে নিশ্চয়ই উপরের কিওয়ার্ড গুলো পড়ে ভিডিও কলে কথা বলা এই বিষয়টিও জেনেছেন। আজকাল আমাদের আপনজন অথবা আত্মীয়-স্বজন অনেকেই প্রবাসে রয়েছে আরে প্রবাসে থাকার কারণে আমরা তাদের দেখতে পাই না কিন্তু এ মোবাইল ফোন আসার কারণে এবং ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে আমরা যেকোন প্রান্ত থেকে বসেই আত্মীয়-স্বজনদের ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখতে পাই।
ইমেইল আদান-প্রদান করা: বর্তমানে সময়ে ইমেইলে তথ্য আদান-প্রদান করলেই সেভ থাকা যায় এটি অনেকের মনে করে থাকে আর যার কারণে কম বেশি সবাই ইমেইলের মাধ্যমেই যেকোন তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে বিশেষ করে যারা প্রয়োজনে কিছু তথ্য আদান প্রদান করবে বলে ভাবে।
আগে ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য যেতে হতো বিভিন্ন দোকানে কিন্তু বর্তমানেই সময়ে মোবাইল ফোন আসার কারণেই যেতে হয় না আর কণের দোকানে বাড়িতে বসে থেকে অথবা যে কোন প্রান্তে বসে থেকেই ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
যেকোনো সেবা পাওয়া: বর্তমানে সময়ে মোবাইল ফোন আসার কারণেই অনেক রকমের অনেক সেবা পাওয়া যায় যা যেমন ঘরে বসে থেকে গান শোনা যায়, মুভি দেখা যায়, গেমস খেলে সময় পার করা যায়, অডিও কলে প্রিয়জনদের সাথে যত ইচ্ছে কথা বলা যায়, ঘরে বসেই বিভিন্ন তথ্য জানা যায়, প্রতিদিন আবহাওয়ার খবর জানা যায়, পরীক্ষার রেজাল্ট দেখা যায় ইত্যাদি।
মোবাইল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু কথা
প্রিয় বন্ধুরা মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে উপরে আমরা বিস্তারিত অনেক কিছুই জেনেছি এছাড়াও আরো জেনেছি মোবাইল ফোনে কেন ছাত্র জীবনের নষ্টের কারণ হতে পারে। কারণ ছাত্র জীবনে যদিও আমাদের মোবাইলটা খুবই প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে এই মোবাইল প্রয়োজন হলেও মোবাইল এক ভাবে কখনোই বাবার করা উচিত নয়।
আপনি মোবাইল ফোন অবশ্যই ব্যবহার করবেন তবে আধাঘন্টা চালান আবার আধাঘন্টা পর বন্ধ করুন এভাবে করে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আশা করছি আপনার চোখের সমস্যা কেন কোন সমস্যাই হবে না। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে যে কোন প্রয়োজন কোন কথা জানলেও সে কথাগুলো অবহেলা করে ফেলি আর এই অবহেলা করার কারণে পরবর্তীতে আমাদের পড়তে হয়
বিভিন্ন সমস্যায় আর যখন আমরা সমস্যাই পড়ি ঠিক তখনই এই সতর্কতামূলক কথাগুলো মনে পড়ে যায়। তখন হয়তো আমাদের মনে হয়ে থাকে আমরা যদি আগে থেকেই একটু সতর্ক হতাম তাহলে হয়তো আমাদের এই সমস্যায় আর করতে হতো না কারণ একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন আপনার যে সমস্যাই হোক না কেন সেই সমস্যাটি হবে সারা জীবনের মতো
এবং সেটি আপনার কে বহন করতে হবে সে সমস্যার নিয়ে। তাই যেকোনো সমস্যা হওয়ার আগেই নিজেই সতর্ক হোন এবং অন্যকে সতর্ক করে দিন যাতে করে তারাও এই সতর্ক গুলো অবলম্বন করতে পারে। এছাড়াও বিশেষ করে যে সকল মায়েরা তাদের বিভিন্ন কাজের ফাঁকে তার সন্তানকে
মোবাইল ফোন দিয়ে রাখেন খেলা করার জন্য তারা এই কাজটি থেকে একেবারেই বিরত থাকুন কারণ আপনি যে মোবাইল ফোনটি দিয়ে আপনার শিশুকে অভ্যাস করে তুলছেন সেটি আপনার শিশু বড় হলেও ঐ অভ্যাসে আভ্যস্ত হয়ে থাকবে আর যার কারণে পড়তে হবে বিভিন্ন সমস্যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বিন্দুরা মোবাইল ফোনের বাবার ও অপব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত জেনে এবং পরে আশা করছি আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং এই আর্টিকেল এর মধ্যে যতগুলো কথা বলা হয়েছে সে কথাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং সেই কথাগুলো মানার চেষ্টা করবেন। কারণ মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই প্রয়োজনীয় একটি বস্তু ঠিক তেমনি এই মোবাইল ফোনই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপ্রয়োজনীয় একটি বস্তু।
আরও পড়ুন : ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট
আপনি যদি হিসাব করে মোবাইল ফোন বাবার না করেন তাহলে আপনার শরীর স্বাস্থ্যের যে কোন সমস্যাই দেখা দিতে পারে যেটি হয়তো আপনি ভাবতেও পারবেন না। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও অবশ্যই মোবাইল ফোন সতর্কতা অবলম্বন করে বাবার করার চেষ্টা করবেন তাহলে আশা করছি শরীর স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারবেন। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url