কোন ওয়াইফাই এর কানেকশন সবচেয়ে বেশি ভালো
বর্তমানে সময়ে ওয়াইফাই এর খুবই প্রয়োজন হয় থাকে কারণ ওয়াইফাই কানেকশন ছাড়া ইন্টারনেটের কোন কাজই সম্ভব হয়ে থাকে না যেহেতু আজকাল বেশির ভাগ কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে একটি প্রফেশনাল ওয়াইফাই এর প্রয়োজন হয়ে থাকে বাসা থেকে শুরু করে অফিসে।
তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ওয়াইফাই সম্পর্কে এখনো তেমন কোন কিছু জানে না। যদি না জানেন কিভাবে ওয়াইফাই নিবে বা কোন ওয়াইফাই এর কানেকশন সব চেয়ে বেশি ভালো এ বিষয় গুলো সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা থাকে না। যারা একটি ভালো ওয়াইফাই এর কানেকশন বাড়িতেই নিতে চাচ্ছেন অথবা অফিসে নিতে চাচ্ছেন অথচ ভালো রাউটার বা
ওয়াইফাই সম্পর্কে এখনো তেমন কিছু জানেন না তাহলে কিন্তু আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকবেন কারণ আজকের আর্টিকেলেই আমি আপনাকে জানাবো কোন ওয়াইফের কানেকশন সব চেয়ে বেশি ভালো ভালো রাউটার চিনবেন কিভাবে সহ রাউটার বিশিষ্ট ওয়াইফাই এর সকল কিছুই থাকছে আজকের এই একটি আর্টিকেলে জানতে হলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
.
ওয়াইফাই কি কেন প্রয়োজন
বাংলাদেশে কম বেশি অনেকেই এখন ওয়াইফাই নাম শব্দটি জানে। অধিকাংশ লোকজনে ওয়াইফাই সম্পর্কে জানলেও ওয়াইফাই বাসায় কিভাবে নিতে হয় বা কোন ওয়াইফাই এর কানেকশন সবচেয়ে বেশি ভালো এই নিয়ে সঠিক তথ্যটি এখনো জানেনা। আপনি যদি নিচের কিওয়ার্ড গুলো ফলো করে স্টেপ বাই স্টেপ পড়ে যান তাহলেই জানতে পারবেন কোন ওয়াইফের কানেকশন সবচেয়ে বেশি ভালো কিভাবে বাড়িতে বা বাসায় ওয়াইফাই নিবেন কোন রাউটার নিবেন কতর
আরও পড়ুন : মোবাইল দিয়ে এফিলেট মারকেটিং এবং এর সুবিধা
মধ্যে নিবেন ইত্যাদি সহ বিস্তারিত সকল কিছুই জানাবো। স্মার্টফোনের মতই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথেই মিশে যাচ্ছে ওয়াইফাই এই ওয়াইফাই ছাড়া যেন এখন অনেকেই কোন মুহূর্ত ভাবার কল্পনাও করতে পারে না কারণ ওয়াইফাই মূলত যত ইচ্ছে তত গান শোনা যায় মুভি দেখা যায় যা ইচ্ছে গেম খেলা যায়। বাড়িতে অথবা আশেপাশে যদি কারো ওয়াইফাই এর কানেকশন থাকে তাহলে সেই ওয়াইফাই-এর কানেকশন মোবাইলে সংযোগ করলে প্রয়োজন হয় না কোন এমবির।
মূলত এমবির খরচ টা অনেক বেশি হওয়াতেই বেশিরভাগ মানুষজনই এখন ওয়াইফাই নেওয়ার কথা ভেবে থাকে বা অধিকাংশ লোক এখন ওয়াইফাই নিয়েছেও। ৫০০ টাকা মাস দিয়ে যেন মন খুলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকছে সবাই।
আপনি যদি একটি ভালো মানের ওয়াইফাই নিতে চান বাসায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ওয়াইফাই এর কেমন এমবিবিএস নিলে ভালো হবে কোন রাউটারটি ব্যবহার করলে বেশি ভালো হবে এ সকল কিছু জেনে যদি আপনি ওয়াইফাই নিতে পারেন তাহলে আপনার ওয়াইফাই লাইনের কোন সমস্যা হবে না মন খুলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন যত ইচ্ছে তত।
কোন ওয়াইফাই এর কানেকশন সবচেয়ে বেশি ভালো
বাংলাদেশে ওয়াইফাই লাইন মোটামুটি সব গুলোই ভালো হয়ে থাকে কানেকশন তবে কিছু কিছু লাইন থেকে থাকে যেই লাইন গুলো একেবারেই খারাপ হয়ে থাকে। মোটামুটি আপনি যদি কোন ওয়াইফের কানেকশন ভালো এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে বলবো ওয়াইফাই এর এমবিবিএস কত আছে সেটার উপরের মূলত নির্ভর করে আপনার ওয়াইফাই লাইন ভালো হবে কিনা বা কেমন ইন্টারনেট সাপ্লাই করে থাকবে।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যেয়ে থাকেও ওয়াইফাই কানেকশন করে নিলেও এক থেকে দুইটি ফোনই চালানো কঠিন হয়ে যায় কারণ এমবিবিএস ভালো না। ওয়াইফাই এর কানেকশন সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যত বেশি এমবিবিএস ওয়াইফাই কিনবেন ততই স্পিড বেশি দিবে কানেকশনে। আরে স্পিড বেশি হলে আপনি অনার্সেই তিন থেকে চারটি ফোন এবং পিসি ল্যাপটপ অথবা যে কোন কিছু অনুযায়ী চালাতে পারেন আর সেই ওয়াইফাই এর কানেকশন গুলো কোন রকম ঝামেলা হয় না।
আপনি যদি ভাল মানের কানেকশন দিয়েই ওয়াইফাই নিতে চান তাহলে অবশ্যই এমবিবিএসটা বেশি নিবেন এটা করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে শান্তি পাবেন। বাংলাদেশে এখন কিছু কিছু wi-fi এর ব্র্যান্ড এসেছে যেই ব্র্যান্ডগুলো ওয়াইফাই হলে কানেকশন দিয়ে থাকে। ওয়াইফাই এর মুল ডিভাইস টাই হয়ে থাকে এমবিবিএস এর উপর এজন্য আপনি যত বেশি এমবিবিএস নিবেন ততই কিন্তু আপনার ওয়াইফাই স্পিড বেশি হবে এবং
অনলাইনের থেকে শুরু করে যে কোন ফোন পিসি চালিয়ে অথবা কাজ করেও শান্তি পাবেন। আপনি যদি ভালো ওয়াইফাই এর কানেকশন খুঁজে থাকেন তাহলে অবশ্যই ১০ এমবিপিএস এর মধ্যে ওয়াইফাই নেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে স্পিড ভালো দিয়ে থাকবে।
তবে আজকাল বেশিরভাগ দোকানেই ১০ এমবিবিএস wi-fi দেয়ার নাম দিয়ে ৫ এমবিবিএস দিয়ে বলে ১০ এমবিবিএস দিয়েছে। তাই আপনাকে কত এমবিবিএস দিচ্ছে ১০ না ৫ এ বিষয়টি নিজেকেই নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে আপনি ওয়াইফাই এর কানেকশন সবচেয়ে ভালোটা নিতে পারবেন।
কোন রাউটার ভালো এবং দাম কত
বাংলাদেশে এখন অনেক কোম্পানি রয়েছে যে কোম্পানি গুলোর রাউটার সেল করে থাকে তবে সকল রাউটারের মধ্যে কোন রাউটারটি ভালো এবং ওয়াইফাই এর কানেকশন নিয়েও ভালোভাবে ইন্টারনেট চালাতে পারবেন এ বিষয়ে যেকোনো একটি রাউটার নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি ভাল মানের রাউটার বেছে নিতে চান তাহলে অবশ্যই Netgear নামেও এই রাউটারটি নিতে পারেন।
কারণ এই রাউটারের নেটওয়ার্ক টা খুবই ভালো হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি যদি একটি ভালো মানের রাউটার কিনেন তাহলে সেই রাউটারটি অবশ্যই বড় কিনার চেষ্টা করবেন কারণ বড় রাউটারে মূলত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি বাড়িতে চার থেকে পাঁচটি ফোন এবং একটি পিসি বা ল্যাপটপ চালানোর কথা ভাবেন তাহলে অবশ্যই ২ থেকে ৩ হাজারের মধ্যে রাউটারটা
কেনার চেষ্টা করবেন এতে করেই রাউটারটি অনেকদিন নিয়েও যেতে পারবেন এবং এটি খুব ভালোভাবে আপনার চার থেকে পাঁচটি ফোন এবং পিসি ল্যাপটপ কানেকশন করবেন ভালো। রাউটারের সব থেকে মূল পয়েন্ট গুলো হয়ে থাকে এমবিবিএস এবং অনুসহ রাউটারটা। আপনার যদি ওয়াইফাই কানেকশনের সময় এই তিনটি জিনিস লক্ষ্য করে ওয়াইফাই নেন তাহলে অবশ্যই সেই ওয়াইফাইটি ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন কোনরকম সমস্যা ছাড়াই।
ভালো রাউটার চেনার উপায় কি
আপনি যদি একটু ভাল রাউটার খুঁজে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই রাউটার সম্পর্কে ভালোভাবে সকল কিছু জেনে রাউটার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন কারণ রাউটারই আপনার ওয়াইফাই এর কানেকশন কেমন করবে এ বিষয়টি নির্ভর করে থাকে তবে শুধু রাউটারই না রাউটারের সাথে অনু এবং এমবিবিএস মূলত এই তিনটির উপরেই ইন্টারনেট কানেকশন টি নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে আবারো বলছি ওয়াইফাই নেওয়ার আগে অবশ্যই এই তিনটি জিনিস ভালোভাবে লক্ষ্য করে জেনে নিলে ঠকবেন না। তবে ভালো রাউটার চেনার উপায় কি চলন জেনে নেয়া যাক।
- আপনি যখন রাউটার কিনবেন সেই রাউটারের অবশ্যই রেঞ্জ কতটুকু এটি দেখে কি নিবেন।
- যে ডিভাইসটি নিবেন ওই ডিভাইসটির সংখ্যা কত মানে কয়টি ডিভাইস চালাতে পারবেন এ বিষয়টি লক্ষ্য করবেন অথবা জেনে নিবেন। আপনি যখন ডিভাইসের তার টি নিবেন তখনই এ বিষয়টি জানতে হবে।
- এন্টেনা সংখ্যা কয়টি চারটি ছয়টি বা কয়টি আছে এন্টেনা এ বিষয়টি জেনে নিবেন।
- কভারেজের এরিয়া কতটুকু হয়ে থাকে এটিও জেনে এবং দেখে নিবেন।
- রুম সংখ্যা রাউটারের একটি রুম থেকে কয়টি রুম পর্যন্ত পেতে পারে এ বিষয়টি নির্ধারণ করে নিবেন। তাহলে আশা করছি ভালো router নিতে পারবেন।
ওয়াইফাই কানেকশন নেওয়ার আগে কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে
ওয়াইফাই যেটি এখন আমাদের বাংলাদেশে খুবই সু পরিচিত নাম এবং খুবই জনপ্রিয়তা পেয়ে উঠেছে। তবে আপনি যদি বাসায় অথবা অফিসে ওয়াইফাই কানেকশন নিতে চান অবশ্যই কিছু কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে নয়তো আপনাকে তারা ভালো মানের ওয়াইফাই দিবেনা যার ফলে আপনি যে উদ্দেশ্যে ওয়াইফাইটি নিবেন সে উদ্দেশ্য কখনোই ভালোভাবে সফল হতে পারবেন না সে ক্ষেত্রে নেওয়ার আগে কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে এ বিষয়টি জেনে নিয়ে ছাড়াও
ইতিমধ্যে আমরা উপরের কিওয়ার্ডেও জেনেছি কোন ওয়াইফের কানেকশন সবচেয়ে বেশি ভালো। একটি ওয়াইফাই যেহেতু কোন কাজ বা কোন কিছুর উদ্দেশ্যে নেয়া হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে নিয়েও যদি সেই জিনিস গুলো ভালো না হয় তাহলে সেটি খারাপ লেগে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক হোন এবং অন্যদেরও সতর্ক করে দিবে। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক কোন ওয়াইফাই এর কানেকশন নেওয়ার আগে কি কি বিষয়ের লক্ষণ রাখতে হবে।
- ওয়াইফাই নেয়ার আগে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনাকে কোন রাউটারটি নিলে বেশি ভালো হবে।
- ওয়াইফাই নেওয়ার আগে নির্ধারণ করে নিবেন কতর মধ্যে রাউটারটি নিলে বেশি ভালো কাজ করে থাকবে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার জন্য।
- ওয়াইফাই এর কানেকশন নেওয়ার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করে নিবেন এটি কত এমবিবিএস। মূলত আপনার ইন্টারনেট কানেকশন হয়ে থাকবে এমবিবিএস এর উপরে সেক্ষেত্রে আপনার এমবিবিএসটা যদি কম হয়ে থাকে দশের নিচে তাহলে সেই ইন্টারনেট কানেকশন কখনই ভালো হবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ১০ এমবিবিএস নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- ওয়াইফাই লাইন যখন সংযোগ করে দিবেন দিবে তখন লক্ষ্য রাখবেন যে তারটিতে সংযোগ করছে সে তারটি কেমন। কমবেশি আমরা সবাই জানি তাদের মধ্যে দিয়ে মূলত ইন্টারনেট কানেকশন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি অবশ্যই ভালোভাবে লক্ষ্য রাখবেন।
- ওয়াইফাই নেওয়ার সময় অবশ্যই সর্বনিম্নে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার বাজেট করে নিয়ে থাকবেন। কারণ ভালো মানের ওয়াইফাই নিতে গেলে অবশ্যই পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা প্রয়োজন হয়ে থাকবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা কোন ওয়াইফাই এর কানেকশন সবচেয়ে বেশি ভালো এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিত শেষ পর্যন্ত জেনে আশা করছি আপনার উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে পরে। যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরও জানার সুযোগ করে দিবেন। এছাড়াও কোন ওয়াইফের কানেকশন সবচেয়ে বেশি ভালো এ বিষয়টি জেনে আপনার কতটুকু উপকৃত হয়েছে সেটি নিচে মন্তব্য বক্সে জানিয়ে যাবেন।
আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে যদি আপনার আরো কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে নিচে মন্তব্য বক্সে অবশ্যই জানাবেন। স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে সব সময় সঠিক তথ্যটি তুলে ধরার এবং সঠিক বক্তব্যটি পেশ করা। ধৈর্য সহকারে এতক্ষণ সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং আমার পাশে থাকার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url