বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন বিস্তারিত সকল কিছু জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা' বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন রকমের জব অফার করা হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন রকমের জব পাওয়া যায় থাকে অনলাইনে। তবে অনলাইনের মধ্যে সব থেকে অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকি।
আপনিও যদি জানতে চেয়ে থাকেন সারা বিশ্বের বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন এ বিষয়ে যদি জানার আগ্রহ হয়ে থাকে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং কি, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন, ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং এর বড় মার্কেট প্লেস কোনটি ইত্যাদি থাকছে বিস্তারিত আর্টিকেলে জানতে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
.
ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি মুক্ত পেশা। এই পেশায় কাজে লাগিয়ে আজকাল অনেকেই অনলাইন থেকে আয় করে থাকছে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক গুলো পাঠ রয়েছে যে পার্ট গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি পার্ট কাজে লাগিয়ে অনেকেই আয় করছে অনলাইন থেকে। আপনি যখন কোন স্বাধীন মতো কাজ খুঁজে থাকবেন তখন আপনার কাছে ফ্রিল্যান্সিং একমাত্র সেরা হয়ে থাকবে কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজেই আপনি মুক্ত জীবনের মত করতে পারেন।
বর্তমান যুগে বেশিরভাগ কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে ফলে যে কেউই যেকোনো কাজ ঘরে বসে থেকে করতে পারছে অনলাইনে। ফ্রিল্যান্সিংকে মুক্ত পেশা এই জন্যই বলা হয়েছে কারণ এই কাজটি আপনি সম্পূর্ণ নিজের স্বাধীন মত করতে পারবেন আপনার যদি মন চায় করতে পারেন আবার যদি মন না চাইলে না করতে পারেন। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে বাইরের দেশে বায়ানদেরও সাথে কাজ করে বাংলাদেশে বসে থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আজকাল অনেকেই বাইরের দেশকেও টার্গেট করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকছে। আজকাল অনেকেই চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছে বা অনেকে চাকরি বাদ দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং কাজ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি আপনিও যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন অন্যদের মধ্যে তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল বিষয় জানতে হবে যেমন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন, ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়, করে কত টাকা আয় করা যায় এরকম খুঁটিনাটি বিষয় জানতে হবে তাহলে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন
বর্তমানে এখন বাংলাদেশও ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে আগে শোনা যেত মূলত বাইরের দেশ গুলোতে ফিনান্সিংয়ের কাজের চাহিদা গুলো ছিল কিন্তু বর্তমান বাজারে এখন ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত জেনে না জেনে বুঝে অথবা না বুঝেই ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভেবে থাকছে। এছাড়াও অনেকে পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময় গুলোতেও ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখে থাকছে।
বর্তমানে এখন ফ্রিল্যান্সার শতকরা দাড়িয়েছে 14 শতাংশ। এছাড়াও ১৪ শতাংশ ছাড়িও এখন প্রায় ১৫ শতাংশের কাছে যেতে চলেছে ফ্রিল্যান্সার। যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে ইচ্ছুক তারা কিন্তু দেরি না করে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত আরো ভালোভাবে জেনে অথবা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত রিসার্চ করে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স অথবা বিভিন্ন ভিডিও দেখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখে আয় করতে পারেন অনলাইন থেকে।
ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে নানা রকম ভাবে আয় করা যায় আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং নামক শব্দটি ব্যবহার করে আয় করতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই এ বিষয়টিও জানতে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং করে মূলত বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোকে টার্গেট করে আয় করা যায় যেমন upwork এবং ফাইবার। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যেই এই দুটি পার্টের মধ্যে যেকোনো একটি পার্ট নিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন
অনেকেই আজকাল আপওয়ার্ক কাজ করে দ্রুত সাবলম্বী হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও upwork এর পরবর্তীতে রয়েছে ফাইবার আপনি যদি ফাইবার নিয়েও কাজ করেন তবুও দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন যদি কষ্ট করে পরিশ্রম করে যেতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং নামক শব্দটি আসার পর আজকাল কেউ আর বেকার বসে থাকছে না ঘরে বরং আরো অনলাইন বিভিন্ন প্লাটফর্ম গুলোকে কাজে লাগিয়ে আয় করছে এবং সফলতার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও অনেকেই ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সার হয়েছে এবং অন্যদেরও ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি যখনই ঘরে বসে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাববেন অবশ্যই একটি ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয়ে থাকবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরো বিভিন্ন পার্ট রয়েছে সেই পার্ট গুলো সম্পর্কিত জেনেও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং পাট গুলোর মধ্যে আরও যে পাট গুলো রয়েছে তা হচ্ছে
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- freelancer.com
- প্রোগ্রামার
- গ্রাফিক ডিজাইন
- কনটেন রাইটিং
- ডাটা অ্যানালিটিক্স
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়
বর্তমানে এখন লাখো তরুণ-তরুনীরা ফ্রিল্যান্সিং কাজে জড়িয়ে পড়ছে পড়াশোনার পাশাপাশি অথবা চাকরির পাশাপাশি। অনেকেই আবার চাকরি বাদ দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করে থাকছে ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি হয়তো অনলাইন গুলোতে। আপনিও যদি একটি মুক্ত পেশা এবং স্বাধীন হাত খুঁজে থাকেন তাহলে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে একমাত্র সেরা।
এছাড়াও আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি তারা জানতে চেয়ে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায় বা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগেও এ বিষয় গুলো জানার চেষ্টা করে থাকে। তবে সঠিকভাবে কখনোই বলা সম্ভব নয় ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায় কারণ অনলাইন কাজ গুলোতে কখনো কুম কখনো বেশি তবে আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট আইডিয়া নিতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা অনাসেই আয় করা যায়।
এছাড়াও অনেকে মাসে লাখ টাকাও পর্যন্ত আয় করে থাকছে ইতিমধ্যেই হয়তো আমরা অনেক সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতেও দেখেছি। তবে তারা যে মাসে লাখ টাকা আয় করছে বলেই আপনিও যে করতে পারবেন বিষয়টি এমন নয়। তারা হয়তো এক লাখ করছে আপনি হয়তো আরো বেশি করতে পারেন বা তাদের চেয়েও কমও করতে পারেন এ বিষয় নিয়ে কখনোই কাজ ছাড়া যাবে না যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন।
কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে গেলে মূলত বিভিন্ন ধৈর্য এবং সময়ের প্রয়োজন হয় থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার আগে জেনে নিতে হবে আপনার হাতে একটি বছর সময় এবং ধৈর্য রয়েছে কিনা। মূলত ধৈর্য সময় এবং পরিশ্রমে আপনাকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আপনি শুরুতেই কোনরকম টাকার আশ্বাস না করে যদি পরিশ্রম করে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই একদিন অনেক পরিমাণে সফলতা পেয়ে থাকবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
প্রিয় বন্ধুরা আমরা হয়তো ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জেনে অনেকেই রয়েছি যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকি তবে ফ্রিল্যান্সিং এর বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি এ বিষয়ে সঠিক ধারণাটাই অনেকেই পাই না। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বড় মার্কেটপ্লেস গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ে যেতে হবে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ এসে অনলাইনের বেশ সারা ফেলিয়েছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেও অনেকেই সফলতা অর্জন করছে এ
বিষয়ে হয়তো আমরা অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও দেখেও জেনেছি। বর্তমানে বিভিন্ন তরুণ তারণেরা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জেনে অথবা কেউ না জেনে। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে তারপরে সেই কাজে যুক্ত হতে হবে কারণ frencing কাজের অনেক গুলো পার্ট রয়েছে সেই পার্ট গুলোর মধ্যে আপনি কোন পাট নিয়ে ফ্রীল্যান্সিং করতে ইচ্ছুক সে বিষয়টি আগে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
বর্তমান বাজারে সবচেয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ যে দিক থেকে বলা যেতে পারে বড় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপ ওয়ার্ক ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম। বর্তমান অনলাইনে এই তিনটি কাজে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বড় হিসাবে দেখা যেয়ে থাকছে এবং এই তিনটি কাজ করে অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং অনেকেই এই কাজের গুলোর প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
আপনি যদি upwork প্লাটফর্ম টি নিও কাজ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনাকে বিভিন্ন রকমের সুবিধা পেয়ে থাকবেন আর সব থেকে বড় যে সুবিধা পাবেন তা হচ্ছে পেমেন্ট পাওয়া। যারা অনলাইন কাজ গুলোতে প্রেমেন্ট পাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তাদের জন্য কিন্তু আপওয়ার্ক সেরা হয়ে থাকবে কারণ আপওয়ার্কে ক্লাইন্টদের নির্দিষ্ট তারিখ এবং দিনের মধ্যেই পেমেন্ট দিয়ে থাকে। এতে করে যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকে তাদের আরো আগ্রহ টা বেড়ে যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার শতকরা বর্তমান এখন কতজন এ বিষয়ে আশা করছি বিস্তারিত আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি কিভাবে করা যায় এ বিষয় গুলো সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটে ফ্রীলান্সিং সম্পর্কিত সকল তথ্য
আরও পড়ুন : মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
সার্চ করে পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন কারণ স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে ফ্রীল্যান্সিং সম্পর্কিত অনেক গুলো পোস্ট বা ক্যাটাগরি আপডেট করা হয়েছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হতে পারেন। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url