প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি অনলাইনে ব্যবসা অল্প পুজিতে করে দ্রুত সফল হতে চান যদি চেয়ে থাকুন অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে যাবেন কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানাবো অনলাইনে ব্যবসা অল্প পুজিতে করে দ্রুত সফল হওয়ার যায় কিভাবে।
এছাড়াও আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরোও জানতে পারবেন কোন কোন ব্যবসা করে দ্রুত সফল হতে পারবেন বা কো ন ব্যবসা থেকে কেমন আয় হয়ে থাকে মূলত কয়েকটি ব্যবসার নাম এবং অল্প পুজি নিয়ে কিভাবে শুরু করবেন এই নিয়েই থাকছে আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত জানতে অবশ্যই পড়ুন।
.
দেশীয় খাবার বানিয়ে বাড়িতে হোম ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে দ্রুত সফল হন
প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা খাবার রান্না করতে এক্সপার্ট। আপনি কিন্তু চাইলে আপনার নিজের দক্ষতা টুকুই কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন ঘরে বসে থেকে। হয়তো বুঝতে পেরেছেন ইতিমধ্যেই আমি কোন কথাটি বলতে চাচ্ছি বা কোন কাজের কথা বলতে চাচ্ছি যে কাজ করেও আপনি ঘরে বসে থেকে আয় করতে পারেন। আপনি চাইলে অল্প পুঁজি নিয়ে অর্থাৎ ১ থেকে ২০০০ টাকা নিয়েও অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনি বাড়িতেই বিভিন্ন দেশীয় খাবার বানাতে পারেন এবং সেই খাবার গুলো হোম ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে যেকোন প্রান্তে পৌঁছাতে পারেন। আপনার খাবার যদি দেশীয় হয়ে থাকে তাহলে একদিন অনেক সফলতা অর্জন করতে পারবেন এই দেশীয় খাবার বানিয়ে। কারণ বর্তমান সমাজে এখন দেশীয় খাবার গুলো খুবই কম দেখা যায়। তাই যেগুলো কম দেখা যায় সেগুলো সম্পর্কে যদি আপনি তুলে ধরার চেষ্টা করেন অনলাইনে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেই
পেজে আপনার দেশীয় খাবার গুলোর ভিডিও আপলোড করেন তাহলে অনেকেই নিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে আর নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে আপনি ডেলিভারি দেয়ার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই আয় করতে পারেন। আপনি অনলাইনে যেই ব্যবসায়ী শুরু করেন না কেন সেই কাজের দ্বিধা না করে এগিয়ে যেতে পারেন।
শুরুতে হয়তো আপনার নিজের অনেক রকম অনেক কথা মনে হবে বা বাইরের লোক অনেক রকম অনেক কথাই বলবে তবে সবদিক কথা পিছিয়ে ফেলে আপনি যদি সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে চান তাহলে কোন দিকের না তাকিয়ে বা কোন কথা না শুনে ইচ্ছে এবং পরিশ্রম দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে আশা করা যেতে পারে আপনি অনলাইনে অল্প পুঁজিতে যে ব্যবসা করেন না কেন সেখানেই দ্রুত সফল হতে পারবে।
সেলাই মেশিন চালানো জানলে সেলাই শেখানোর কোর্স করে সফল হন
আমাদের গ্রামবাংলায় এখন সুদর্শন না একটি কাজ হচ্ছে সেলাইয়ের কাজ। মোটামুটি গ্রামে এই কাজটি বেশি দেখা যেয়ে থাকে তবে গ্রামের চেয়ে এখন শহরেও বেশী দেখা যায় কারণ গ্রাম শহর এখন মূলত দুটোতেই সেলাইয়ের কাজ দেখা দিয়ে থাকে। আজকাল সেলাইয়ের কাজ মেয়েরা থেকে শুরু করে ছেলেরাও করে থাকছে। আপনি যদি সেলাইয়ের কাজ সম্পর্কিত সকল বিষয় জানেন তাহলে সেলাই শেখানোর মাধ্যমে ও প্রতিমাসে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন অর্ডারি প্যান্ট থেকে শুরু করে অর্ডার এই কাপড় চোপড় নিয়ে এসে সেলাই করে দেওয়ার মাধ্যমেও ঘরে বসে থেকে আয় করতে পারেন। যারা সেলাইয়ের কাজ জেনেও সেলাইয়ের কাজ করতে চান না তারা হয়তো জানে না যে সেলাইয়ের কাজের এখন কতটা গুরুত্ব এবং মূল্যায়ন বেড়েছে। বর্তমান বাজারে এখন কিন্তু অনেকেই সেলাইয়ের কাজ শেখানোর মাধ্যমেও আয় করছে তাই অন্যরা যদি শেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারে তাহলে আপনি কেন পারবেন না।
আপনি যে কাজটি জানেন যেটুকু জানেন সেইটুকু নিয়েই শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্স করার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। অনেকেই আজকাল অনলাইনেও একটি পেজ খুলে সেই পেজ এ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকছে অনলাইনে।
যে সকল ভাই ও বোনেরা বেকার বসে রয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো বেকার বসে না থেকে আপনি যেই কাজটি জানেন সেই কাজটি নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ ব্যবসা যেকোনো ছোট হোক অথবা বড় ব্যবসায়ী একদিন সফল হওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে থাকবে।
ইনভেস্ট করে আয় করুন
বাংলাদেশে এখন অধিকাংশ লোকই টাকা পয়সা আয় করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাংকে রেখে আসে তবে আপনি যদি ব্যাংকে রেখে না এসে সেই টাকাটি দিয়েই যদি আরো আয় করতে চান ঘরে বসে থেকে তাহলে বলবো ইনভেস্ট করে আয় করুন। আপনার কাছে যদি কিছু পরিমাণ অর্থ থেকে থাকে সেই অর্থ গুলো কাজের লাগিয়ে আরো দ্বিগুণ অর্থ বাড়িয়ে নিতে পারেন আর সেটি একমাত্র সম্ভব হয়ে থাকে ইনভেস্ট করে আয় করার মাধ্যমে।
আজকাল অনেকেই রয়েছে যারা ইতিমধ্যেই ইনভেস্ট করে আয় করছে। আপনি সিজিন অনুযায়ী যে কোন জিনিস ইনভেস্ট করতে পারেন যেমন আলু, পেয়াজ, রসুন, ধান, গম, ভুট্টা থেকে শুরু করে শুকনো যাবতীয় সকল জিনিস। আপনি কিন্তু এই জাতীয় জিনিস গুলো সিজন অনুযায়ী কম দাম দিয়ে কিনে পরবর্তীতে যে জিনিসের দাম বেড়ে যাবে তখনই সেই জিনিস সেল করে দিয়ে আরও দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ আয় করে নিতে পারেন।
অনেকেই বেকার বসে থাকে টাকা নিয়ে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্য বলবো বেকার টাকা নিয়ে বসে না থেকে সেই টাকাটি আরো খাটানোর চেষ্টা করুন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন রকম ব্যবসা ও করতে পারেন আজকাল অনেকেই ব্যবসা করেও আয় করছে।
হাঁস মুরগির খামার করে অল্প পুজি নিয়েই শুরু করে সফল হন
হাঁষ মুরগির খামার করে আজকাল অনেক তরুণ তরুণিরা আয় করে থাকছে পড়াশোনার পাশাপাশি। অনেকেই পড়াশুনোর খরচ বের করার জন্য অথবা হাত খরচের টাকা বের করার জন্য হাঁস মুরগির খামার করেও আয় করছে। এছাড়াও হাঁস মুরগির খামার করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে ইতিমধ্যে হয়তো আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্রাউজারে দেখেছি।
অন্যেরা যদি পড়া শুনার পাশাপাশি হাঁস মুরগির খামার করে আয় করতে পারে তাহলে আপনি কেন বেকার বসে থেকে পারবেন না। আপনি চাইলেই শুরুতে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা নিয়েও হাঁস মুরগির খামার করে ধীরে ধীরে সেই খামারটি বড় করে তুলতে পারেন এবং প্রতি মাসে সেখান থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা অনার্সেই আয় করতে পারেন। শুরুতে যদিও ১৫ থেকে ২০ হাজার হবে তবে ধীরে ধীরে যখন আপনার খামারটি আরো বড় করে তুলবে তখন ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও আয় করতে পারেন।
এছাড়াও আমরা অনেককেই অনলাইনে দেখেছি যারা হাঁস মুরগির খামার করে মাসে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছে যদিও তারা শুরুতে অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল কিন্তু বর্তমানে এখন সেই ব্যবসা গুলো শুরু করে লাভ লোকসান পার করিয়ে সফল হতে পেরেছে। আপনি শুরুতে অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার আগে কখনোই লাভ লোকসানটি দেখবেন না।
শুধুমাত্র পরিশ্রম এবং ধৈর্য সহকারে সেই ব্যবসাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এটাই কিন্তু একদিন সফল ব্যবসায়িক হতে পারবেন। হয়তো যেদিন সফল হতে পারবেন সেদিন দেখবেন আপনার দেখে দেখে অনেকেই যারা বেকার বসে থাকে তারাও বিভিন্ন রকমের খামার করে সফল হতে ইচ্ছে প্রকাশ করে থাকছে।
পুরাতন জিনিস কয় বিক্রয় করার মাধ্যমেও সফল হন
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি অল্প পুজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে বলবো পুরাতন জিনিস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন। কারণ আজকাল অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে পুরাতন জিনিস কয় বিক্রয় করেও আয় করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনি শুরুতেও একটি অনলাইনে পেজ খুলে নিতে পারেন এবং সেই পেজে অনলাইন পুরাতন জিনিস ক্রয় বিক্রয় এই সম্পর্কে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে নিয়ে সেই বিজ্ঞাপন গুলো মানুষকে জানাতে পারেন
পরবর্তী সময়ে তারাও জানতে পারবে আপনার কাছে পুরাতন জিনিস বিক্রয় করা যায় বা আপনার কাছে পুরাতন জিনিস সংগ্রহ করা যায়। শুরুতে পুরাতন জিনিস ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটা কঠিন মনে হলো ধীরে ধীরে যখন সফল হতে শুরু করবেন তখন আর এই কাজটি কঠিন মনে হবে না। শুরুতে আপনি অনলাইনে যে কাজই করেন না
কেন সেই কাজই কঠিন মনে হতে পারে সে ক্ষেত্রে ধৈর্য সহকারে এগিয়ে যেতে হবে। আজকাল অনেকেই চাকরি বাদ দিয়েও কিন্তু নিজের ইচ্ছামত পেশা গুলো বেছে নিয়ে আয় করে থাকতে যেমন পুরাতন জিনিস ক্রয় বিক্রয় বিভিন্ন খামার বিভিন্ন কোর্স ইত্যাদি সহ যার মধ্যে যেটুকু দক্ষতা রয়েছে সেই দক্ষতা গুলোই কাজে লাগিয়ে আয় করছে অনলাইন থেকে।
অল্প পুজি নিয়ে কাপড়ের ব্যাবসা করে সফল হন
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সব সময় ভেবে থাকি অল্প পুঁজি নিয়ে কি ব্যবসা শুরু করা যায় বা কোন ব্যবসা শুরু করলে বা সফল হওয়া যায়। আপনি যদি অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে একটি কাপড়ের দোকান দিয়ে সেখান থেকে বিভিন্ন রকমের কাপড় বিক্রয় করার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন আপনারা চাইলে বাড়িতে ও করতে পারেন কারণ আজকাল অনেকেই দেখা যেয়ে থাকছে যারা বাড়িতেও কাপড় ক্রয় বিক্রয় করে থাকছে হোম ডেলিভারী দেয়ার মাধ্যমে।
আমরা হয়তো অনলাইনে অনেকেই দেখে থাকি যারা অনলাইনে কাপড় অর্ডার করে থাকে এই যারা কাপড় অর্ডার করে থাকে তারাও কোন না কোন কাপড়ের দোকান দিয়েছে বলেই কাপড় অর্ডার করতে পেরেছে। অল্প পুঁজি নিয়ে যদি কোন ব্যবসার কথা ভেবে থাকেন তাহলে কাপড়ের ব্যবসাটি একমাত্র সেরা হয়ে থাকবে।
যারা কাপড়ের ব্যবসা থেকে শুরু করে যে কোন ব্যবসা নিয়ে কাজ করতে ইতস্ত বোধ করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনি যেই ব্যবসায়ী করেন না কেন সেই ব্যবসা ইতস্তবোধ না করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যান। এতে করে দ্রুত সফল হতে পারবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
অনলাইনে ব্যাবসা অল্প পুঁজিতে করে দ্রুত সফল হওয়ার ছয়টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আশা করছি আপনিও যে কোন একটি উপায় বেছে নিয়েছেন এবং আপনিও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোন ব্যবসাটি করবেন। আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এরকম আর্টিকেল আরো পড়তে স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে যাবেন।
কারণ স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন অনলাইন বিষয়ক বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোস্ট আপডেট করা হয় থাকে যারা অনলাইন থেকে আয় করে সফল হতে চান তারাই মূলত অনলাইন ইনকাম ভিত্তিক পোস্ট গুলো পড়তে পারেন। যদিও পোষ্টের মধ্যে তেমন কি মূল্যায়ন কথা লিখা হয়েছে বা লিখা হয়নি এটি আপনাদের জন্য জরুরী নয় তবে কিওয়ার্ড গুলোতে কি উপায় গুলো তুলে ধরা হয়েছে বা
কোন উপায় গুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে সেই উপায় গুলোর মধ্যেই কিন্তু আপনারা যে কোন একটি উপায় কাজের লাগিয়ে সফল হতে পারেন। আমাদের কর্তব্য আপনাদের ছোট থেকে শুরু করে বড় কাজের আইডিয়া গুলো দেওয়ার যে আইডিয়া গুলো আপনারা নিজেরদের চাহিদা এবং নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী করতে পারেন। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url