কোন দেশে সবচেয়ে বেশি আইফোন ব্যবহার করে

প্রিয় বন্ধুরা আপনি কি জানেন কোন দেশের সবচেয়ে iphone বেশি ব্যবহার করা হয় থাকে। যদি আইফোন সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেলটি ওপেন করে থাকেন তাহলে বলব আর্টিকেলটি না টেনে মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যাবেন। এতে করে আর্টিকেলের মধ্যে কি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে বা মূল কোন কথা গুলো iphone সম্পর্কে বলা হয়েছে এ বিষয় গুলো বুঝতে পারবেন এবং জানতে পারবেন। 
কোন দেশে সবচেয়ে বেশি আইফোন ব্যবহার করে

আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন আইফোন সম্পর্কে অনেক কিছুই কোন দেশের সবচেয়ে বেশি আইফোন ব্যবহার করে, বর্তমান বাজারে আইফোনের দাম কত, আইফোন ব্যবহার করার নিয়ম, কোন দেশের আইফোন বেশি ভালো হয়, আইফোন ব্যবহার করার সুবিধা ইত্যাদি সহ থাকছে বিস্তারিত আর্টিকেলে জানতে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

.

কোন দেশে সবচেয়ে বেশি আইফোন ব্যবহার করে

বর্তমান বাজারে আইফোনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমরা হয়তো আইফোন নামক এই শব্দটির কথাটি অনেক শুনেছি আইফোন মূলত একটি স্মার্টফোন তবে এই স্মার্টফোন সাধারণ ফোন গুলোর তুলনায় অনেক গুণে বেশি। আইফোন মূলত আমেরিকান কোম্পানি অ্যাপল আইফোন তৈরি করেছিলেন। 

আইফোন ব্যবহার করার অনেকেরই স্বপ্ন হয়ে থাকলেও সহজেই iphone কেউই ব্যবহার করতে পারেনা কারণ সাধারণ ফোন গুলোর তুলনায় আইফোনের দাম সবচেয়ে বেশি এবং দ্বিগুণ মাত্রায় হয়ে থাকে। কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সাধারণ ফোন গুলো দেখতে যেমন সুন্দর হয়ে থাকে ঠিক তেমনি আইফোন দেখতে আরো দুইগুণ বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। আইফোনের প্রতিটি কোয়ালিটি দেখার মত হয়ে থাকে। 
তবে আমরা কম বেশি অনেকেই জানি আইফোন বর্তমান বাংলাদেশও সবাই ব্যবহার করে থাকি ইতিমধ্যে। তবে আপনি কি জানেন কোন দেশের সবচেয়ে বেশি iphone ব্যবহার করে। আইফোন মূলত সব থেকে বেশি ব্যবহার করে থাকে জাপানের কারণ জাপান দেশের মূলত ৪৯ শতাংশ নাগরিক পাওয়া যায় যেই ৪৯ শতাংশ মানুষজনই iphone ব্যবহার করে। এছাড়াও নয় শতাংশের মানুষ জন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্যামসাং ফোন ব্যবহার করে 

এবং বাকি ৩২% মানুষ যে কোন ব্রান্ডের ফোন ব্যবহার করে থাকছে। যেখানে ৩২ পার্সেন্ট মানুষ অন্য ব্র্যান্ডের ফোন ব্যবহার করে থাকতে আর সেখানে কোথায় রয়েছো ৪৯ শতাংশ তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে জাপানি একমাত্র দেশ যেখানে সব থেকে বেশি iphone ব্যবহার করা হয় থাকে। আমাদের বাংলাদেশের মূলত কয়েকজনার হাতেই আইফোন দেখা যেয়ে থাকে তবুও যারা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে নিয়ে থাকতে তাদের হাতে মূলত আইফোন দেখা যেয়ে থাকে। 

তবে এখন পর্যন্ত অনেকেই রয়েছে যারা আইফোন নামক শব্দটি শুনে থাকলেও এখন পর্যন্ত আইফোন কেমন দেখে নি। আপনি কিন্তু চাইলেই উপরে ছবিটি দেখেও আইফোন কেমন হয় চিনে নিতে পারেন। আইফোনের পিছন প্যাকটা মূলত সাধারণ রকমই হয়ে থাকে শুধুমাত্র একটি আপেলের চিহ্নর মত রয়েছে যার কারণেই চিহ্নিত করা যায় এটি iphone। 

বর্তমান বাজারে আইফোনের দাম কত

বর্তমান সময়ে আইফোন ব্যবহার করা সবার ইচ্ছে থাকলেও দামের কথা শুনে আইফোন কেউই ব্যবহার করতে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করে না। কারণ বর্তমান বাজারে আইফোনের দাম এতটাই বেশি যে অন্য ফোন গুলোর তুলনায় অধিক পরিমাণ হয়ে থাকে। যার কারণে অনেকে কিনার ইচ্ছে থাকলেও সেই ইচ্ছাটি পূরণ করতে পারে না। 

তবে আপনি যদি একটি ভাল ব্র্যান্ড এবং ভালো মানের আইফোন কিনতে চান তাহলে অবশ্যই কিন্তু আপনাকে জানতে হবে বর্তমান বাজারে আইফোনের দাম কত চলছে। আমরা হয়তো বাজারে ইতিমধ্যে iphone এর চারটি সিরিজ এবং চারটি মডেল সম্পর্কে জেনেছি সেই চারটি মডেলের নাম সহ দাম উল্লেখ করে 

আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানাবো যদি আপনি iphone কিনতে চান তাহলে অবশ্যই কোন সিরিজের অথবা কোন মডেলের কেমন দাম আইফোনের হয় থাকে সেই সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন কিওয়ার্ডটি পড়ার মাধ্যমে। তবে চলুন বিস্তারিত কথা না বাড়িয়ে আইফোনের চারটি মডেলের দাম এবং নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • আইফোন ১৬ প্লাস = ১ লাক্ষ ৮ হাজার ৫০০ টাকা
  • আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স = ১ লাক্ষ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা
  • আইফোন ১৬ প্রো= ১ লাক্ষ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা
  • iphone 16 = ১ লাক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকার 

iphone ব্যবহার করার নিয়ম 

আমাদের মধ্যে কম বেশি অনেকেই রয়েছে যারা আইফোন কিনলেও কিভাবে আইফোন ব্যবহার করলে দীর্ঘদিন ভরা ব্যবহার করা যেতে পারে এ বিষয় গুলো সঠিক ভাবে জানে না যার কারণে অল্পতেই iphone সার্ভিসিং করতে হয়ে থাকে। আপনি যদি একটি আইফোন কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আইফোন ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে তবেই আপনি কয়েক বছর কোনরকম সার্ভিসিং করা ছাড়াই আইফোন ব্যবহার করতে পারবেন। 

আমাদের মধ্যে কমবেশি অনেকের রয়েছে যারা যে কোন ফোন সম্পর্কে সঠিক ধারণাটি তেমন ভাবে জানেনা মানে ফোন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে কিভাবে চার্জ দিতে হবে এই খুঁটিনাটি বিষয় গুলো জানে না। মূলত একই কিওয়ার্ডে আইফোন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এ বিষয়টি জানাবো। আপনি যদি একটি আইফোন নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আইফোন কি ভাবে ব্যবহার করার সময় লক্ষ্য রাখবেন যখনই ২০ পার্সেন্ট চার্জে চলে আসবে, তখনি চার্জ দিবেন। 

আর সার্চ দেয়ার সময় অবশ্যই ফুল 100% করে চার্জ দিবেন না আইফোনের ক্ষেত্রে ৮০% অথবা ৯০% করে চার্জ দিয়ে চার্জারের পিন খুলে দিবেন এতে করে কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর ভরা iphone ব্যাবহার করতে পারবেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ১০০% সার্চ হলে তবেই ফোনটি চার্জিং থেকে খুলে নেয় তবে সাধারণ ফোন গুলোর তুলনায় আইফোনের ক্ষেত্রে এই ভুলটি একেবারেই করা যাবে না আইফোনের ক্ষেত্রে ৮০ অথবা ৯০% রাখতে হবে। 

আমাদের মধ্যে অনেকের রয়েছে যারা হাত থেকে ফোন যেকোনো জায়গায় ছুড়ে ফেলে দেয় যেই ভুলটি একেবারেই করা যাবে না এতে করে ফোনের ডিসপ্লের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ফোন ব্যবহার করার সময় অবশ্যই ডিসপ্লের আলো কুম দিয়ে চালানোর চেষ্টা করবে এতে করেও আপনার ডিসপ্লে টি দীর্ঘ দিনভরা ভালো রাখতে পারবেন। 

কোন দেশের আইফোন বেশি ভালো হয় 

আমরা উপরের কিওয়ার্ডে ইতিমধ্যে জেনে এসেছি কোন দেশে সবচেয়ে বেশি iphone ব্যবহার করা হয়। আমরা জেনে এসেছি মূলত জাপানি বেশি iphone ব্যবহার করা হয় এবং আপনি যদি দ্বিতীয় স্থানে যেতে চান তাহলে বলবো কানাডা। কানাডাতে প্রায় ৫৩% মানুষ iphone ব্যবহার করে থাকে। তবে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে আইফোন কোথায় বেশি তৈরি হয়ে থাকে iphone মূলত ভারতেই বেশি তৈরি হয় থাকে কারণ ভারতে আইফোন প্রথম তৈরি করা হয়েছিল 

এছাড়াও এখন ভারতেও আইফোনের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে শুধু ভারত এবং বাহিরের দেশ গুলোতেও না এখন বর্তমানে বাংলাদেশেও আইফোনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং বৃদ্ধি ও পাচ্ছে। iphone সবারই একটি স্বপ্নের ফোন হয়ে থাকে তবে আপনি যদি একটি নতুন আইফোন কিনতে চান কেনার আগে অবশ্যই জানতে হবে আইফোনের দাম কত কোন দেশের আইফোন বেশি ভালো হয়। 

আইফোনের কত কত মডেল রয়েছে এ সকল বিষয়বস্তু না জেনে যদি আইফোন কিনেন তাহলে আপনাকে আইফোন নামক অন্য ফোন গুলো দিয়ে ঠকানো হয়ে থাকবে। আইফোন কেনার আগে অবশ্যই iphone সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো হবে সকল বিষয়বস্তু জানার পর কিনতে যাবেন। এতে করে আশা করছি সঠিক এবং উন্নতমানের আইফোনটি কিনতে পারবেন সঠিক দামটি দিয়ে। 

বাজারে সব থেকে যে দেশের আইফোন গুলো বেশি ভালো হয় থেকে তা হচ্ছে ডুবাই, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ইত্যাদি। আপনি যখনই আইফোন কিনার কথা ভাববেন তখন অবশ্যই এই দেশের আইফোন গুলো কেনার চেষ্টা করবেন কারণ এই দেশের আইফোন গুলো খুবই ভালো হয় থাকে যা নিতে পারলে সর্বনিম্ন আড়াই থেকে তিন বছর অনায়াসেই কোনরকম সার্ভিসিং ছাড়াই চালাতে পারবেন। 

iphone ব্যবহার করার সুবিধা 

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি আইফোন ব্যবহার করার সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানেন যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কিওয়ার্ড টি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আমাদের মধ্যে কম বেশি অনেকের রয়েছে যারা আইফোন কিনে থাকছেন নানা রকম কাজের জন্য আবার অনেকেই কিনে থাকছে নিজের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য। তবে আপনি কি জানেন আইফোন ব্যবহার করার সুবিধা কি কি পাওয়া যায়। 

আপনি যদি একটি আইফোন কিনেন তাহলে সেই iphone টি সর্বনিম্নের ভালো ভাবে দুই থেকে চার বছর অনায়াসেই কোনো রকম সার্ভিসিং ছাড়াই চালাতে পারবেন। এছাড়াও আইফোনের ক্যামেরাটি উন্নত মানের হওয়ার কারণে যে কোন ব্লগ ভিডিও অথবা যেকোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করে আয় করতে পারেন। আজকাল অনেকেই রয়েছে যারা ব্লগ ভিডিও করার মাধ্যমে আয় করে থাকে তবে এই ব্লগ ভিডিও তৈরি করার জন্য অনেকেই iphone কিনে থাকছে। 

এছাড়াও আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে তাহলে অবশ্যই কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে আইফোন কারণ আপনি iphone দিয়ে যে কোন ধরনের কাজই করতে পারবেন পিসি গুলোর মতই প্রায়। তবে আইফোন কেনার আগে অবশ্যই আইফোনের ক্যামেরাটি ভালোভাবে চেক করে নিবেন। 

নয়তো অনেকেরই দেখা যাই কিছুদিন না যেতেই আইফোনের ক্যামেরাটি জ্বলজ্বল করে থাকে ভালোভাবে তেমন কোন কিছুই ভিডিও করা যায় না বা ছবিটি ক্লিয়ার আসে না। আপনি যদি কোনরকম ছবি তোলার জন্য কোন উন্নতমানের ফোন কিনতে চান তাহলে বলব আইফোন ব্যবহার করুন কারণ আইফোন যেমন সব দিক দিয়েই ভালো হয়ে থাকে ঠিক তেমনি দেখতেও অনেক সুন্দর হয়ে থাকেন। 

লেখকের শেষ মন্তব্য 

প্রিয় বন্ধুরা' আমরা হয়তো অনেকেই অনেক রকম অনেক ব্র্যান্ডের ফোন ব্যবহার করে থাকি। আইফোন সবার স্বপ্ন হয়ে থাকলেও সবার কিনা সামর্থ্য হয়ে থাকে না। কারন আপনি যদি নরমাল ভাবেও আইফোন কিনার কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই এক লাখের উপরে যেতে হবে। আজকের আর্টিকেলে আমরাও উপরের কিওয়ার্ড গুলোতে জেনে এসেছি আইফোনের চারটি মডেলের নাম এবং দাম সম্পর্কে। 
আপনি চাইলে সেই নাম এবং দাম গুলো জানার পরেও নিজের স্বপ্নটুকু ধীরে ধীরে পূরণ করে নিতে পারেন টাকা জমিয়ে। আইফোন মূলত সবদিক থেকেই ভালো হওয়ার কারণে অনেকেই নরমাল ফোন গুলো কেনার চেয়ে দামি ফোনটি iphone কিনে থাকছে। হতে পারে কারো শখ বা ইচ্ছেটা পূরণ করছে। আপনি যদি ভাল এবং উন্নত মানের iphone কিনার কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরের দাম থেকে কোন আইফোনের কেমন দাম এই বিষয়টি নির্ধারণ করে নিতে পারেন।ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url