ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার নিয়ম সহ সকল কিছু জেনে নিন এক নজরে
আমাদের মাঝে অনেককে পাওয়া যায় যারা ডিলারশিপ ব্যবসা করতে চাই তবে এই
ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জানেনা। তবে আপনি যদি
ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই ব্যবসা হিসাব রাখার নিয়ম
সম্পর্কে সকল কিছুই জেনে নিতে হবে এক নজরে। এতে করে আপনি সহজেই ডিলারশিপ
ব্যবসার হিসাব রাখতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি
ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার নিয়ম সম্পর্কে ওপেন করে থাকেন তাহলে আশা করছি সঠিক গাইডলাইন টি পড়তে এসেছেন কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি ডিনারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের কিওয়ার্ড গুলো ফলো করে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
.
ডিলারশিপ ব্যবসা কি
ডিলারশীর ব্যাবসা হচ্ছে সেই ব্যবসা যেখানে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা করা যায় অর্থাৎ
ছোট থেকে শুরু করে যে কোন ব্যবসায় করা যায়। ডিলারশিপ ব্যবসায় মূলত অনেক টাকায়
ইনভেস্ট করে সেখান থেকে আয় করা যায় শুরুতেই ডিলারশিপ ব্যবসা নিয়োগ নিতে চাইলে
আপনাকে সর্বনিম্ন ৫ লাখ থেকে শুরু করে ১৫ লাখ টাকার নিয়োগ নিয়ে একটি ডিলারশিপ
ব্যবসা কিনতে হবে।
আরোও পড়ুনঃ ওয়ালটন ছোট ফ্রিজের দাম কত এই সালে জেনে নিন
এছাড়াও আপনি চাইলে বড় ধরনের ডিলারশিপ ব্যবসা নিয়ম না নিয়ে আপনি এক থেকে দেড়
লাখ টাকার মধ্যেই ছোট একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে এবং ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসাটি বড়
করতে। যারা ডিলারশিপ ব্যবসার বেশি দাম দিয়ে কিনতে চায় না তারা নিজেরাই ডিলারশিপ
ব্যবসা করে থাকেন। ডিলারশিপ ব্যবসার মধ্যে মূলত খুঁটিনাটি সফল ব্যবসায়ী পড়ে
থাকেন।
ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার নিয়ম কারণসহ সকল কিছু জেনে নিন এক নজরে
আমাদের বাংলাদেশে এখন বর্তমানে ছোট থেকে শুরু করে বড় বিভিন্ন রকমের ব্যবসা
কমবেশি সবাই করে থাকছে। ব্যবসা করল এই ব্যবসার হিসাব কিভাবে রাখবে সেই নিয়মটি
সঠিকভাবে জানে না। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যে থাকে যারা কাগজের খাতায় লিখে রাখে
তাদের হিসাব গুলো কিন্তু কাগজের খাতায় বাস্তবতায় হিসাব রাখা তেমন সম্ভব হয়ে
থাকে না। ব্যবসা হিসাব গুলো যদি সঠিক ভাবে না মনে রাখতে পারেন তাহলে আপনি
ব্যবসায়ী কখনোই সফল হতে পারবেন না।
তাই আজকের এই কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনাকে জানাবো ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার
নিয়ম। তাই আপনি যদি ব্যবসা করে দ্রুত সফল হতে চান তাহলে হিসাব রাখাটাও
গুরুত্বপূর্ণ। আর হিসাব কিভাবে রাখবেন সেই নিয়ে নিচে কয়েকটি স্টেপ ফলো করে এক
নজরে জেনে নিতে পারেন। আশা করছি স্টেপ গুলো ফলো করে আপনারা ওয়েবসাইট হিসাব রাখলে
দ্রুত সফল হতে পারবেন।
- ডিলারশিপ ব্যবসা করার জন্য শুরুতে একটি ফাইল করে নিবেন যেই ফাইলে আপনার ব্যবসা এ টু জেড সকল তথ্য থেকে থাকবে অর্থাৎ আপনি আজকে কত টাকা লাভ করলেন কত টাকা লোকশান করলেন।
- ডিলারশিপ ব্যবসা করার জন্য আলাদা আলাদা রকম ভাবে এক একটি ফাইল তৈরি করবেন। অর্থাৎ আজকে লাভ কত করলেন সেই একটি ফাইল এবং লস কত হলো সেরকম একটি ফাইল। এইরকম ভাবে আপনি লাভ এবং লস আলাদা আলাদা ফাইল লেখে একমাস পরবর্তীতে লাভ এবং লোকসান টি যোগ করলে জানতে পারবেন আপনার ব্যবসায় কত লাভ হয়েছে এবং কত লোকসান হয়েছে এক মাসে।
- আপনার বাজেট যেমন ঠিক তার মধ্যে আপনার ব্যবসাটির পরিকল্পনা করতে হবে।
- এছাড়াও আপনি যদি ব্যবসা হিসাব আরো ভালোভাবে রাখতে চান তাহলে মোবাইলে কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
- আপনার ব্যক্তিগত এবং একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে রাখুন সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভিন্ন ভিন্ন রকম ভাবে হিসাব রাখুন।
- আপনি যখনই একটি অ্যাকাউন্টে হিসাব রাখার চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই তারিখ সহ নিয়ম গুলো সব সময় ফলো করবেন।
ডিলারশিপ ব্যবসা নিয়োগ কোথায় দিয়ে থাকে
ডিলারশিপ ব্যবসা অনেকেই করতে চায় তবে এটি কখন নিয়োগ দিয়ে থাকে এ সম্পর্কে সঠিক
তথ্যটি না জানার কারণে অনেকেই আশা নিয়ে থেকে থাকে। ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়োগ মূলত
বছরে একবারই দিয়ে থাকে অর্থাৎ বছরের প্রথম দিকে অর্থাৎ শুরুর দিকেই এই ব্যবসাটি
নিয়োগ দিয়ে থাকে। তবে আপনি কিন্তু চাইলেই ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়োগ নিয়ে কিনার
চেয়ে আপনি আপনার ওই টাকাটি দিয়েই নিজেই একটি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারেন
এবং
ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসা বড় করে তুলতে পারেন। এছাড়াও অল্প পুঁজি দিয়ে আপনি
মার্কেট থেকে পাইকারি দরে বিভিন্ন বাবুশার জিনিসপত্র নিয়ে এসে নিজেই ডিলারশিপ
ব্যবসার দিতে পারেন। অনেকেই থেকে থাকে যারা ডিলারশিপ ব্যবসা করতে চায় কিন্তু একটি
ডিলারশিপ এর ব্যবসা নিয়োগ নিতে সর্বনিম্ন ১০ থেকে শুরু করে ২৫ লাখ টাকার ইনভেস্ট
করতে হয়। তাই আপনি ১০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ইনবেস্ট না করে এক লাখ টাকা দিয়ে
আপনি একটি ডিলারশিপ এর ব্যবসা তৈরি করতে পারেন। তবে আপনি যখন একটি ডিলারশিপের
ব্যবসা নিতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোন ব্যবসাটি আপনার ভালো চলবে বা
কোন ব্যবসা করলে আপনি দ্রুত সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। আপনি ডিলারশিপ
ব্যবসা যখন নিজেই শুরু করবেন তখন কিন্তু নিজেই সকল রকমের পাইকারি দোকান থেকে
ঘুরেফিরে নিজের ইচ্ছামতো মালামাল নিয়ে এসে সেগুলো সেল করতে পারেন।
আপনি যদি ডিলারশিপ এর ব্যবসা সম্পর্কেও জানতে চান তাহলে হয়তো অনলাইনে বিভিন্ন
রকমের খবরের কাগজ থেকে শুরু করে ফেসবুক এবং নিউজ অথবা অনলাইনে এই খবর গুলো দেখতে
পারবেন কারণ এই ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়ম সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন জায়গায় আপলোড
করে থাকে বছরের শুরুর দিকে সবসময়।
তবে আপনি যখনই ডিলারশিপ ভাবছেন নিয়ম নিতে চাবেন তখন অবশ্যই কিন্তু আপনাকে ফলো
রাখতে হবে বছরের শুরুর দিকটাতে। আর এই ফলটা করতে পারেন ফেসবুক থেকে শুরু করে নিউজ
পেপার পড়ার মাধ্যমে।
ইলেকট্রনিক ডিলারশিপ ব্যবসা কি
বর্তমানে এখন ব্যবসা বলতে সকল ব্যবসা কে বুঝানো হযে থাকে। তাই আপনি কিন্তু চাইলে
কোন পুঁজি দিয়ে শুরু করে যেকোনো ব্যবসা করতে পারেন এবং সেটি সঠিক নিয়মে
পরিচালনা করতে পারেন। আপনি যদি চান তাহলে একটি ইলেকট্রনিকের দোকান দিয়ে সেই
দোকানেও ব্যবসা করতে পারেন। আজকাল ইলেকট্রনিকের ব্যবসা কর দ্রুত সফল হওয়া
যায়।
বর্তমান সময়ে সব থেকে উন্নতম ব্যবসায়ী কিন্তু ইলেকট্রনিক ব্যবসা যারা এই
ব্যবসাটি সম্পর্কে জানে তারা কিন্তু দেরি না করে ইলেকট্রনিকের এই ব্যবসার
আইডিয়াটি নিয়ে অলরেডি ইলেকট্রনিক ব্যবসাটি শুরু করে দিয়েছে। ইলেকট্রনিক ব্যবসা
আপনি সারা বছরেই করতে পারবেন যদি সেটি সঠিক নিয়মে পরিচালনা করতে পারেন। বর্তমানে
আমরা যদি একটি ঘরে আলোকিত করতে চেয়ে থাকি সেখানে বিভিন্ন রকমের লাইট অথবা
ইলেকট্রনিক বাল্বের প্রয়োজন হয় থাকে।
এছাড়াও শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক বাল্বী নয় ইলেকট্রনিক্স সুইচ রেগুলেটর ফ্যান
ইত্যাদি সহ নানা রকম ইলেকট্রনিক জিনিসের প্রয়োজন হয়। ইলেকট্রনিক এই ব্যবসাটিতে
কোনরকম কোন সিজন লাগে না আপনি সিজন এবং আন সিজন সব সময় করতে পারেন অর্থাৎ
বর্ষাকালীন অথবা গরমকালীন যে কোন সময়ে এটি দোকানে বসে থেকে করা যায়।
বর্তমান সময়ে মানুষজন যেমন বড় বড় বিল্ডিং বাড়ি তৈরি করছে ঠিক তেমনি সেখানে
বিভিন্ন রকমের ইলেকট্রনিক জিনিসেরও প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং তার চাহিদাও বেড়েই
চলেছে। কম বেশি সকল ধরনের মানুষ ধনী ইলেকট্রনিকের যেকোন জিনিস ব্যবহার করে
থাকছেন। তবে এই ইলেকট্রনিকের ব্যবসাটি কিভাবে ডিলারশিপ এর ব্যবসা করবেন তার
কয়েকটি উপায় নিচে আমি আপনাকে জানালাম।
- ইলেকট্রনিকের অনলাইনে ব্যবসা করে আপনি আয় করতে পারেন অর্থাৎ অনলাইনেও ইলেকট্রনিকের জিনিস সেল দেওয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি যদি চান ইলেকট্রনিক জিনিস মেরামত করবেন অর্থাৎ একটি ঘরের বাল্ব নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেই বাল্বটি ঠিকঠাক করে আপনি বিক্রয় করবেন তাও করতে পারেন অর্থাৎ এক কথায় ইলেকট্রনিক মেরামতের দোকান যেখানে স্থান থেকে শুরু করে সকল কিছু ইলেকট্রনিক জিনিস মেরামত করে দিবেন।
- লাইসেন্স করা। আপনি চাইলে লাইসেন্স করে দেওয়ার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।
- ইলেকট্রনিকের বিভিন্ন জিনিসপাতি দোকান দিয়ে বিক্রয় করার মাধ্যমে আয় করা। আপনি কিন্তু চাইলে ইলেকট্রনিকের দোকান দিও আয় করতে পারেন ইলেকট্রনিকের দোকানে সাধারণত বাল্ব, রেগুলেটার, সুইচ, ফ্যান, বোর্ড, জ্যাক, ফ্লাক্স তাদের সহ ইলেকট্রনিক নানা রকমের সামগ্রীর দোকান দিতে পারেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ডিলারশিপ ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যেখানে ইনভেস্ট করে ওদিক টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা
যায় এই ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়োগ অনেকেই নিয়ে থাকে বিশেষ করে যাদের অজস্র টাকা
থাকে। তবে এই ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়োগ কিভাবে নিবেন বা কোথায় থেকে জানতে পারবে বা
কোন সময়ে এই ব্যবসাটি নিয়োগ দিয়ে থাকে এ সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি না জানার কারণে
অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ে তাই আশা করছি আপনি উক্ত আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে
পেরেছেন
আরোও পড়ুনঃ itel ০৭ বাটন মোবাইলের দাম বাংলাদেশে কত
ডিলারশিপ ব্যবসা কোন সময়টিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং কোন কোন মাধ্যমে ডিলারশিপ
ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর্টিকেলটি পরে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে স্বপ্ন
ছোঁয়া ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে যাবেন কারণ স্বপ্ন ছোঁয়া ওয়েবসাইটে নিত্যনতুন
বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোস্ট আপডেট করা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি এতক্ষণ সময়
দিয়ে পড়ার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url